চৈত্র তাহারা প্রতিনিধিতন্ত্র-প্রণালী ও আইনানুগ শাসনের মর্থ বুঝে না এবং অপেক্ষাকৃত উন্নততর ভারতীয়েরা তাহাদিগকে ঠকাইয়া নিজ নিজ উদ্দেশ্য সাধন ( exploit ) করে। তাহা হইলে, প্রায় দুই শতাব্দী ধরিয়া ব্রিটিশ গবক্সেণ্ট তাহাজের শিক্ষা ও উন্নতির জন্ত কি করিলেন ? তাহাদিগকে এত বৎসরেও আত্মরক্ষায় সমর্থ কেন করিতে পারিলেন না ? যাহাঁদের কোন বর্ণমালা পৰ্য্যস্ত নাই এরূপ অনেক অসভ্য জাতিকে সোভিয়েট রুশিয়া ৫।১০।১৫ বৎসরেই সুশিক্ষিত করিয়া তুলিয়াছে। যে-সব অঞ্চল আগে শাসনসংস্কার-বহির্ভূত ছিল না, তাহাদিগকে নূতন করিয়া বহির্ভূত করা আরও অদ্ভুত ব্যবস্থা। যেমন ধরুন, ময়মনসিংহের সেরপুর ও স্বসঙ্গ পরগনা আংশিক ভাবে শাসনসংস্কারের বহির্ভূত বলিয়া পরিগণিত হইয়াছে। তাহাতে ঐ জেলার উকীলসভার এক অধিবেশনে এই ব্যবস্থার প্রতিবাদ করা হইয়াছে, এবং এই প্রতিবাদ ভারত-গবশ্নেণ্ট ও বাংলা-গবন্মেণ্টকে টেলিগ্রাফ করিয়া জানান হইয়াছে। সভা গবন্মেটিকে এরূপ প্রস্তাব পরিত্যাগ করিতে অনুরোধ করিয়াছেন । তাহারা দেখাইয়াছেন, যে, ঐ দুই পরগনার সাড়ে নয় লক্ষ অধিবাসীর মধ্যে কেবল ত্রিশ হাজার অধিবাসী মাত্র আদিম সমাজের অন্তভূত এবং তাহারাও আবার উন্নততর সমাজের রীতিনীতি শতাধিক বৎসর ধরিয়া পালন করিয়া আসিতেছে । ব্যবস্থাপক সভায় বাক্যকথনের স্বাধীনতা ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার সভাপতি সৰ্ব আবদুর রহিম সম্প্রতি র্তাহার এই একটি রূলিং বা সিদ্ধান্ত প্রকাশ করিয়াছেন, যে, উহার সদস্তদের স্বাধীনভাবে বক্তৃতা করিবার অধিকার সভার হলের মধ্যে আবদ্ধ এবং "law did not protect publication of any such speech in other than official reports, such as in a newspaper, however faithful or bona fide such publication might be,” “সরকারী রিপোর্ট ভিন্ন অন্ত কোথাও, যেমন খবরের কাগজে, এই সব বক্তৃতার প্রকাশ শাস্তি হইতে আইন দ্বারা রক্ষিত নহে, যদিও তাহা যথাযথ হয় এবং খুব ভাল বিশ্বাসে ও সৎ উদ্দেশ্নে করা হয়।” সর আবদুর রহিম যখন সভাপতি হন নাই, তখন র্তাহার মত ইহার বিপরীত ছিল যাহা হউক, নব কলেবরে জন্মাস্তরের পর মানুষ যাহা বলে, পূৰ্ব্বজন্মের কথার সহিত তাহার মিল না থাকিলে তাহ লইয়া তর্ক করিবার আবগুৰু I আমাদের বক্তব্য সংক্ষেপে বলিতেছি । সদস্যেরা যাহা বলেন তাহ খবরের কাগজে ঠিক ঠিকৃ ছাপিতে না পারিলে তাহারকি করিতেছে তাহাদের নির্বাচকের ও অপরসাধারণ বিৰিখ প্রসঙ্গ—”ৰঙ্গীয় জাতীয় মিউজিয়াম” جهان سيا عی. কি প্রকারে তাহ জানিবে ? তাহারা প্রতিনিধি, অতএব তাহারা প্রতিনিধির কার্ধ্য ঠিক্ মত করিতেছেন কিনা জ আবগুক । সরকারী রিপোর্ট সকলে পায় না, ইংরেজীতে, খবরের কাগজের চেয়ে তার দাম তাহা সংগ্রহ করাও কঠিনতর। স্বামী-স্ত্রীতে শয়নকক্ষে পরস্পর কি বিশ্রম্ভালাপ বা ঝগড়া করেন, বাহিরের লোকদের তাহা জানিবার অধিকার নাই। ব্যবস্থাপক সভার হল কি দাম্পত্য শয়নকক্ষের মত কিছু ? সরকারী রিপোর্টে যাহা ছাপিলে কাহারও অপরাধ হয় ন, কেহ ঠিক তাহার নকল ছাপিলে কেন অপরাধ হইবে ? কোন আইনে লেখা আছে যে, ব্যবস্থাপক সভার সদস্যদের রাজদ্রোহ-উত্তেজক বা গবষ্মেন্টের প্রতি বিদ্বেষ বা অবজ্ঞাজমক এমন কোন কথা ছাপিলে গবশ্নেটি প্রেসের প্রিন্টার, প্রকাশক বা স্বপারিন্টেগুেটের কোন অপরাধ হয় না, যাহা অন্য কেহ ছাপিলেই অপরাধ হয় ? আমরা সেই আইনের সেই ধারাটি জানিতে চাই । যাহার ঠিক্ নকল অন্যে ছাপিলে তাহার শাস্তি হইতে পারে এরূপ জিনিষ গবন্মেণ্ট নিজের রিপোর্টে ছাপেন কেন ? ব্যবস্থাপক সভার সরকারী রিপোর্টগুলি ত সংবাদপত্র-সম্পাদক ধরিবার ফাদ নহে, যে, তাহাদিগকে ঐ সব রিপোর্টে প্রকাশিত কোন কোন জিনিষ ছাপিবার লোভে ফেলিয়া .তাহারা ফদে পড়িলে পরে তাহাদিগকে শান্তি দিবার স্ববিধ হইবে । “বঙ্গীয় জাতীয় মিউজিয়াম” ঐযুক্ত মুকুলচন্দ্র দে নিজের ছাত্রদের এবং অন্ত দেশী ও বিদেশী শিল্পীদের কাজের প্রদর্শনী যে মধ্যে মধ্যে করেন, তাহ। তাহার শিল্পাঙ্গুরাগের পরিচায়ক। তাহার এই শিল্পানুরাগ বাল্যকাল হইতে লক্ষিত হইতেছে। তিনি যখন শাস্তিনিকেতনের বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, বিদ্যালয়ে সাধারণ লেখাপড়া শিখিতেন, শিল্পবিদ্যালয় কলাভবনের ছাত্র ছিলেন না, তখনও ছবি আঁকিতেন। বহু বৎসর পূৰ্ব্বে ইংলগুের ভূতপূৰ্ব্ব প্রধান মন্ত্ৰী মিঃ ম্যাকডন্যান্ড যখন প্রথম ভারতবর্ষে আসেন (তখন তিনি খুব ভারতবন্ধু বলিয়া জাদৃত হইতেন ), তখন কলিকাতায় সমবায় ম্যান্সান্সের নীচের তলায় একটি চিত্র-প্রদর্শনী হয়। তাহাতে ভ্ৰমান মুকুলেরও জাক কয়েকখানি ছবি ছিল। তাহার মধ্যে একখানির দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া ( তাহ আমাদেরও ভাল লাগিয়াছিল ) মিঃ ম্যাকডন্যান্ড চিত্রকরের পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন, এবং পরে এই মর্শের কথা বলেন, যে, শিক্ষার স্বযোগ পাইলে এই বালক ভবিষ্যতে ভাল চিত্রকর হুইবে মিঃ মাকড়স্তান্ড অবশু ভবিষ্যদ্বক্তা নহেন। কিন্তু দেশে ও নানা বিদেশে শিক্ষ৮ লাভ ও অভিজ্ঞতা-সঞ্চয়ের পর এখন জমান মুকুলের কৃত
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৬১
অবয়ব