[ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩২২ ৷ - را SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS - سرمہ -- - যুক্ত যদুনাথ সরকার। দেখিবেন Qሻ उिनि বাঙ্গল ভাষার সাহায্যে কত অল্প সময়ে কটকের মেডিক্যাল স্থলের ছাত্রদিগকে কত বেশী বিজ্ঞান শিক্ষা দিতে পারিতেন। স্কুলের সমুদয় বিষয়ের জ্ঞান ইংরেজী পুস্তক পড়িয়া লব্ধ ন হইলে ছাত্রদের ইংরে জীর জ্ঞান এখন অপেক্ষ কম হইবে, এরূপ আশঙ্কা হওয়া অসঙ্গত হে। কিন্তু যদি ক্রমশঃ ভাল শিক্ষক পাইবার চেষ্টা করা হয়, এবং ইংরেজী শিখাইবার প্রণালীরও উন্নতি করা হয়, তাহা হইলে ছাত্রদের ইংরেজীজ্ঞান ভাল হইবারই কথা। জাৰ্ম্মেনীতে ছাত্রেরা যে সকল স্কুলে ইংরেজী ফরাসী প্রভৃতি আধুনিক ভাষা শিখে, তথা তাহাاة 3 الفتخارا উপরের কেবল তিনটি ক্লাসে কোথাও বা ছয়টি ক্লাসে সপ্তাহে মাত্র তিন ঘণ্টা করিয়া ইংরেজী শিখে, কচিং কোন ক্লাসে সপ্তাহে ৪ঘন্ট। ইংরেজী :িখৈ। তাহার। আর সব বিধ জামেন ভাষাতেই শিক্ষা
--- ------------------------- - - - - - - - - বিশ্ববিদ্যালয়-সকলেও ভাষাতেই সব শিক্ষা দেওয়া হয় ; ইংরেজীর . চলন নাই। কিন্তু দেখা যায় যে জামেনীতে শিক্ষাপ্রাপ্ত জামেন জাতীয় অধ্যাপকের। ভারতবর্ষের অনেক কলেজে - করে। জামে নীর ইংরেজীতে নান| বিষয়ে শিক্ষ। দিয়৷ থাকেন। জামেন বিস্তুবিদ্যালয়ে শিক্ষা প্রাপ্ত জামেন পণ্ডিতগণ প্রত্নতত্ত্ব ও অন্যান্য বিভাগে উচ্চ রাজকায্যে নিযুক্ত হইয়। ইংরেজী ভাষাতেই সমূদ্র রিপোগদি লিখেন এবং অন্যান্য কার্য নিৰ্বাহ করেন । আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়-সকলে ভারতবর্ষ অপেক্ষাও অধ্যাপক নিযুক্ত হন, এবং তাঙ্গর ইংরেজীতেই ছাত্রদিগকে নানা বিষয় শিক্ষা দেন। স্কুলে কয়েকটি ক্লাসে সপ্তাহে ৩৪ ঘণ্ট। মাত্র ইংরেজী পড়িয়া জামে নর। যদি ইংরেজীতে অধ্যাপন করিতে পারেন, তাহ হইলে আমাদের ছেলেরা তাহার চেয়ে বেশী ক্লাসে সপ্তাহে অধিকতর ঘণ্ট। ইংরেজী পড়িয়াও ইংরেজী শিখিতে পারিবে না, এরূপ ত মনে হয় ন। জাপানেও ছাত্রের ইস্কুলের কয়েকটি ক্লাসে সপ্তাহে কয়েক ঘণ্ট। ইংরেজী, জামেন বা ফরাসী ভাষা শিখে । যখন তাহার। বিশ্ববিদ্যালয়ে যায় তপন জামেন, ইংরেজ ব। ফরাসী অধ্যাপকদের কাছে তাহাদের নিজ নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষা পায়। অধ্যাপকদের বক্তৃত বুঝিতে তাহাদের কষ্ট হয় না। যদি তাহারা জামেন, ফরাসী ব৷ ইংরেজ অধ্যাপকদের কথিত বিযয় বুঝিতে না পারিত, তাহা হইলে জাপান-গবর্ণমেণ্ট কখনই এই-সব বিদেশী অধ্যাপকদিগকে বেতন দিয়া নিযুক্ত করিতেন না। সাহিত্যসম্মিলনের আর-একটি প্রস্তাব এই যে ছাত্র- , দিগকে ইণ্টারমাডিয়েট ও বিএ ক্লাস-সকলে অন্যান্য বিষয় শিক্ষার জন্য যেমন শতকরা নিদিষ্টসংখ্যক ঘণ্টা উপস্থিত থাকিতে হয়, বাংলা শিক্ষার জন্য ও তেমনি উপস্থিত থাকিতে হইবে, এবং ঐ দুই পরীক্ষার জন্য অবশুপঠনীয় বাংলা কিছু পুস্তক নিদিষ্ট করিতে হইবে । এই প্রস্তাব ও ভাল । ইহাতে কেবল এইটুকু বক্তব্য আছে যে আজ-কাল যেমন কিছু কিছু ভাল বহির সঙ্গে অনেক বাজে বই নিৰ্ব্বাচিত হয়, তাহ নিবারণের উপায় ন হইলে সম্মিলনের প্রস্তাৰে মৃফল অপেক্ষ কুফলই অধিক হইবার সম্ভাবন। জামে্ম ヘ ভারতবর্ষীয় । অনেক অধিকসংখ্যক জামেন ' ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড , |
১ম সংখ্যা ] SJMSMSMJJJMSMSMSMSMS MMMMM MMMMMMMJMMJJMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMM পালি ও বাংলা একত্র করিখা এই উভয় ভাষায় এমএ পরীক্ষা লইবার প্রস্তাব ও আমাদের নিকট ভাল বোধ হইল। নজীর ও দৃষ্টান্তস্বরূপ বলিতে পারা যায় যে মান্দ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তামিল এবং বোম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ে মরাঠা ভাষায় এমএ পরীক্ষা হইয়া থাকে। প্রাচীন ও নবীন সাহিত্যের গৌরবে বাংলা এই দুই ভাষা অপেক্ষা হীন নহে। বাংলা পঞ্জিকার সংস্কারের জন্য দৃগগণিতৈক্যের প্রয়োজন। অর্থাং দেশীয় জ্যোতিষের নিয়মাহুসারে গণনা করিয়া গ্রহনক্ষত্রাদি সম্বন্ধে যে ফল পাওয়া যায়, আকাশ সাক্ষাংভাবে পর্য্যবেক্ষণ করিয়া সেই পৰ্য্যবেক্ষণের ফল দ্বারা গণিতের ফল সংশোধন করা আবশ্যক। এই উদ্দেশ্যে একটি মানমন্দির প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব সম্মিলনে উপস্থিত করা হয়। মন্দির নিৰ্ম্মাণের বায়, যন্ত্রাদি ক্রয়ের ব্যয় এবং, অধ্যাপক যোগেশচন্দ্র রায় মহাশয়ের অনুমান অনুসারে, মন্দিরের মাসিক ব্যয় ২০ ১ ২ টাকা কাশিমবাজারের মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দ বাহাদুর দিতে স্বীকৃত হইয়াছেন। এজন্য তিনি সকলের কৃতজ্ঞতাভাজন। বাঙ্গল ভাষা ও সাহিত্যের গতি । বাঙ্গলা ভাষা ও সাহিত্যের গতি সম্বন্ধে পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় যাহা বলিয়াছেন, তাহার অনেক কথা, নূতন না হইলেও, মনে করিয়া রাপিবার মত। নূতন তথ্যও তাহাতে অনেক আছে। সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন বংল। রচনা দীনেশবাবুর মতে শূন্যপুরাণ ; কিন্তু শাস্ত্রী মহাশয় দেখাইতেছেন যে নাথ-পন্থের যোগীদের ছড়া এবং বৌদ্ধ সিদ্ধাচাৰ্য্যদের দোহা, ছড়া ও গীতিক শূন্যপুরাণের চেয়ে আরও পাচ শত বৎসরের প্রাচীন । মহাকাব্য । ংলা ভাষায় এখন যে আর মহাকাব্য লেখা হইতেছে ন, তজ্ঞস্য শাস্ত্রী মহাশয় দুঃখ প্রকাশ করিয়াছেন। নূতন মহাকাব্য রচিত না হওয়াটা অবশ্য আমাদের প্রশংসার বিষয় নহে ; এবং ভাল মহাকাব্য রচিত হইলে তাহ আমাদের আনন্দ ও গৌরবের বিষয়ও হইত বটে। কিন্তু কতকগুলি কথা মনে রাখিলে হয় ত আমাদের ততটা দুঃখ ও লজ্জা বোধ ন হইতে পারে। এক এক সময়ে এক এক রকমের রচনার চলন বেশী বিবিধ প্রসঙ্গ—মহাকাব্য - a হয়। যেমন ধরুন ইংরেজী সাহিত্যে রাণী এলিজাবেথের যুগে এবং তাছার ঠিক আগে ও পরে ইংলণ্ডে খুব নাটক লিখিবার উৎসাহ দেখা গিয়াছিল, তেমনটি ইংলণ্ডে পূৰ্ব্বে বা পরে আর কখন হইল না। এখন সে দেশে নবেল ও ছোটগল্প লেখার খুব রেওয়াজ । কি কারণে এক এক যুগে এক এক রকমের রচনার রীতি খুব চলিয়া পরে প্রায় থামিয়া যায়, তাহার অনুসন্ধান এখানে করিব না। আর একটা মনে রাধিবার কথা এই যে কোন সাহিতোই মহাকাব্যের সংখ্যা বেশী নয়। এত বড় যে গ্ৰীক সাহিত্য তাহাতে এপন কেবল ইলিয়াড, এবং অডিসী ছাড়া আর কোন মহাকাব্য নাই। আরও ২১ খানার নাম শুনা যায় ; কিন্তু সেগুলির নামই শুনা যায় বলিলেই চলে। বহুবিস্তৃত লাটন সাহিত্যে একমাত্র ইনীয়িড, এখনও অধীত হয়। খিবাহড়, প্রভৃতি আরও ২৩ খানি এখনও সম্পূর্ণ বা খণ্ডশ পাওয়া যায়। কিন্তু পাণ্ডিত্যপ্রয়াসী ਵਿਕ আর কেহ সেসকলের খোজ রাখে না। ইতালীয় ভাষাতে টাসোর লেখা "জেরুসালেমের মুক্তি" সৰ্ব্বপ্রধান মহাকাব্য। আরও ৩৪টি আছে। সেগুলি তেমন প্রসিদ্ধ নয়। ডাণ্টে-লিখিত ‘কমেডিয়া” অতি উৎকৃষ্ট ও বৃহৎ কাব্য কিন্তু ইহা এপিক বা মহাকাব্য নহে। ইংরেজীতে মিণ্টনের প্যারাডাইজ লষ্ট একমাত্র উৎকৃষ্ট মহাকাব্য। স্পেন্সারের ফেয়ারী কুষ্টনকে ঠিক মহাকাব্য বলা যায় না। প্রাচীন যুগের পর হইতে এখন পর্য্যন্ত ফ্রান্সে একটিও ভাল মহকাব্য লিখিত হয় নাই। এমন কি ভণ্টেয়ারের অরিয়াও Henriade) STS TEFFII -T পৃথিবীর কোন দেশেই আধুনিক সময়ে মহাকাব্য লিথিত হইতেছে না। কেন, তাহার আলোচন। এখানে হইতে পারে না । বাঙ্গলা দেশে যে এখন মহাকাবা লিখিত হইতেছে না, তাহার কারণ আমাদের কবিদের অক্ষমতা বা শ্রমবিমুখত না হইতেও পারে । - এই সব কথা মনে রাখিলে, আমাদের মধুসূদন, হেমচন্দ্র ও নবীনচন্দ্র যাহা করিয়াছেন, তাহ বাল্পীর পক্ষে আগৌরবের বিষয় মনে হইবে না ; বিশেষত: যদি আমরা ইংরেজশাসনের আগেকার বাঙ্গলা বড় বড় কাব্যগুলির কথা. স্মরণ করি ।
