বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কথা ঐকামাখ্যানাথ বন্দ্যোপাধ্যায় একদিন ব্ৰহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেন মহাশয় জোড়াসাকোর অাদি ব্ৰাহ্ম সমাজে যখন উপাসনা করিতেছিলেন, সেই সময় প্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব সেই উপাসনাস্থলে উপস্থিত হন। ব্ৰহ্মানন্দকে দেখিয়া বলিলেন, যে, এই ব্যক্তির ফাতনা ডুবিয়াছে ; অর্থাৎ তাহার মুখের ভাব দেখিয়া বুঝিলেন, যে, ঐকেশবচন্দ্র ব্রন্ধে তন্ময় হইয়াছেন। এই ঘটনাটির কিছুকাল পরে আর এক দিন পরমহংসদেব তাহার ভাগিনেয় হৃদয়কে সঙ্গে লইয়া কলুটোলায় প্রকেশবচজের সহিত দেখা করিতে আসেন। কলুটোলার বাড়িতে আসিয়া শুনিলেন, যে, বেলঘরিয়ার সাধনকাননে তিনি ব্রাহ্ম সাধকদের সঙ্গে উপাসনা করিতে গিষাছেন। পরমহংসদেব তৎক্ষণাৎ হৃদয়কে সঙ্গে লইয়া একটি গাড়ী ভাড়া করিয়া বেলঘরিয়ায় যান। সেখানে উভয়ের মধ্যে ধৰ্ম্মালোচনা চলিতে লাগিল। তিন-চার ঘণ্টা এইরূপে কাটিল । এই ধৰ্ম্ম-প্রসঙ্গের ভিতর উভয়ের মধ্যে একটা ঘনিষ্ঠ আত্মিক ৰোগ প্রতিষ্ঠিত হইল। এই যোগের পর ব্ৰহ্মানন্দ পরমহংসদেবের কথা, অর্থাৎ তাহার ধর্মের জন্ত ঐকাস্তিকতা, তাহার নিষ্ঠ ও ব্যাকুলতার কথা কাগজে লিখিয়া সাধারণের নিকট প্রকাশ করেন । ঐকেশবচন্দ্রের লেখা পড়িয়া ও ব্রাহ্ম সাধকদিগের মুখে তাহার বিশেষ ধৰ্ম্মভাবের কথা শুনিয়া আমার মন র্তাহার দিকে আকৃষ্ট হইল এবং অনেকগুলি শিক্ষিত লোকের মনও তাহার প্রতি শ্রদ্ধাৰিত হইল। আমি তাহাকে দেখিবার জন্ত ব্যস্ত হইয়া পড়িলাম । আমি বোধ হয় পাচ বার তাহার সহিত সাক্ষাৎভাবে মিলিত হইয়াছি এবং প্রত্যেক বার চার-পাচ ঘণ্টা করিয়া তাহার কথা শুনিয়াছি ও তাহাকে মধ্যে মধ্যে প্রশ্ন করিয়াছি। সে-সকল কথা সব স্বরণ নাই। তবে বিশেষ বিশেষ কথাগুলি কিছু কিছু মনে আছে। - আমাদের আলোচনা আচার্ষ্য কেশবচন্দ্র সেনকে লইয় चांबख शहेड । डिनि थषष बांणां★नग्न शिप्न बइवांब জোড়াসাকোর কথা বলিলেন ; অর্থাৎ ঐকেশবচন্দ্রের মুখে উপাসনার সময় ষে একটি অপূৰ্ব্ব ভাবাস্তর উপস্থিত হইয়াছিল এবং সেই ভাবের ভিতর দিয়া তাহার সহিত যে উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি হয়, তাহ বলিলেন। w দ্বিতীয় দিবস বেলঘরিয়ার সাধনকাননে যে-সকল কথা হইয়াছিল, তাহারও কয়েকটি কথা যাহা স্মরণ আছে, তাহ এক্ষণে নিবেদন করিতেছি। পরমহংসদেব বলিলেন, যে, “আমি বেলঘরিয়ায় গিয়া দেখি যে কেশবচন্দ্র উপাসনা শেষ করিয়াছেন। . আমি যাইবামাত্র আমাকে বসিতে অনুরোধ করিলেন এবং আমার আসিবার কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। আমি বলিলাম, যে, তুমি নাকি ব্ৰহ্মকে দেখ এবং তাহার কথা শ্রবণ কর ? সে কিরূপ? কেশব বলিতে লাগিলেন। ব্ৰক্ষ্মদর্শনের কথা, তার কথা, শুনিয়া আমার মনে হইল, যে, কেশব এক জন বিশেষ ব্যক্তি, কেশবের কথা শুনিয়া আমার ভাবাবেশ হইল। আমার মৰ্ম্মকে স্পর্শ করিল। একবার কেশব বলে, আমি শুনি,একবার আমি বলি, কেশব গুনে, এইরূপে চার-পাঁচ ঘণ্টা কাটিল।” পরমহংসদেব কমলকুটীরে প্রায়ই আসিতেন, সেখানেও তাহার অনেক কথা শুনিয়াছি। তিনি জাসিলেই আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্র র্তাহাকে মিষ্টান্ন খাওয়াইতেন । তিনি জিলাপি খাইতে ভালবাসিতেন। একদিন বহু ব্ৰাহ্ম সাধকদিগের নিকট বলিলেন, “যে সত্য কথা বলে না তার ধর্শ্ব হয় না, ফাকি দিয়ে ভগবানকে পাওয়া যায় না।” এই কথার পর প্রচারক ত্ৰৈলোক্যনাথ সায়্যাল মহাশয় তাহাকে মিষ্টায় ভোজন করাইলেন। ভোজনের শেষ ভাগে একটি জিলাপি লইয়া মুখের সন্মুখে নাড়িতে লাগিলেন। তাহার পূৰ্ব্বে তিনি বলিয়াছেন, আমি জার খেতে পারব না, পেটে জায়গা নাই। কিন্তু জিলাপি দেখিয় তিনি বলিলেন, একখানা দাও। ত্ৰৈলোক্য বাৰু একটু রহস্ত করিয়া বলিলেন যে, আপনার সত্যু कर्षों ब्रक श्रृंहेिण न । शृंद्रश्रण बजिtणन, रशन (कन