পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*.8 প্রৰণসী SN°8之 লোকেরা যাহাই ভাবুন, আমরা সাধারণ লোকেরা এই জানি, যে, বঙ্গের রবীন্দ্রনাথ যত রকমের যত অধিকসংখ্যক উৎকৃষ্ট গান রচনা করিয়াছেন এবং তাঁহাতে নানা বিচিত্র স্বর বসাইয়াছেন, ভারতে আর কেহ তাহা করেন নাই—পৃথিবীতে কেতু করিয়াছেন কিনা জানি না। অধিকন্তু হিন্দুস্থানী সংগীতে, তাহার শিক্ষা দস্তুরমতই হইয়াছিল এবং তিনি তাহার গুণগ্ৰাহীও বটেন । ইহা সৰ্ব্বদ মনে রাথিতে হইবে, যে, কাব্যে তিনি যেমন স্রষ্ট, সংগীতেও তিনি তেমনই স্রষ্টা ; পূৰ্ব্বতন কাব্যের দ্বারা ধেমন তাহার কাব্যের বিচার হয় না, পূৰ্ব্বতন সংগীতের দ্বারাও তেমনই র্তাহার সংগীতের বিচার হয় না। যে-কোন লোক বা লোকসমষ্টি লঙ্গের সংস্কৃতির আদর করেন বলিয়া সত্য দাবী করিতে চান, তিনি বা র্তাহার। সঙ্গীত বিষয়ে রবীন্দ্রনাথকে তাহার ন্যায্য প্রাপ্য সমুচ্চ স্থান দিতে বাধ্য। আর অধিক লিখিবার স্থান নাই। এখন শেষ কথা লিথি । সম্মেলনের কথা বঙ্গের ও বঙ্গের বাঙালীদিগের মধ্যে প্রচার করিবার বিশেষ উপায় অবলম্বন করা খুব আবশ্বক। গত অধিবেশনে স্থির হইয়াছে, সম্মেলনের উদ্দেশু ও কাৰ্য্যাবলীর প্রচারকল্পে একখানি মাসিক বাৰ্ত্তবাহিনী পত্রিকা bেulletin) প্রকাশ করা হইবে। শীঘ্রই এই পত্রিকা প্রকাশিত হইবে। ইহার সর্বত্র প্রচার সাতিশয় বাঞ্চণীয়। ইহা বঙ্গে ও বঙ্গের বাহিরে বাঙালীদের গৃহে স্থান পাইলে সুফল ফলিলে । পূর্ণিমায় ত্রিশাস্তি পাল সে দিন সে পৃণিম-লগনে, নিস্তন্ধ নির্জনে— মুক্ত অলিন্দের পরে পেয়েছিন্ত দেখা, অকস্মাৎ এক], মোর সেই আজন্মের তপস্যার ধনে । সে বাঞ্ছিত ক্ষণে পূর্ণতায় ভরেছিল তনু-মন-প্রাণ বারম্বার গেয়েছিন্থ জয়োৎসব গান । হে অভিমানিনী, মৰ্ম্মরিত অনন্ত রাগিণী মধুকণ্ঠ আজও বাজে কানে পূর্ণিমার গানে । আজি মোর মুক্ত শির পরে বিন্দু রিন্দু ঝরে— অকলঙ্ক চন্দ্রের গরিমা অপরূপ জ্যোৎস্না মধুরিমা। রাত্রি দিন ভাবি কুতূহলে, একান্ত বিরলে— দেহে-প্রাণে জাগে কত অতৃপ্ত পিপাসা পরিপূর্ণ যৌবনের আশা। হে বিশ্ববন্দিতা, শুভ্ৰ কপোতিক সম প্রেম-বন্ধ ভীত। মুহূর্বের মাঝে দেখা দিয়া কোন কথা নাহি কহি, নাহি সম্ভাষিয়া কেন গেলে চ’লি--- চিরদিবসের তরে মোরে পায়ে দলি ঝঙ্কারিয়া বীণাখনি তব ? লহ, লহ সব— যাহ-কিছু আছে মোর, দিতেছি ঢালিয়া উন্মথিয়া হিয়া ; রিক্ততায় ভরে যাকু বুক,— উদ্ধাম উন্মুখ ছুটুকৃ সে অনিশ্চিত পানে মৰ্ম্মভেদী বিরহের গানে । আজি সেই পৌর্ণমাসী তিথি ;— বক্ষে লয়ে প্রীতি— এস, এস ফিরে— উদ্বেলিত বাসনার মহাসিন্ধুতীরে বাজায়ে কিঙ্কিণী ; পুলক রভসে আজি— এক হয়ে মিশে স্বাকু আকাশ-মেদিনী।