পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

dSSు প্রবাসী SN932 কাহাকে এই প্রভূত লাভের কাজটি দিবেন, লোকে তাহাই ভাবিতেছে । বাংলা স্বাধীন দেশ হইলে ইহা কোন বাঙালীকেই দেওয়া হইত। পরাধীন বলিয়া বাঙালীর ইহা পাইবার অধিকার নাই বলিতেছি না। অন্ত ঠিক:দারদের সমান টাকায় কাজটি ভাল করিয়া করির দিতে পারে এমন বাঙালী ঠিকাদার আছে, কিন্তু বঙালী বলিয়াই হয়ত উহা কেন বাঙালী পাইবে না । চীনে নিরক্ষরতা দূরীকরণের চেষ্টা চীন দেশে নিয়ম হইয়াছে, যে, ছাত্রদিগকে এই সর্তে গ্র্যাঁডুয়েট হইতে দেওয়া হইবে, যে, তাহারা সৰ্ব্বসাধারণের মধ্যে শিক্ষাবিস্তারে সাহায্য করিবে । আমরা বহু বৎসর ধরিয়া বলিয়া আসিতেছি, যে, অ}মাদের দেশের লেখাপড়াজানা লোকদের নিরক্ষর লোকদিগকে শিক্ষা দেওয়া একটি কৰ্ত্তব্য—ঋণপরিশোধ হিসাবে কৰ্ত্তব্য । চীনে আর একটি নিয়ম হইয়াছে, যে, দোকানের ও কারখানার মালিকদিগকে র্তাহীদের নিযুক্ত লোকদের শিক্ষার বন্দোবস্ত করিতে হইবে। এরূপ নিয়ম আমাদের দেশেও হওয়া উচিত । সৰ্ব্বোপরি চীনে নিয়ম হইয়াছে, মে, ১৯৩৬ সালের ১লা মের পর যেকেহ একখানি চৈনিক ভাষার বর্ণপরিচয় পড়িতে না পরিবে, তাহার অর্থদণ্ড হইবে। আমাদের দেশে এই রকম সব আইন করাইবার চেষ্টা কেহ করিবার ইচ্ছা করিলে তঁহিীর পক্ষে এডভোকেটজেনার্যালের মত লওয়া ভাল, যে, এরূপ চেষ্টা সিদীশন বিবেচিত হইবে কি না । লাহোরে শহীদগঞ্জের গুরুদ্বারা সম্বন্ধে শিখ-মুসলমান সংঘর্ষ ধৰ্ম্মের জন্ত যাহাঁদের প্রাণ যায়, তাহাদিগকে শহীদ বলে। মুসলমানী আমলে লাহোরের একটি জায়গায় একাধিক শিখ শহীদ হইয়াছিলেন বলিয়া উং শহীদগঞ্জ নামে এবং তথাকার গুরুদ্বারা ( শিখদের ধৰ্ম্মমন্দির ) শহীদগঞ্জ গুরুদ্বারা নামে পরিচিত। তঙ্ক সিং নামক এখানকার এক জন শহীদের আখ্যায়িক রবীন্দ্রনাথ তাহার “কথা” নামক পুস্তকে “প্রার্থনাতীত দান’ শীর্ষক কবিতায় সংক্ষেপে বর্ণনা করিয়াছেন । যথা—

    • ांठांtनद्रां थ८व वैशिम्न पञांनेिज বন্দী শিথের দল— শহীদগঞ্জে রক্ত-বরণ

হইল ধরণীতল। নবাব কহিল—শুন তরু সিং তোমারে ক্ষমিতে চাই । তরু সিং কহে, মোরে কেন তব এত অবহেলা ভাই ? নবাব কহিল, মহাবীর তুমি তোমারে না করি ক্রোধ, বেণীটি কাটিয়া দিয়ে যাও মোরে এই শুধু অনুরোধ । তরু সিং কহে, করুণা তোমার হৃদরে রহিল গাথা-- বা চেয়েছ তার বেশি কিছু দিব— বেণীর সঙ্গে মাথা ।” এই কবিতাটির পাদটীকায় কবি লিথিয়াছেন, “শিখের পক্ষে বেণী:চ্ছদন ধৰ্ম্মপরিত্যাগের স্তায় দূষণীয়।” পঞ্জাৰে যখন শিখের রাষ্ট্রীয় শক্তির অধিকারী ছিল, তথনকার কোন সময় হইতে অদ্যাবধি প্রায় ১৭০ বৎসর এই গুরুদ্বারা শিখদের অধিকারে আছে । পুৰ্ব্বে ইহার এক অংশ মুসলমানদের দ্বারা মসজিদরূপে ব্যবহৃত হইত। ইহা লইয়া মোকদ্দমা হয়, এবং পঞ্জাবে ব্রিটিশ গবষ্মেন্টেরই উচ্চতম আদালত হাইকোর্ট রায় দিয়াছেন, যে, শিখরা ইমারতসহ সমস্ত স্থানটির মালিক । গত মাসে কথা রটে, যে, উহার এক অংশ শিখরা ভাঙিয়া ফেলিবে । ( পরে তাহ ভাঙিয়া ফেলিয়াছে । ) কতকগুলি মুসলমান বলপূৰ্ব্বক তাহ বন্ধ করিবার জন্ত দলবদ্ধ হইয় গুরুদ্বারার সম্মুখে জনতা করিতে থাকে। শিখেরাও ৰূপাণ লইয়া—শিখমহিলারা পৰ্য্যস্ত তরবারি হাতে করিয়া—পাহার দিতে থাকে । হতাহত কে কত জন হইয়াছে বা ন হইয়াছে, তাহার সংবাদ দৈনিক কাগঙ্গে দ্রষ্টব্য । গুনা যায়, গবষ্মেণ্ট সশস্ত্র