পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*Фо প্রবাসী ১৩৪২ প্রতিদিন যে প্রভাতে পৃথিবী প্রথম স্থষ্টির অক্লাস্ত নিৰ্ম্মল দেববেশে দেয় দেখা, আমি তার উন্মীলিত অালোকের অনুসরণ করে অন্বেষণ করি আপন অন্তরলোক । তাসংখ্য দণ্ড পল নিমেষের জটিল মলিন জালে বিজড়িত দেহটাকে সরিয়ে ফেলি মনের থেকে,— যেখানে সরে যায় অন্ধকার রাতের নানা ব্যর্থ ভাবনার অত্যুক্তি, যায় বিস্মৃত দিনের অনবধানে পুঞ্জিত লেখন যত,— সেই সব নিমন্ত্রণ-লিপি নীরব যার আহবান, নিঃশেষিত যার প্রত্যুত্তর । তপন মনে পড়ে, সবিতা, তোমার কাছে ঋষি কবির প্রার্থনা মন্ত্র, -- যে মন্ত্রে বলেছিলেন,—হে পুষণ, তোমার হিরন্ময় পাত্রে সত্যের মুখ আচ্ছন্ন উন্মুক্ত করে সেই আবরণ। আমিও প্রতিদিন উদয়দিশ্বলয় থেকে বিচ্ছুরিত রশ্মিচ্ছটায় প্রসারিত করে দিই আমার জাগরণ, বলি,— হে সবিতা, সরিয়ে দাও আমার এই দেহ, এই আচ্ছাদন,— তোমার তেজোময় অঙ্গের সূক্ষ্ম অগ্নিকণায় রচিত যে আমার দেহের অণু পরমাণু, তারো অলক্ষ্য অস্তরে আছে তোমার কল্যাণতম রূপ, তাই প্রকাশিত হোক আমার নিরাবিল দৃষ্টিতে। আমার অন্তরতম সত্য আদি যুগে অব্যক্ত পৃথিবীর সঙ্গে তোমার বিরাটে ছিল বিলীন, সেই সত্য তোমারি । তোমার জ্যোতির স্তিমিত কেন্দ্রে মানুষ আপনার মহৎ স্বরূপকে দেখেছে কালে কালে, কখনো নীল মহানদীর তীরে,