পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

איזיאה כל বিবিধ প্রসঙ্গ—বঙ্গে চিনির কারখানা S86. আমরা অল্প দিন পূৰ্ব্বে বিশ্বস্তস্থত্রে গুনিয়াছি, একটি ভদ্রবংশীয় হিন্দু যুবক চাকরী পাইবার আশায় মুসলমান হইয়াছিল, কিন্তু তাহা না-পাওয়ায় আবার হিন্দু হইয়াছে ! ভারতে দেশী ও বিদেশী জীবনবীমা কোম্পানী ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় একটি-প্রশ্নের উত্তরে স্তর জোসেফ ভোর বলেন, ১৯২৮ সালে তারতীয় জীবন-বীমা কোম্পানীসমূহের আয় হইয়াছিল ৩,৩৪,৭৮,••• টাকা এবং বিদেশীগুলির ২,৯০,২৫,• • • টাকা। পরবর্তী কয়েক বৎসরের আয় ও দেশী কোম্পানীগুলির কিছু কিছু বেশী হইয়াছিল । ইহা জীবনবীমা সম্বন্ধে । অগ্নিভয়, সমুদ্রে জাহাজ জলমগ্ন হইবার ভয় প্রভৃতি সম্বন্ধে বিদেশী বীমা কোম্পানীগুলিই বেশী কাজ করিয়াছে। তাহার কারণ বুঝা কঠিন নয়। অগ্নিভােয়র জন্ত বীমা বেশীর ভাগ কারখানসমুহেরই করা হয়, এবং বেশী বেশী টাকার জন্ত করা হয় । অধিকাংশ বড় কারখানার মালিক বিদেশী, তাহারা বিদেশী কোম্পানীর আফিসেই বীমা করে । অগ্নিবীমার দেশী কোম্পানী অাছেও কম । জাহাজ দেশী লোকদের অল্পসংখ্যক আছে, প্রায় সবই বিদেশী, এবং জাহাজবীমার দেশী কোম্পানীর সংখ্যাও কম। সুতরাং অধিকাংশ জাহাজ-বীমা বিদেশী কোম্পানীর আফিসে হয় । জীবনবীমার কাজ বিদেশী কোম্পানীসমুহ যত পায়, তাহাও তাহীদের পাওয়া উচিত নয়। কারণ তাহীদের আয় ও লাভ বিদেশে বায় ; এদেশে থাকিলেও এদেশে বিদেশীদের বাণিজ্য ও পণ্যশিল্পের কারখানার উন্নতি ও বিস্তৃতির জন্ত ব্যবহৃত হয়। বিদেশী অনেক কোম্পানীর পুজি এত বেশী হইয়াছে, যে, তাহার। তাহাদের এজেণ্ট ও দালালদিগকে খুব বেশী কমিশন দিয়াও, বিজ্ঞাপনের জন্ত খুব বেশী খরচ করিয়াও, এবং বোনাস খুব বেশী দিয়াও কাজ বাড়াইতে সমর্থ। ভারতব-র্য তাহাদের নেট লাভ কয়েক বৎসর কিছু না হইলেও, এমন কি কয়েক বৎসর লোকসান হইলেও, ভাঁহার টিকিয়া থাকিতে পারে। দেশী জীবনীম কোম্পানীসমূহকে দেশী জীবনৰীমা সম্বন্ধীয় আইন মানিতে হয়। বিদেশী জীবনবীমা কোম্পানী 3 সমুহকেও ঠিক সেই সব আইন মানিতে বাধ্য করা উচিত । ভারতবর্ষে মোটর গাড়ীর কারখানা পঞ্চাশ লক্ষ টাকা মুলধনে ভারতবর্ষে একটি মোটর গাড়ী নিৰ্ম্মাণের কারখানা স্থাপনের চেষ্টা হইতেছে । তাহাতে বৎসরে পনর হাজার মোটর গাড়ী নিৰ্ম্মিত হইতে পরিবে । ভারতবর্ষে বিদেশী মোটর গাড়ীর উপর শতকরা ত্রিশ টাকা বাণিজ্যগুস্ক দিতে হয় । দেশী কারখানায় নিৰ্ম্মিত গাড়ীর জন্ত তাহা দিতে হইবে না বলিয়া এখানকার গাড়ীর দাম কম হইবে। এই উদ্যোগের মূলে এক জন বাঙালী আছেন । বঙ্গে চিনির কারখানা সকল প্রদেশের চেয়ে বঙ্গের লোকসংখ্যা বেশী, চিনি খাইবার লোকও বেশী। কিন্তু এই চিনির খুব বেশী অংশ বঙ্গের বাহির হইতে আসে, অথচ তাহ বঙ্গেই প্রস্তুত হইতে পারে। বিহারে ও আগ্ৰা-অযোধ্যা প্রদেশে বিস্তর চিনির কারখানা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে এবং সবগুলি হইতে লাভ হইতেছে। বঙ্গে কেবল দিনাজপুর জেলার সিতাবগঞ্জে, জলপাইগুড়ি জেলার শিকারপুরে, রাজসাহী জেলার গোপালপুরে, মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙায় ও ঢাকা জেলার নারায়ণগঞ্জে মোট পাঁচটি কারখানা স্থাপিত হইয়াছে, এবং বর্ধমান জেলায় একটি স্থাপিত হইতেছে । সবগুলির মালিক আবার বাঙালী নহে, বেশীর ভাগ অন্তেরা মালিক । আগে বঙ্গে খুব বেশী পরিমাণে অাকের চাষ হুইত, এখনও হইতে পারে। যেসব অঞ্চলে বৃষ্টি বেশী হয় এবং জমী নীচু ও সরস, সেখানে যেমন আকের চাষ হইতে পারে, ষে-সৰ অঞ্চলে বৃষ্টি কম হয় এবং জমী উচু ও শুষ্ক, সেখানেও তদ্ধপ ইহা চলিতে পারে। সুতরাং প্রত্যেক জেলাতেই ইক্ষু উৎপাদন করিয়া চিনির কারখানা স্থাপন করা যায়। বড় বড় কারখানাই যে স্থাপন করিতে হইবে এমন নয়। ছোট ছোট কারখানা স্থাপন কম মুলধনে সহজে হয় । তাঁহার দ্বার স্থানীয় অভাব মোচন করিলে কাজ বেশ চলিতে পারে ।