পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেশণ প্ৰ এখন ব্যবস্থাপক সভাকে অগ্রাহ করির বড়লাটের এইরূপ কাজ করিবার ষে ক্ষমতা বৰ্ত্তমান ভারতশাসন আইন অনুসারে আছে, তার চেয়ে বেশী বিষয়ে বেশী ক্ষমতা র্তাহাকে ও প্রাদেশিক গবর্ণরদিগকে নূতন আইনে দেওয়া হইতেছে। কাহারও কাহারও এইরূপ অtয় প্রতারণা করিবার প্রবৃত্তি আছে, যে, নুতন আইনে প্রদত্ত প্রভূত ক্ষমতাগুলার প্রয়োগ অত্যন্ত সঙ্গীন সঙ্কট অবস্থা ভিন্ন করা হইবে না । এখন ত কোন সঙ্কট অবস্থা হয় নাই, বঙ্গেটে উত্তই দেখান হইয়াছিল। তথাপি বড়লাট নিজের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করিলেন । অতএব এখন আত্মপ্রভারকদের ভ্রাস্ত ধারণার উচ্ছেদ হওয়া উচিত। বালুরঘাট উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় দিনাজপুর জেলায় বালুরঘাট একটি বড় গ্রাম । ইহাকে শহর বলা চলে না, কেন-না এথানে মিউনিসিপালিটি নাই। ইহার অধিবাসীদিগের সাৰ্ব্বজনিক লোকহিতকর কার্য্যে উৎসাহ প্রশংসনীয়। এখানে তাহার একটি উচ্চশ্রেণীর ইংরেজী বিগুtলয় চালাইয়া আসিতেছেন। গত মাসে তাহার ২৫ বৎসর বয়ঃক্রম পূর্ণ হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাহার “রজত রঞ্জনোৎসব" করিয়াছিলেন । বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ বেসরকারী । ইহার পাকা ঘরবাড়ি স্থানীয় ভদ্রলোকের চাদ দিয়া নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন, চলতি খরচের জন্তও তাহারা সরকারী কোন সাহায্য গ্রহণ করেন না, প্রার্থনাও করেন না । তাহা সত্বেও বিদ্যালয়টি সুপরিচালিত । তাহার একটি কারণ, ইহার শিক্ষক মহাশয়ের অপেক্ষাকৃত অল্প বেতনে কাজ করেন এবং প্রাণ দিয়া কাজ করেন । এই বিদ্যালয়ে বালিকারীও শিক্ষা পাইয়া থাকে, ইহা অারও সস্তোষের বিষয় । উৎসব সুসম্পন্ন হইয়াছিল । বহুসংখ্যক মহিলা বালকবালিকাদিগকে লইয়া সমবেত হওয়ায় সভামণ্ডপ উৎসবক্ষেত্রের মত ঐসম্পন্ন দেখাহতেছিল। বালুরঘাটে শিক্ষা বিষয়ে যেরূপ উৎসাহ দেখিলাম, তাহাতে মনে হয়, এখানকার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা মন দিলে এই স্থান হইতে র্তাহার নিরক্ষরতার সম্পূর্ণ উচ্ছেদসাধন কfরতে পারিবেন। ব্রতচারা লোকনৃত্য ঐযুক্ত গুরুসদয় দত্ত মহাশয়ের ব্রতচারী প্রচেষ্টা উন্নতি ও বিস্তার লাভ করিতেছে, ইহা সন্তোষের বিষয় । এক বীর কোল্পগর ইংরেজী বিদ্যালয়ে বালকদের এক রকম ব্রতচারী স্বত্য দেখিয়াছিলাম। গত মাসে বালুরঘাটে ছাত্রদের নানা সুৰম লোকনৃত্য দেখিলাম। তাহার বেশ শিখিয়াছে। এই সব সম্পূর্ণ হুঙ্কুচিসঙ্গত বৃত্যে নর্তক বিবিধ প্রসঙ্গ—ৰাংলা দেশের রাজনীতি ●●s ও দর্শকদিগের আমোদ হয় এবং নৰ্ত্তকদের ব্যায়াম হওয়ার স্বাস্থোর ও উন্নতি হয় । চাষের কোন কোন প্রক্রিয়ার অনুকারী নৃত্যগুলির আর এক গুণ এক্ট, ষে, ভঙ্গার কৃষির সম্বন্ধে মনে অবজ্ঞা বা অগৌরবের ভাৰ थाकिcण उांश मूव्र इहेब बन उझांद्र ०धडि यांझठे श्छ । ব্রতচারীদের পণ ও প্রতিজ্ঞাগুলিও বেশ এবং কোন ८कांनछि ८कोङ्गकांबझ् । ইহাদের চীৎকারগুলি বেশ মজার। এগুলি অর্থহীন । আমেরিকার এক এক বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও-স্কুলে এক এক রকম য়েল (Yell) বা চীৎকার আছে যাহার কোন মানে নাই। ব্রতচারীদের চীৎকার সেই জাতীয়। ইহাদের অভিবাদনও (গ্ৰীটিংও ) নুতন রকমের । এই চীৎকার ও অভিবাদন অবত অনভ্যস্ত-দর কাছে অস্তুত ঠেকে, কিন্তু কালক্রমে হয়ত আর অভূত লাগিবে না। বাংলা দেশের রাজনীতি এই মাসে কয়েক দিন পরেই দিনাজপুরে বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় সম্মেলনের অধিবেশন হইবে। ইহা কংগ্রেসের নিয়ম অনুসারে হইবে। এই উপলক্ষ্যে কিছুদিন আগে হইতে আমাদের মনে হইয়াছে, বে, বাংলা দেশে রাজনৈতিক-মতিবিশিষ্ট (পোলিটিকালি মাইণ্ডেড় ) লোকদের মধ্যে রাজনৈতিক প্রধান প্রধান মত এখন একই রকম হইয়া গিয়াছে । আগে কংগ্রেসের সভ্য এবং অগ্রসর উদারনৈতিক দর মধ্যে একটা প্রধান প্রভেদ এই ছিল, ষে, উদারনৈতিকর অসহযোগ ও অহিংস আইনলজৰনে যোগ দিতে সম্মত ছিলেন না। এখন অসহযোগ ও অহিংস আইনলন্তৰন স্থগিত হওয়ায় অগ্রসর সব দলের রাজনৈতিকদের মত প্রায় এক ধাচের হইয়াছে । জন্ত অনেক প্রদেশে কংগ্রেসের গোড়া দলের সাম্প্রদায়িক বাটোয়ার না-গ্ৰহণ না-বর্জন নীতি সম্বন্ধে কংগ্ৰেগলভ্যদের মধ্যে মতভেদ যেরূপই থাক, বঙ্গে বাটোয়ারবিরোধী দলই যে স্পষ্টতঃ সংখ্যাভূয়িষ্ট তাহাতে সন্দেহ নাই । বঙ্গের মুসলমানেরা অবশ্য বাটোয়ারটিার পক্ষে । বঙ্গে রাজনৈতিক মতের অবস্থা এইরূপ হওয়ায় আমাদের মনে হইয়াছিল, যে, সব দলের লোকদের একটা ঘরোয়া সামাজিক-গোছের সন্মলন হইলে মন হইত না । ইহাতে বকুত হইতে পারিত, কিন্তু কোন প্রস্তাৰ ধাৰ্য্য করিবার বা কোন প্রকার ভোট লইবার প্রয়োজন হইত না । দিনাজপুরে যে সন্মলন হইতেছে ত:হাঁর পরিবর্তে এৰূপ সম্মেলন হওয়া উচিত ছিল, তাহ অমর বলি:তছি না। ইহা “অধিকন্তু” হইতে পারিত, এই রূপ বলাই त्रांमांzनब्र अङिaथांच्च ।