পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রিটিশ জাতির রাজভক্তি . ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধিপতি ইংলণ্ডেশ্বর পঞ্চম জর্জের রাজত্বকালের পচিশ বৎসর পুর্ণ হওয়: উপলক্ষে ব্রিটিশজাতীয় লোকেরা স্বদেশে এবং সাম্রাজ্যের অন্ত সব অংশে নানা পকার আমোদ আহিল:দ করিয়াছে, গ্রামনগরাদি গালাকমলীয় সুসজ্জিত করিয়াছে, আতসবাজী দ্বারা দর্শকদের চমক লাগাইয়া দিয়াছে, সৈনিকদের কুচকাওয়াজ কর৷ইয়াছে এব° অীরও নানাপ্রকারে জাকজমকের সহিত “ব স্থত-জয়ন্তী"র উৎসব সম্পন্ন করিয়াছে । এই সকল বাহ্য পড়িঙ্গয় যদি রাজভক্তির চিহ্ন হয়, তাহ হইলে ব্রিটিশ জাতিকে রাজভক্ত বলিতে কোন বাধা নাই । fকন্তু ব্রিটিশ জাতিকে রাজভক্ত মনে করিবার অন্ত কারণও જlts রাজা পঞ্চম জর্জের রাজত্ব আরম্ভ হয় ১৯১• পীলে । ঐ বৎসর হইতে বৰ্ত্তমান বৎসর পর্য্যস্ত ইউরোপের বহু দেশের শাসনপ্রণালী পরিবর্তিত হইয়াছে । কোথাও সাম্রাজ্যের পরিবর্তে, কোথাও বা রাজ্যের পরিবর্তে কোন-লা-কোন রকমের সাধারণতস্থ স্থাপিত হইয়াছে। রাশিয়া সম্রাটের অধীন ছিল, সাধারণতন্থ হইয়াছে ; তুরস্ক মুলতানের অধীন ছিল, সাধারণতন্ত্র হইয়াছেঃ থামেনী সমাটের অধীন ছিল, সাধারণতন্ত্র হইয়া এখন আবার হিটলারের একনায়কত্বের অধীন হইয়াছে ; অষ্টিয়াহf.ঙ্গরী এক সম্রাটের অধীন ছিল, উভয় দেশেই সানfজ্য সুপ্ত হইয়৷ সাধারণতন্থ স্থাপিত হইবার পর একাধিক বার বিপ্লব ঘটিয়াছে ; স্পেনের রাজা সিংহাসন ত্যাগ করিয়াছেন বা সিংহাসনচ্যুত হইয়াছেন দুই-ই বলা চলে,এবং স্পেনে সাধারণতন্ত্র স্থাপিত হইয়াছে ; ১৯১০ সালে পেটুিগাল ধারণতন্ত্র হইয়াছে : ইটালীর রাজার ক্ষমতা লুপ্ত হইয়াছে, কিন্তু ঐদেশ সাধারণতন্ত্র না হইয়া মুসোলিনির একনায়কত্বের অধীন হইয়াছে ; এবং চেকোঙ্গোভাকিয়া, পোল্যাও প্রভৃতি } -- Ti দেশ অন্ত কোন কোন দেশের অধীনতা হইতে মুক্ত হুইয়া সাধারণতন্ত্র হইয়াছে । এশিয়ার বৃহত্তম ও প্রাচীনতম সাম্রাজ্য চীন ১৯১২ সালে সাধারণতন্ত্রে পরিণত হয় এবং তাঁহার পর হইতে এখনও সেই বৃহৎ দেশে বিশৃঙ্গল অবস্থা চলিয়া আসিতেছে । ব্রিটেনে কিন্তু এখনও রাজার রাজত্ব বিদ্যমান। ইহা হইতে বলা ধাইতে পারে, যে, ব্রিটিশ জাতি রাজতন্থ শাসনপ্রণালী পছন্দ করে । কিন্তু এই টুকু বলিলেই সব কথা বলা হইবে না । ব্রিটেনে রাজার ক্ষমতা খুব সীমাবদ্ধ ; —নামে রাজার ক্ষমতা অনেক রকম আছে বটে, কিন্তু কাৰ্য্যতঃ বিশেষ কিছুই নাই । রাজা মন্ত্রীদের পরামর্শ অনুসারে চলিতে বাধ্য, এবং এক এক বারের পালেমেণ্ট-সভ্য-নিৰ্ব্বাচনে ঘেদল সংখ্যাভূঠিষ্ট হয়, মন্ত্রীরা তাহর মধ্য হইতে মনোনীত হইয়া থাকে । সুতরাং ব্রিটেনে রাজার ক্ষমতা প্রজাদের অধিকার স্বারা নিয়ন্ত্রিত । বস্তুতঃ এরূপ বলিলে অপ্রকৃত কিছু বলা হয় না, যে, ব্রিটেন এরূপ একটি সাধারণতথ যাহার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নাই কিন্তু যাহার সিংহাসন পিন্ধঢ় রাজা পুরুষানুক্রমে কতকটা প্রেসিডেন্টের মত । ইংলণ্ডের লোকদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা কোন সাধারণতম্বের লোকদের চেয়ে কম নয় । সেই কারণে এবং আর একটি কারণে ইংলণ্ডে রাজতন্ধের পরিবর্তে সাধারণতন্ত্র স্থাপন অধিগ্রক হয় নাই। দ্বিতীয় কারণটি ব্রিটিশ রাজনীতির একটি পচলিত কথার মধ্যে নিহিত। তাহা এই, যে, রাজা গৰ্হিত কিছু, অঙ্গর কিছু, প্রজাদের অহিতকর কিছু করিতে পারেন না (“The King can do no wrong” ) fift now fog office oritan ন, তাহাকে সরাইবার অবিশুক কি ? স্বতরা ইউরোপের অন্ত অনেক দেশে রাজতন্ত্র বা সমাটতন্ত্র বদলাইবার প্রয়োজন থাকায় পরিবর্তন হইয়া থাকিলেও ব্রিটেনে সে ब्रकम ejzब्राँछtनब्र पञख्छांट्व दिग्नय झग्न मांडें ।