পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8e মঙ্গলামঙ্গলের উপর নির্ভর ত করেই না, বরং প্রত্যেকের স্বার্থ অন্তের স্বার্থের বিরোধী। সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারার গতি সৰ্ব্বত্র সংখ্যালঘিষ্ঠদিগকে সংখ্যাগরিষ্ঠদিগের সহানুভূতি ও হিতৈষণা হইতে বঞ্চিত করিবার দিকেই হইবে, এবং সকল ভারতীয় সম্প্রদায়কে বিদেশী ইংরেজদের অনুগ্রহজীবী করিবার অভিমুখে হইবে। এবম্বিধ নানা কারণে এই বাটোয়ার। তারতীয় মহাজাতির পক্ষে মহা অনিষ্টকর। বঙ্গের অধিবাসীরা এই মহাজাতির অন্তর্গত বলিয়া দিনাজপুরের প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় সম্মেলনকে এই দিক দিয়া ইহার বিচার করিতে হইবে। এই বাটোয়ারার আলোচনা আমরা ইহার প্রকাশের পর হইতেই মডার্ণ রিভিয়ু ও প্রবাসীতে করিয়াছি। গত অক্টোবর মাসে বোম্বাইয়ে নিখিল ভারতীয় সাম্প্রদায়িকবাটোয়ারা-বিরোধী কনফারেন্সের সভাপতিরূপে আমি ষে অভিভাষণ পাঠ করি, তাহাতে আমার আলোচনার সার ংকলিত আছে। এই অভিভাষণ মডার্ণ রিভিয়ুর গত নবেম্বর সংখ্যায় মুদ্রিত হইয়াছিল। বাটোয়ারাটা সকলের পক্ষে, সমষ্টির পক্ষে অনিষ্টকর। মহাজাতির এক একটি অংশ ধরিলে অবশু হিন্দুদের, বিশেষতঃ বঙ্গের হিন্দুদের, প্রতিই ইহাতে বেশী অবিচার করা হইয়াছে । তাহা সুবিদিত বলিয়া তাহার বিস্তারিত বর্ণনা এখন আর আবগুক নহে। কিন্তু ইহা মুসলমানদের পক্ষেও অনিষ্টকর। কারণ, ইহা মুসলমানদিগকে কেবল মুসলমানকেই ভোট দিতে বাধা করিবে, যোগ্যতর ও অধিকতর দেশহিতকামী ও অধিকতর দেশহিতসাধনদক্ষ অমুসলমানকে ভোট না-দিতে বাধা করিবে, হিন্দুদের সহানুভূতি ও হিতৈষণা হইতে তাহাদিগকে বহুপরিমাণে বঞ্চিত করিবে, এবং বৈদেশিক ইংরেজদের অনুগ্রহাকাজী ও অনুগ্রহজীবী করিবে । বঙ্গের মুসলমানদিগকে ব্যবস্থাপক সভায় ইহা নির্দিষ্ট কতকগুলি আসন দিয়াছে। তাহ কিন্তু তাঁহাদের সংখ্যার অনুপাত অনুযায়ী নহে। অবাধ প্রতিযোগিতায় অচিরে বা কিছু কাল পরে তাহদের পক্ষে ইহা অপেক্ষ বেশী আসন পাওয়া অসম্ভব হইত না । বাটোয়ারাটা তাহ অসম্ভব করিয়াছে । এবম্বিধ নানা কারণে সম্মেলনের দিনাজপুর অধিবেশনে {2i-t: :) SN28° সকল সম্প্রদায় ও শ্রেণীর প্রতিনিধিদের বাটোয়ারাটার বিরোধিতা করা আবগুক । বঙ্গদেশকে খণ্ডীকরণ ইংরেজ রাজত্বের আরম্ভ হইতে এবং তাহার পূৰ্ব্বে নবাবী আমলেও, যে ভূখণ্ডের লোকের বাংলায় কথা বলে তাহা একই প্রদেশ বলিয়া পরিগণিত হইত। বাংলাকে বিশেষ ভাবে থওঁীকৃত করা হয় লর্ড কার্জনের বঙ্গবিভাগ ব্যবস্থায় । তাহার বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন হওয়ায় বঙ্গথওঁীকরণের সেই ব্যবস্থা রহিত হয়, কিন্তু যে-সব জেলা ও মহকুমার স্থায়ী অধিবাসীদের প্রধান ভাষা বাংলা সেগুলিকে একসঙ্গে রাখিয়া একটি অখণ্ড বাংলা প্রদেশ গঠিত হয় নাই, বরং নূতন রকমের বঙ্গবিভাগ হয়। তাহার ফলে বাংলার সীমান্তভূর্ত কয়েকটি জেলা ও মহকুমাকে বঙ্গপ্রদেশের বাহিরে ফেলা হইয়াছে। প্রদেশগুলির সীমা নিৰ্দ্ধারণ জন্ত আবার অনুসন্ধানীদি হইবে সম্রাট পঞ্চম জজের এইরূপ একটি আশ্বাসবাণী ছিল, সাইমন কমিশনও সেইরূপ অভিপ্রায় প্রকাশ করিয়াছিলেন । কিন্তু যদিও রাজনৈতিক উদ্দেষ্ঠে সিন্ধুদেশকে আলাদা করা হইতেছে, বঙ্গের ঠিক সীমানির্দেশ করিয়া সকল বাঙালীর পৈত্রিক বাসভূমিকে একপ্রদেশভূক্ত করির অথও বঙ্গ প্রদেশ গড়িবার চেষ্টা করা হইতেছে না। এই বিষয়টির প্রতি বাঙালীদের মন দেওয়া অবিশুক । যাহারা এক ভাষায় কথা বলে তাহার এক রাষ্ট্রে থাকিলে তাঁহাতে তাঁহাদের ও তাঁহাদের রাষ্ট্রের শক্তি ও প্রভাব বাড়ে। রাষ্ট্রট যদি স্বাধীন হয়, তাহা হইলে এই শক্তি ও প্রভাব রাষ্ট্রের লোকেরা খুব বাঞ্ছনীয় মনে করে। তাহাতে তাহদের আর্থিক, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিগত সুবিধাও হয়। একভাষাভাষীদের ভূখণ্ড যদি স্বাধীন না হয়, কিংবা উহ। যদি রাষ্ট্র না-হইয়া উপরাষ্ট্র হয়, তাহা হইলেও, ঐরূপ শক্তি ও প্রভাব এবং উল্লিখিত রূপ श्रांर्षिक जांहिडिाक नश्शूडि विशन्त्रक एबिक्षीं कम तांश्नैौग्न ङ्च न1 ।। 鹹 এই সব কারণে আমরা অখণ্ড বাংলা চাই । - পাঠকেরা জানেন, জার্মেনীর জার্মানরা যে সার