পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ും “উরশিমা ত কত শত বৎসর আগে এই দেশ হইতেই কোথায় অদৃশ্য হইয়া গিয়াছে !” উরশিমার বুক কঁপিয়া উঠিল, মাথা ঘুরিয়া গেল ; রাজকন্তরে নিকট ফিরিয়া যাইতে তাহার মন কাদিয়া উঠিল। হতাশ হইয়। উরশিম রত্নখচিত কৌটটি খুলিয়া ফেfলল । উরশিমা যেমন ভাবিয়াছিল, কোঁটার ভিতর তেমন কিছুই নাই। কেীট খুলিতেই তাহীর তলা হইতে হাওয়ায় ভাসিয়া খানিকটা শুল ধোয়া উঠিয়া উরশিমীকে বেড়িয়া ধরিল । এক মূহূর্তে তরুণ যুবক উরশিমা অতি বুদ্ধ জেলে হইয়া গেল। তাহার তরুণ মুখমণ্ডল ও মস্বণ উয়শিম তীয়ে জরাগ্রস্ত হইল চৰ্ম্ম নিমেষে মিলাইয়া গেল, কুত্ৰ বলিরেখায় মুখ ভরিয়া গেল। তাহার দীর্ঘ দেহ অৰ্দ্ধেক ছোট হইয়া গেল, পিঠ জরাভারে নুইয়া পড়িল, মুকঠিন দুই পা এমনই কঁাপিতে লাগিল, যে, তাহার দাড়fইয়া থাকাই দায় হইল । তবু সৰ্ব্বহার বৃদ্ধ এক হাতে কৌটার চাকনা ও অপর হাতে শুষ্ঠগৰ্ভ কৌটাটি লইয়। সেইখানেই দাড়াইয়া রহিল । জাপানী “নিপ্পন” পত্রিকায় প্রকাশিত এই গল্পটি পড়িয়া মনে হইল,—সমুদ্রতীরবাসীদের মধ্যে রহস্তময় সাগরের মায়ার এইরূপ গল্প বোধ হয় নানা দেশেই প্রচলিত আছে । >N38之 কেহ অতল সমুদ্রগর্ভে সেই কল্পলোকের স্বজন করে, কেহ অন্তহীন সমুদ্রের পারে সেই মায়ালোকের কল্পনা করে । বিখ্যাত আইরিশ বীর ফীনের পুত্র ওশিনের নামে এইরূপ গল্প আছে, যে, চিরযৌবনের দেশের অনন্তযৌবনা রাজকন্তা নায়াম ওশিনের প্রেমে মুগ্ধ হইয়া র্তাহাকে আপনার ফেন-শুভ্ৰ অশ্বপৃষ্ঠে তুলিয়া সমুদ্রে ঝাপ দিয়া সাগরের পর সাগর পার হইয়া নিজ দেশে লইয়া যান । s সেখানে সমুদ্রতীরে নীল পাহাড়ের ধারে নিঝরিণীর কেলে সোনায়-মোড়া রত্নখচিত প্রাসাদে দশদিনব্যাপী উৎসবের পর অনন্তযৌবন সুবর্ণকেশী নয়ামের সহিত ওশিনের বিবাহ হইল । চির-বসস্তের ফুল-ফলের সমারোহের ভিতর রাজসমারোহে, সঙ্গীতে উৎসবে, বাদ্যে, শত অনুচরের সেবায় ওশিনের তিন শত বৎসর কাটিয়া গেল । কিন্তু র্তাহার মনে হইল, মাত্র তিনটি বৎসর বুঝি অতীত হইয়াছে । তখন মন ব্যাকুল হইয়া উঠিল দেশ, পিতামাতা ও বন্ধুদের জন্ত । নায়ামকে চোথের জলে ভাসাইয়t তাহার নিকট বিদায় লইয়া ওশিন দেশে ফিরিয়া চলিলেন । যে ফেনশুভ্ৰ আশ্বের পিঠে ওfশন এদেশে আসিয়াছিলেন, তাহারই পিঠে চড়িয়া নায়াম তাছাকে স্বদেশে যাইতে বলিলেন । কিন্তু বার-বার তিন বীর করিয়া নায়াম বলিয়া দিলেন, এ অশ্বের পিঠ হইতে তুমি নামিও না, তাহা হইলে তুমি আর এ-লোকে ফিরিতে পরিবে না।” স্বদেশে ফিরিয়া ওশিন পিতা কি বন্ধু কাহারও কোন চিহ্ন খুজিয়া পাইলেন না । যাহাঁদের ফিনের কথা জিজ্ঞাসা করিলেন, তাহারা সকলেই বলিলেন, “শত শত বৎসর আগে তিনি স্বর্গগত হইয়াছেন, র্তাহার পুত্র ওশিন