পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سواo 6 কাব্য রচনা করিয়াছিলেন," (পৃ. ৩\ ৩/• ) এৰং “চণ্ডীদাসের নামে প্রচারিত পদাবলী এই বৃহৎ কাব্যের অংশ মাত্র” (পৃ. ৩২) । দ্বিজ ও দীন চণ্ডীদাসের পৃথক অস্তিত্ব অস্বীকার করিয়া তিনি বলেন, “দ্বিজ ভণিতা পয়ৰী আরোপ মাত্র, কবি কখনও নিজেকে দ্বিজ ভণিতার প্রচার করেন নাই” (পৃ. ৩\ ) উল্লিখিত সকল সিদ্ধান্তই মণীন্দ্র বাৰু যথাযোগ্য যুক্তি-তর্ক সহকারে প্রমাণ করিবার চেষ্টা করিয়াছেন এবং জামাদের মনে হয় যে নিরপেক্ষ সমালোচক মাত্রই তাহার সিদ্ধাস্তনিচয় সম্বন্ধে অনুকুল ভাব পোষণ করিবেন। স্থানাভাৰে এন্থলে তাহার প্রদর্শিত যুক্তি-তর্কের কোন সংক্ষিপ্ত উল্লেখও সম্ভবপর নহে, তবে এ-কথা নিঃসন্দেহ বলা যায় যে, তিনি এই প্রসঙ্গে বৈজ্ঞানিক প্রণালীতেই চলিতে চেষ্টা করিয়াছেন । তাহার যুক্তি-তর্কের প্রধান জাখার প্রাচীন পুথি এবং প্রকাশিত প্রাচীন বাংলা সাহিত্যাদি । পুথির প্রমাণ সৰ্ব্বত্র দিতে না পারিলেও বহু স্থলে তাহ উাহার সিদ্ধান্তকে দৃঢ়ভাৰে স্থাপনার সাহায্য করিয়াছে এবং যে-থে স্থলে এতজ্ঞাতীয় প্রমাণ অপ্রাপ্য সেই-সেই স্থলে তিনি উচ্চাঙ্গেয় সমালোচনা-পদ্ধতিয় শস্ত্রণ লইয়াছেন এবং নিপুণতার সহিত সেই পদ্ধতির অমুসরণ করিয়াছেন । এই পৰ্য্যন্ত পুস্তকখানির প্রশংসাবাদ । ইহাতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ত্রুটি যে আবিষ্কার করা না-যায় এমন নহে । স্থা, সম্পাদক বৃহৎ কাব্য অর্থে "মহাকাব্য’ শব্দ ব্যবহার করিয়াছেন, অথচ "মহাকাবো’র একটি পরিভাষিক অর্থ আছে, এবং সেই অর্থে কৃষ্ণলীলাত্মক পদাবলীকে মহাকাব্য ৰলা যায় না । কিন্তু ইহা গ্রন্থ-সম্পাদকের অসাবধানত মাত্র । আর দানলীলা নৌকালীল যে চণ্ডীদাস-পরবর্তী সাহিতে কেমন ধারাবাহিকভাবে অস্তিত্ব রক্ষা করিয়াছে ভtহার নিদর্শন দিতে গিয়৷ তিনি ভ্রমক্রমে একটি সুবিদিত গ্রন্থের উল্লেখ করেন নাই। মাধবাচার্যোর কৃষ্ণমঙ্গলে দানলীলা ও নৌকালীল বর্ণিত হইয়াছে । ( বঙ্গবাসী সংস্করণের ৭০ ও ৭৫ পৃঃ দুষ্ট বা ) মাধবাচাধ্যকে কেহ কেহ চৈতন্যদেবের সমসাময়িক মনে করেন। যাক, এই জাতীয় ক্রটিতে ‘দীন চণ্ডীদাসের পদাবলী’র মত গ্রন্থের গৌরব ক্ষুণ্ণ হয় নাই। আমরা উংস্থকভাবে ইহায় দ্বি তার পণ্ডের চেষ্ঠ অপেক্ষা করিৰ । ঐমনোমোহন ঘোষ যুথপতি—লেখক শ্ৰীধনগোপাল মুখোপাধ্যায়, অনুবাদক শ্ৰীশুরেশচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়। প্রকাশক এম. সি. সরকার এণ্ড সন্স, কলিকাতা মুলা ১। • জীবজন্তুকে অবলম্বন করিয়া গল্প রচনা করিবার রীতি এদেশে জাতক পঞ্চভস্ত্রের অমিল হইতে চলিয়া আসিয়াছে ; কুতরাং তাহ অতি প্রাচীন বলা যাইতে পারে। এই শ্রেণীর রচনার মধ্যে কিছু পরিমাণ সাহিত্যরস থাকিলেও সেগুলিকে ঠিক সাহিত্য বলা চলে না। "কথামাল!” শিশুচিত্তে আনন্দ জাগাইলেও তাহ পাঠ্যপুস্তকই হইয়া থাকে। যেদেশে জীবজন্তুর কাহিনী এতদিনের পুরাতন আশ্চযোয় বিষয় সেদেশে কিপলিং-এরJungle Book-এর মত সাহিত্য এতদিন রচিত হয় নাই। শ্ৰীযুক্ত ধনগোপাল মুখোপাধ্যায় সম্প্রতি এই শ্রেণীর গ্রন্থ লিখিয়া ইংরেজী সাহিত্যক্ষেত্রে দ্বথেষ্ট থাতি লাভ কঞ্জিয়াছেন। তাছার রচনা কিপলিং-এর রচনা হইতে স্বতন্ত্র ধরণের । তাহাতে ধনগোপাল বাবুর ভারতীয় দৃষ্ট ও দরদের হস্পষ্ট পরিচয় আছে, সুতরাং ভারতীয় পাঠক সেগুলি পাঠ করিয়া অধিকতর আনন্দলাভ করিতে পারেন । কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে ধনগোপাল বাবুর বইগুলি ইংরেজীতে লিখিত বলিয়া সাধারণ বাঙালী বালক-পাঠকমণ্ডলীর পক্ষে দুরধিগম্য। সৌভাগ্যের প্রবণসী SN98R বিষয়, সম্প্রতি তাহার গ্রন্থগুলির বাংলায় অনুবাদ হইতেছে। বাংলায় বালক-পাঠ্যগ্রন্থের একান্তই অভাৰ ; এই অমুবাদগুলি সেই অভাব কিছু পরিমাণে দূর করিবে, এ-বিষয়ে সন্দেহ নাই। আলোচ্য গ্ৰন্থখানি Lord of the Herd নামক গ্রন্থের অনুবাদ । এদেশের একটি হাভার দলের সর্দান্নেয় কাহিনী অবলম্বন করিয়াই গ্রন্থটি রচিত হইয়াছে। সর্দারের বিচিত্র জীবনের কথা বর্ণনা করিতে গিয়া লেখক জীবজন্তুর জীবন সম্বন্ধে যে গভীর অস্তদৃষ্টি ও জয়দের পরিচয় দিয়াছেন, তাহা সত্যই বিস্ময়কর। বইটি পড়িতে পড়িতে ছেলেমেয়ের প্রচুর আনন্দ অনুভব করিবে । সুরেশ বাবুর অনুবাদ কুন্দর হইয়াছে। র্তাহার ভাষা সরল, সজীব ও স্বাভাবিক, পড়িতে ৰাধে না । বইপানি পড়িয়া ভাল লাগিল । দু-এক জায়গায় স্থানীয় কথ্যভাষার প্রয়োগ কানে বাজিয়াছে। গ্রন্থের ছাপা ও বাধাই কুনয়, কিন্তু ছবিগুলির কয়েকটি ভাল ফোটে নাই। ঐঅনাথনাথ বসু ত্রিপিটক গ্রন্থমালা—৩, ৪ । (৮) ৰুদ্ধবংশ ( বাংলা অনুবাদ সমেত) শ্ৰীধৰ্ম্মতিলক স্থৰিয় কর্তৃক অনূদিত । (৪) ধৰ্ম্মপদার্থকথা— যমকবর্গ (বাংলা অনুবাদ সমেত ) শ্ৰীশীলালঙ্কার স্থবির কর্তৃক অনুবাদিত । বৌদ্ধ মিশন, ১৫৮ নং অপার ফেয়ার স্ট্রীট, কান্দগ্ধে, রেসুন । বঙ্গভাষার মধ্য দিয়া বৌদ্ধ সাহিত্য ও বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের তত্ত্বকথা প্রচারের শুভ উদ্যে লইয়া স্বদুর রেঙ্গুনে বৌদ্ধ মিশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হইয়াছে ; সম্প্রতি মিশনের কর্তৃপক্ষ ত্রিপিটক গ্রন্থমালা নাম দিয়া বৌদ্ধ শাস্ত্রগ্রন্থের মূল ও বঙ্গানুবাদ প্রচারের কধ্যে হস্তক্ষেপ করিয়াছেন। টীকা-টপ্পনী-সংবলিত বিশাল ত্রিপিটক সাহিত ও তাহার অণুবাদ সম্পাদন ও প্রকাশের কায্যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন । মিশন কর্তৃক এখন পর্যান্ত অর্থসংগ্রহের কোনও নির্দিষ্ট ব্যবস্থা হয় নাই। আলোচা গ্রন্থ দুইখানির মধ্যে প্রথমখানি মহাভিক্ষু সমাগমের উদ্ধৃত্ত অর্থের দ্বারা প্রকাশিত হইয়াছে ; শ্ৰীযুক্ত বরদাচরণ চৌধুরী ও যুক্ত হারাণচন্দ্র চৌধুরী নামক চট্টগ্রামের দুই জন বনান্ত বাক্তির অর্থমুকুল্যে দ্বিতীয়খনি মুদ্রিত হইয়াছে। আশা করা যায়, ৰঙ্গসাহিত্যের সম্পদ বৃদ্ধি ও বাঙ্গালীর জ্ঞান-ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করিবার জষ্ঠ বৌদ্ধ মিশনের এই সাধু প্রচেষ্টা ক্রমে সাহিত্যাগুরাগী অদ্যাপ্ত বদান্ত ব্যক্তিবর্গের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে পরিবে এবং কাৰ্য্য স্বসম্পাদনের পথ সুগম হুইবে । গ্রন্থ দুইখানির মধ্যে বুদ্ধবংশে অতীত বুদ্ধগণের জীবনবৃত্তান্ত সংক্ষেপে বণিত হইয়াছে। যুক্ত প্রজ্ঞানন্দ স্থবির ভূমিকায় গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়াছেন। ধৰ্ম্মপদার্থকথা স্বপ্রসিদ্ধ ধৰ্ম্মপদ নামক গ্রন্থের ব্যংখ্যা বা বিবরণ গ্রন্থ। ধৰ্ম্মপদের গাথাগুলি যে সকল বিশিষ্ট ঘটনা উপলক্ষে রচিত হইয়াছিল বলিয়া প্রসিদ্ধি আছে তাঁহাদের বিবরণপূর্ণ বিভিন্ন উপাখ্যান এই গ্রন্থে বর্ণিত হইয়াছে। "গ্ৰন্থপরিচয়ে যুক্ত প্রজ্ঞালোক স্থধির মহাশয় প্রসঙ্গত: বৌদ্ধ সাহিত্যের বিভিন্ন ব্যাথ্যা-গ্রস্থের নাম নির্দেশ করিয়াছেন । ইতঃপূৰ্ব্বে ভারতীয় অক্ষরে এই দুই গ্রন্থের মূল মুদ্রিত হয় নাই এৰং ভারতীয় কোনও ভাষায় ইহাদের অমুবাদও প্রকাশিত হয় নাই । cबोक भिलप्नब cध्टेग्न cनहे अडांव पूोडूठ श्ण । उएव अश्वाप्नद्र ভাষা জায় একটু সরল ও মার্জিত হইলে ভাল হইত। গ্রন্থমধ্যে