পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o - 懶。。 - - - - - ১২ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩২২ ৷ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড - & o സ്സാ MMMMMMMMMSJJMMMJMJJJMJJMJJMJJJS পাইব, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দোষ ক্রটি অগ্রাহ করিয়া, সাম্প্রদায়িক বা অন্যবিধ ঈর্ষ্যাম্বেষ মন হইতে দূর করিয়া দিয়া, সেখানেই যদি আমরা তাহার সহিত একমত হইয় কাজ করিতে পারি, তাহ হইলে বাঙ্গল যে-কোন দেশের সমকক্ষ হইতে পরিবে। ইন্দ্রিয়ের দাস, ক্ষুদ্রাশয়, ভীরু, পরশ্ৰীকাতর, অন্যের প্রশংসায় | ". স্বাথাম্বেষী, খোসামোদলোলুপ, হামবড় নেতাদের } धात्रा দেশের উদ্ধার হইবে না। যাহারা আমাদের মত সম্বংসর সহরের পরিষ্কার জল পান করিয়া দিব্য আরামে চেয়ারে বসিয়া অপরের উপর ত্যাগের ফরমাইস করে, তাহারাও নেতৃত্বের অযোগ্য। যিনি আপনাকে অজ্ঞতম, দরিদ্রতম, হেয়তম ব্যক্তির সমদুঃখভাগী করিয়াছেন, বা যে-কোন মুহূৰ্বে করিতে প্রস্তুত, তিনিই নেতা হইতে পারেন। আসুন তিনি, আমুন তাহারা । ভগবান তাহাকে, তাহাদিগকে প্রেরণ করুন। হয় ত তাহারা আমাদের মধ্যেই রহিয়াছেন। ভগবান তাহাদিগকে চিনাইয়া দিউন। কিন্তু আমাদের নেতারা কিছু করিতেছেন না, বা আমাদের ভাল নেতা নাই, ইহাও অনেক স্থলে অলস লোকদের বিশ্বনিন্দুকদের একটা বাজে ওজর মাত্র। | নাই বা নেতার। কিছু করিলেন, নাই বা রহিলেন যোগ্য নেতা —আমাদের নিজের নিজের কৰ্ত্তব্য প্রত্যেকেরই করা উচিত। ভগবান প্রত্যেককে যে শক্তি দিয়াছেন, তাহার সদ্ব্যবহারের জন্য তিনি দায়ী। নেতৃত্বও আকাশ | इंहेड পড়ে না। কার্য্যক্ষেত্রে নামিলে অনেক নগণ্য লোকের মধ্যে প্রকৃত নেতৃত্ব দেখা যায় । - - বজ কি ? বগীয় প্রাদেশিক সমিতির স্বেচ্ছাসেবকেরা এবার এক পুণ্যশীল নারীর নিৰ্ম্মিত বজচিহ্নিত পেটা পরিাছিলেন। এই বজ্রটি কি ? . পৌরাণিক কাহিনীগুলির অর্থ ও উপদেশ ত্রিকালব্যাপী । কথিত আছে একদা দেবগণ অতিশয় বিপন্ন T . হইয়াছিলেন-- তাহারা অসুরদের সঙ্গে যুদ্ধে কোন মতেই | মটিয়া উঠতে পারিতেছিলেন না। র্তাহারা নিরুপায় হৃদয়ে দেহত্যাগ করিলেন । তাহার অস্থি হইতে বজ্ৰ নিৰ্ম্মিত হইল, এবং তাহার দ্বারা দেবগণ বিপদ হইতে উধার লাভ করিলেন । - এই কাহিনীটিতে দেবাসুরের যুদ্ধকে শুভ ও অশুভের বিরোধ, এবং দধীচির ততুত্যাগ ও তাহার অস্থিনিৰ্ম্মিত বজে দেবগণের জয় ও বিপদুদ্ধারকে প্রেম-প্রণোদিত | আত্মবলিদান দ্বারা শুভের প্রতিষ্ঠা বলিয়া বুঝিলেই ইহা একটি ত্রিকালে সদাসম্ভব ব্যাপার বলিয়া অনুভূত । হইবে। উপদেশ এই—বজ তিনি, যিনি নিৰ্ভীক নি:স্বার্থ | প্রজ্ঞাবান ও প্রেমিক। র্তাহার উদেশ্বসিপি হইবেই । হইবে, তাহার অকৃতকাৰ্য্যতা নাই । যিনি কাহাকেও বিদ্বেষ করেন, তিনি বঙ্গু নহেন, অমোঘ অস্ত্র নহেন। যিনি প্রজ্ঞারহিত, স্বার্থপর, ভীরু, তিনি বজু নহেন, অমোঘ অস্ত্র নহেন। বঙ্গের নরনারী বজু হউন, বিশেষ করিয়৷ যাহারা তরুণবয়স্ক । তাহারা অজ্ঞতা নাশ করুন, রোগ নাশ করুন, দুর্নীতি নাশ করুন, দারিদ্র্য নাশ করুন, স্বদেশের ও স্বজাতির উপর অবিশ্বাস নাশ করুন, দুৰ্ব্বলচিত্তত নাশ করুন, চিন্তায় ও আচরণে নাস্তিকতা নাশ করুন | ধন, এবং হৃদয়ের প্রীতি ও শ্রদ্ধা সকলেই জানেন, আমরা বিস্তর বিদেশী জিনিষ কিনি ; তাহাতে অনেক টাকা বিদেশে যায়। এই-সব জিনিষ আমরা নিজের প্রস্তুত করিতে পারিলে দেশের অনেক টাকা দেশেই থাকিতে পারে। বিস্তর বিদেশী আমাদের | দেশে উচ্চ বেতনের কাজ করেন, এবং বাৰ্দ্ধক্যে স্বদেশে | ফিরিয়া গিয়া মোট পেনস্তান পান । আমরা চেষ্ট৷ করিয়া এই সব কাজ যদি পাই তাহা ইষ্টলেও অনেক টাকা দেশে থাকে। দেশের টাকা বাহিরে আর ও নান৷ পথ দিয়া যায় । দেশের ধন রক্ষা ও বৃদ্ধি করা আমাদের কৰ্ত্তব্য । কিন্তু তাহ অপেক্ষা ও বড় কৰ্ত্তব্য আর-একটি °门区1 পুস্তকের ৰিজ্ঞাপনদাতার বিজ্ঞাপন দেন, “স্বন্দর বিলাতী বাইণ্ডিং" এইরূপ লিখিয়া। অনেক দেশী ব্যবসা দার দেশের লোকদের বিশ্বাস উৎপাদন করিবার জন্য । .১ম সংখ্যা.] দোকানের ও ব্যবসার দেশী নাম না রাখিয়া সাহেবী নাম 'ब्राथन, ईशहड বুঝা যায় এই যে আমরা নিজেই নিজেকে . ८श्नः, অবিশ্বাস্ত মনে করি, এবং সিংহের চামড় পরিয়া গর্দভত্ব দূর করিতে চেষ্টা করি। দেশের কোন প্রকার হিতের ক্ষুদ্র বা বৃহৎ চেষ্টা সম্পূর্ণরূপে দেশী লোকের দ্বার সফল হওয়া একান্ত আবশ্যক । আমরা কতকগুলা রূপার বা সোনার টুকরা বিদেশে গেল বলিয়া চীংকার করি, কিন্তু বিদেশীর কাছে যে হৃদয়ট বিকাইয়। যাইতেছে, তাহার উপায় কি ? তুমি প্রজা রাইয়তের খাজন, মক্কেল রাষ্ট্ৰয়তের টাক, ক্রেত রাইয়তের নিকট হইতে কাপড় বা অন্য জিনিষের মূল্য লইতে পার, কিন্তু তাহার মঙ্গলের চেষ্টা, তাহার শিক্ষা, তাহার পানীয় জলের ব্যবস্থা, তাহার গ্রাম পরিষ্কার করা, এই-সব কাজ যদি রাজভৃত্য বিদেশীর জন্য রাখিয়া দাও, তাহ হইলে খাজনার চেয়ে বহুবহু গুণে মূল্যবান যে প্রীতি ও শ্রদ্ধা তাহা ত তুমি পাইলে না। আমাদের অনেক রাষ্ট্ৰীয় অধিকার নাই, আমাদের অনেক অসুবিধা আছে, আমাদের অনেক লাঞ্ছনা হয়, ইহা সত্য । কিন্তু যতটুকু কাজ করিবার স্বাধীনতা ও অধিকার আমাদের আছে, তাহাতে আমরা বিদেশীর সমান বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা দেশবাসীদের নিকট হইতেও কেন পাই না? আমরা কেন নির্ভরযোগ্য বিবেচিত হই না ? আমাদের দ্বার স্বদেশবাণীর অপমান লাঞ্ছন পীড়ন কেন হয় ? আমরা স্বাধীন হইতে চাই, তাহার মানে দেশের সমস্ত কাজ চালাইবার ভার আমরা লইতে চাই । ইহ সত্য যে জলে ন৷ নামিলে যেমন মানুষ সাতার দিতে পারে না, তদ্রুপ বড় কাজের ভার না পাইলে মাহুষের শক্তির সম্পূর্ণ বিকাশ হয় না। কিন্তু ছোট ছোট স্বায়ুত্ত কাজে আমরা কতটা শক্তি দেখাইতেছি, তাহা ভাব উচিত . ইংরেজ বর লইয়। আমাদের দ্বারে দাড়াইয়। আছে, আমরা যোগ্য হইলেই বর দিয়া স্বদেশে চলিয়। যাইবে, ইহা আমরা মনে করি না, কিন্তু আমরা মনে করি ও বলি যে সৰ্ব্বপ্রকারে দেশের সেবা করিবার ভগবদত্ত অধিকার অর্জন করিতে হইবে যোগ্যতা দ্বারা। এই যোগ্যত বাড়িতেছে কি না, তাহার মাপ-কাঠী দেশের মানুষের প্রতি দেশের লোকের আস্থা, শ্রদ্ধ। বিশ্বাস, বধ প্রসঙ্গ—দেশে বিজ্ঞানের স্থিতি

        • /、ノ・ペヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ

- SS MMMM MM SMMMS SSSSSAAAASSSAS o নির্ভর, প্রতি বাড়িতেছে কি না। দেশের শ্রদ্ধা ও প্রতি দি । বিদেশে চলিয়া যায়, তাহার মত দারিদ্র্য ও হীনতা কি হইতে পারে? বিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন, শিল্প, আদি সব । বিষয়ে খাটি-খবর ও আদর্শের জন্য আমাদের মনটা পড়িয়া । থাকে বিদেশে, ইহার মত দারিদ্র্য আর কি আছে। - আশার কথা এই যে যেমন বিলাতী বাধাইয়ের বিজ্ঞাপন বাহির হয়, তেমনি আবার কোন কোন বিলাতী । কাপড়েরও প্রশংসা লোকে এখনও এই বলিয়া अऋिड | বাধ্য হয় যে উহা দেশী কাপড়ের মত। দেশী মাহুষ কবে এই ভাবে সব বিষয়ে তুলনার স্থল হইবেন ? ইতিহাস চর্চার প্রণালী । - আজকাল বাঙ্গলা মাসিক পত্রে, এমন কি সাপ্তাহিক । ও দৈনিক কাগজে পৰ্য্যন্ত, ঐতিহাসিক প্রবন্ধ ছাপা হয়। এখন ইতিহাস চর্চার ও ইতিহাস রচনার প্রণালী সম্বন্ধে । আলোচনা হওয়া খুব দরকার। এ বিষয়ে অধ্যাপক | যদুনাথ সরকারের যে প্রবন্ধটি আমরা ছাপিলাম, তাহা । ঐতিহাসিক লেখকদিগের খুব কাজে লাগিবে। --- টডের রাজস্থান সম্বন্ধে যদুবাৰু আমাদিগকে সাবধান করিয়া দিয়াছেন। এই প্রসঙ্গে আমাদের অন্য একটি । কথা মনে পড়িল । মুসলমান শাসনকালের ইতিহাস । লিথিতে গিয়া আমাদের ভ্রমে পড়িবার অনেক কারণ | আছে। কিন্তু মুসলমান-বিজয় ও শাসন সম্বন্ধে অপ্রিয় সত্য বলিবার সময়ও আমরা মুসলমান বিজয়ের ফলে পরোক্ষ । ভাবে দেশের কি উপকার হইয়াছে, তাহাও যেন সব সময়ই বলি। সব ধৰ্ম্মাবলম্বীকে লইয়। আমাদিগকে ঘর করিতে । হইবে। সকলের ন্যায্য পাওনা সকলকে দিতে হইবে। ] আজকাল আমাদের অরাজনৈতিক সভাসমিতিতেওঁ যেমন | রাজভক্তিব্যঞ্জক একটি প্রস্তাব প্রথমে ধার্ষ্য হয়, তেমনি । মুসলমানদের ভারত-আগমনের শুভফল সত্যকে অতিক্রম : না করিয়া আন্তরিক বিশ্বাসের সহিত ভারতবর্ষের সব• । -- | | | -- ইতিহাসে ঘোষিত হওয়া কৰ্ত্তব্য । দেশে বিজ্ঞানের স্থিতি । অধ্যাপক যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি মুহাশয় যেরূপ - ভাষায় “পত্রালি" লিখিয়াছিলেন, আজকাল তাহ পরিত্যাগ.