পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੋਹੈ। অনুশীলন করিতে পরিবেন বলিয়া অভয় পাইয়াছেন । তাহারা সম্যক অবগত আছেন যে তাহারা বহিমঙ্গোলিয়ায় বৈপ্লবিক-পন্থী মঙ্গোলগণ অপেক্ষ দলে সংখ্যালঘিষ্ট । সুতরাং প্রাচীন-পন্থীর ধাহীরা এখনও জীবিত আছেন তাহারা ইহাদের গতিরোধ করিতে পাfরবেন, এই ধারণার বশবৰ্ত্তী হইয় তাহারা স্থির করিয়াছেন যে, অদূর ভবিষ্যতে আবহমানকাল প্রচলিত এক রক্ষণশীল জাতীয়তাবাদের সৃষ্টি করিয়া তাহারা মাঞ্চুকুয়ো সম্রাটের নিকট আনুগত্য স্বীকার না করিয়া এক সম্পূর্ণ স্বাধীন মঙ্গোল-রাজত্বের প্রতিষ্ঠা করিবেন । কিন্তু দুঃখের বিষয় তাহার এক ধ্বংসোন্মুখ নীতির অনুসরণ করিয়া চলিয়াছেন । দেখা গিয়াছে যে, তাহারা পরস্পর মিলিত হওয়া দুরে যাক জাতীয়ভার বিরুদ্ধগামী পরম্পরের স্বার্থপরতা লইয়া ব্যস্ত আছেন ; অপর পক্ষে এক অভিনব শক্তিশালী যুবক মঙ্গেল দল আধুনিক আচার-ব্যবহারে স্বসমৃদ্ধ হইয়া এই প্রাচীন দলের অভিযানকে ব্যর্থ করিয়া দিবার প্রয়াস পাইতেছেন। ইছারা "কমুউনিষ্ট মতবাদী এবং প্রয়োজন হইলে বহিমঙ্গোলিয়ার সাহায্যও লইবেন । এইরূপে রুশিয়ার সাহায্যে এক অপুৰ্ব্ব মঙ্গোল জাতীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হইতে পারে বটে, কিন্তু তাহাতে দেশে বিপ্লববহ্নি প্ৰজলিত হইবে । সুতরাং দেখা যাইতেছে মঙ্গোলগণকে কেন্দ্র করিয়া জাপান ও কুশিয়া মঙ্গোলিয়ায় সুসজ্জিতভাবে পরস্পর পরস্পরের সন্মুখীন। যদি পুনরার রুশ-জাপানে যুদ্ধ সংঘটিত হয় তবে মঙ্গোলিয়ার বিস্তীর্ণ ভূমিখণ্ড উভয় পক্ষকে বিশেষ সাহায্য দান করিবে । স্বায়ত্তশাসনশীল সিংজাং রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করিয়া জাপান, চীন-শাসিত ছাহার ও সুইউয়ান প্রদেশের অসন্তুষ্ট মঙ্গোল রাজন্তবর্গকে কিয়ৎ পরিমাণে আশ্বস্ত করিতে সক্ষম হইয়াছে। যতদিন পৰ্যন্ত চীন এই श्रेक्ष्ण७णि प्रथज कब्रिब्र शृंॉकिट्य ठङनेिन *{{{रिठ छाँ*ांन ७ রুশের মধ্যে একটা শক্তির সমতা থাকিবে। হতরাং কেহই এই অংশগুলি সহগ অধিকার করিবার প্রয়াস পাইবে না। ছাহার প্রদেশের দলেনের নামক স্থানে জাপান সৈন্তের সমাবেশ এই সমতা-ভঙ্গের অভিাব দিতেছে। এইরূপ অবস্থায় মঙ্গোলগণের কার্য্যাৰলী এক চীন সাম্রাজ্যের অঙ্গচ্ছেদ צרa মহাসমরের ইন্ধন যোগাইয়া নিজেদের সেই সুযোগে প্রতিষ্ঠা করিয়া লইতে পারে । আভ্যন্তরীণ তিববত গত পঞ্চাশ বৎসর যাবৎ মধ্য-এশিয়ায় তিববভকে লইয়া নানা বাদ-বিলম্বীদের স্থষ্টি হইয়াছে। চীন, ইংরেজ ও কুশিয়ার মধ্যে তাহা সীমাবদ্ধ ছিল ; কিন্তু পরবর্তী কালে মঙ্গোল, মিং ও মাধু সম্প্রদায়ও তিব্বতের উপর আধিপত্য করিয়াছে । ইংরেজ উত্তর-ভারত পর্য্যস্ত তাহাদের সীমারেখা বিস্তার করিতে চেষ্টা পাইয়াছেন । গত শতাব্দীর শেষভাগে নেপাল, ভূটান ও সিকিম হইতে মাঞ্চু-তিব্বতীয় প্রভাব বিদূরিত হওয়ায় ইংরেজরা প্রত্যক্ষভাবে তিব্বতের সংস্পর্শে আসিয়াছে। ১৯ee খ্ৰীঃ অঃ হইতে ব্রিটিশ, তিব্বতকে ভারতের সীমান্তপ্রদেশের ঘ"াটিরূপে পরিগণিত করিতেছেন । উত্তর হইতে রুশিয়ার আক্রমণ ব্যর্থ করিবার পক্ষে এই কেঞ্জ সম্যক উপযোগী । ১৯৯৪ খ্ৰীঃ অব্দের প্রথম ভাগে কর্ণেল ইয়ংহাজবেওএর অধিনায়কত্বে তিব্বতে পরিবর্দ্ধনশীল রুশিয়ার প্রভাবকে ক্ষুণ্ণ করিবার জন্ত এবং তিব্বত ধে-ব্যবসানীতি সম্পূর্ণ অমান্ত করিয়া আসিতেছে ইংরেজের সহিত সেই ব্যবসাস্থত্রে আবদ্ধ হুইবার জন্ত এতদঞ্চলে এক অভিধান দল পাঠান হইয়াছিল। তিববতীয়গণ এই দলকে আক্রমণ করিয়া ৩৭ জনকে নিহত করে, ও নিজেরাও ৭০ জন নিহত হয় । লাসার ব্রিটিশ সৈন্ত ৩রা আগষ্ট প্রবেশ করিলে দালাই লাম মঙ্গালিয়ার পলায়ন করেন এবং ৭ই সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে এক সন্ধিপত্র স্বাক্ষরিত হয় । তাঁহারই ফলে দণ্ডস্বরূপ তিব্বত ইংরেজকে ৫••••• পাউও প্রদান করিতে বাধ্য হয় এবং তিনটি শহরে ইংরেজকে ব্যবসা করিতে হযোগ প্রদান করা হয়। এই সৰ্বগুলি প্রতিপালন হইবার পরও ছুথি উপতাকা-প্রদেশে তিন বৎসরের জন্ত ব্রিটিশ সেনা-শিবির সন্নিবিষ্ট করিতে দেওয়া হইল । তিববতও ইংরেজের অভিপ্রায় ও মতামত ব্যতীত অন্ত কোনও বৈদেশিকগণকে এখানে জোঁত-জমি প্রতিষ্ঠা করিতে বা ব্যবসা-কেন্দ্র খুলিতে অনুমতি দিবে না, প্রতিশ্রত হয় ।