পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৬ SSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSS কিন্তু গবর্ণমেন্ট যথেষ্ট পরিমাণে নিজের কৰ্ত্তব্য না করায় এ বিষয়ে আমাদিগকে আন্দোলন করিতে হইতেছে। আমরা যুবকদিগকে বলিতেছি, তোমরা গ্রামের আগাছ জঙ্গল কাট, পয়ঃপ্রণালী পরিষ্কার রাগ, পুকুর কাট, কুয়া খোড়, এবং এই-সকল কাজের জন্য গ্রামবাসীদিগকে চাদ দিতেও বলিতেছি। দেশে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য পরিশ্রম করা এবং টাকা খরচ করা খুৰ ভাল কাজ। দেশ আমাদের এবং এখানেই আমাদিগকে বাস করিতে হইবে। সুতরাং যদি দেশের উন্নতির জন্য অতিরিক্ত পরিশ্রম করিতে হয়, তাহ করা নিশ্চয়ই আমাদের কৰ্ত্তব্য। যদি ট্যাক্স দেওয়ার পর শিক্ষা স্বাস্থ্য প্রভৃতির জন্য আবার চাদ দিতে হয়, তাহাও দেওয়৷ কৰ্ত্তব্য। কিন্তু অন্যান্য স্বসভ্য দেশের মত যদি আমাদের দেশের শাসনকার্য্যে আমাদের ক্ষমতা থাকিত, তাহা হইলে সমুদয় বালকবালিকার শিক্ষা, স্বাস্থ্যরক্ষা, প্রভৃতির ব্যবস্থা গবর্ণমেণ্টের দ্বারাই আমরা করাইতে পারিতাম ; এবং আমাদের এই-সব চেষ্টা, এই সব টাকা অন্তবিধ দেশহিতকর কার্য্যে নিযুক্ত হইত। কারণ, এরূপ দেশহিতকর কাজ অনেক আছে, যাহা সভ্যতম দেশেও" গবৰ্ণমেন্ট করেন না, এবং গবর্ণমেণ্টের দ্বারা ভাল করিয়া হইতেও পারে না। মানুষ বাচিয়া থাকিলে ত দেশের উন্নতি করিবে । অতএব স্বাস্থ্যের উন্নতির চেষ্টা করা যে একান্ত আবশ্বক তাহা বিস্তৃত ভাবে বুঝাইবার দরকার নাই। স্বাস্থ্যরক্ষা, কৃষিশিল্পবাণিজ্যের উন্নতি দ্বারা যথেষ্ট অর্থ উপার্জন, জানলাভ দ্বার মানসিক উৎকর্ষসাধন ও নিৰ্ম্মল আনন্দ লাভ, জ্ঞানী ও শুদ্ধচিত্ত হইয় পরিবারে ও সমাজে স্থনীতি ও স্বরতি প্ৰবৰ্ত্তন ও রক্ষা, ধৰ্ম্মসম্বন্ধে সত্যজ্ঞান লাভ, প্রভৃতি যে কোন છો মানুষ করিতে চায়, তাহার জন্য শিক্ষার প্রয়োজন। কিন্তু স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নতি রাষ্ট্ৰীয় বিষয়ে শক্তিহীন লোকদের দ্বারা সাধিত হওয়া অত্যন্ত কঠিন। সুতরাং রাষ্ট্রীয় বিষয়ে শক্তিলাভের চেষ্টা করা আমাদের একটি প্রাথমিক ও প্রধান কৰ্ত্তব্য। প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩২২ যাহা কিছু ব্যয় করা আবখ্যক, তাহ অন্যান্য দেশের গবৰ্ণমেণ্টের মত আমাদের গবর্ণমেন্টেরই করা উচিত । [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড SumitaBot (আলাপ) ০৮:১৭, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) --০৮:১৭, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কি করা উচিত। বহু বৎসর ধরিয়া বাংলা দেশে গবর্ণমেণ্ট রোডসেন্স ও পরিক ওয়ার্কস্ সেসের টাক, ঐ ট্যাক্স দুটি যে জন্য লোকের নিকট লওয়া হয়, সম্পূর্ণরূপে তাহাতে ব্যয় ন৷ করিয়া অন্য প্রকারেও ব্যয় করিয়া আসিতেছিলেন। এই প্রকারে অনেক কোটি টাকা গবর্ণমেণ্ট অন্যায়ুরূপে ব্যয় করিয়াছেন। ১৯১৩-১৪ সালে গবৰ্ণমেণ্ট পরিক ওয়ার্কস সেসের টাকাটি ডিষ্ট্রক্ট বোর্ডগুলির হাতে দিয়াছেন। উহার পরিমাণ ২৯ লক্ষ টাকা। এখন হইতে এই টাকাটি সম্পূর্ণ, রূপে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা এবং অন্যান্য উপায়ে দেশের স্বাস্থোর ও অন্যবিধ উন্নতির জন্য যাহাতে ব্যয় করা হয়, সকলে সেই চেষ্টা করিতে থাকুন। মফঃস্বলের সংবাদ পত্রগুলি এ বিষয়ে তীক্ষ দৃষ্টি রাখুন। তাহার ও মফঃস্বলের নিৰ্ব্বাচকেরা ভাল করিয়া লক্ষ্য করুন, কোন মেম্বর এই টাকাগুলির সদ্ব্যয়ের জন্য কিরূপ চেষ্টা করিতেছেন। যাহার কাজ সন্তোষজনক হইবে না, তাহাকে পুনৰ্ব্বার যেন নিৰ্ব্বা চন করা না হয়। মিউনিসিপালিটিগুলিরও কাৰ্য্য সম্বন্ধে এইরূপ করা উচিত। রোডসেসের টাকাও এখনও সম্পূর্ণরূপে আইনের অভিপ্রায় অনুসারে খরচ হইতেছে না। এ বিষয়ে খুব আন্দোলন হওয়া উচিত। পরিক ওয়ার্কস্ সেসের মত এই টাকাটিও সম্পূর্ণরূপে ডিষ্ট্রক্ট বোর্ডগুলির হাতে গি৷ তাহাদের দ্বারা আইনে নির্দিষ্ট কার্য্যে ব্যস্থিত হওয়া উচিত। কিন্তু পরিক ওয়ার্কস সেস এবং রোডসেস হইতে প্রতি বৎসর যত আয় হয়, তাহ সম্পূর্ণরূপে নূতন রাস্ত নিৰ্ম্মাণ ও পুরাতন রাস্তা মেরামত, নৃতন পুষ্করিণী ও কূপ খনন এবং পুরাতন জলাশয়গুলির মেরামত ও পঙ্কোদ্ধার, নূতন নর্দাম খনন ও পুরাতনের সংস্কার দ্বারা জল নিঃসারণ, আগাছা ও জঙ্গল কাটা, যে-সব নদী ও খাল ভরাট হইয়া গিয়াছে তাহ আবার কাটান, প্রভৃতি কার্ঘ্যে খরচ হইলেণ্ড বাংলাদেশকে শীঘ্র খুব স্বাস্থ্যকর করা যাইবে না। অথচ শীঘ্ৰ ইহ না করিলে আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জল হইতে | ৩য় সংখ্যা -ഹു ডাক্তার নীলরতন সরকার মহাশয়ের যে প্রবন্ধটি ছাপিয়াছি, তাহাতে তিনি অঙ্ক দ্বারা দেখাইয়াছেন যে প্রতি বংলর বাঙ্গলা দেশে কত লোক নিবাৰ্য্য রোগে মারা পড়ে। তিনি অনুমান করেন যে কেবল জরে মাতুয মরাতেই প্রতি বৎসর বঙ্গের ১২ কোটি টাকা ক্ষতি হয় । এই ১২ কোটি টাকার ক্ষতি নিবারণ করিতে হইলে যদি কয়েক বৎসর ধরিয়া ২। কোটি টাকা করিয়৷ খরচ করিতে হয়, তাহাতেও লাভ আছে। মানুষগুলি বাচিয়া থাকিলে কৃষি শিল্প বাণিজ্য প্রভৃতি নানা উপায়ে তাহার দেশের ধনবৃদ্ধি করিয়৷ এই ব্যয়ের টাকা উগুল করিয়া দিবে। কিন্তু প্রথমতঃ এত টাকা ব্যয় করিতে কোথা হইতে পাওয়৷ যাইবে ? গবর্ণমেণ্ট অনেক বৎসর ধরিয়া পরিক ওয়ার্কস্ সেস এবং রোডসেসের টাকা আইনের অনভিপ্রেতভাবে খরচ করিতেছিলেন। সুতরাং তাহারা যে কোটি কোটি টাক অযথ। খরচ করিয়াছেন, তাহা ফিরাইয়া দিউন, এবং স্বপ্রণালীক্রমে ঐ টাকা কয়েক বৎসর ধরিয়া বঙ্গের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য প্রযুক্ত হউক। নূতন নূতন রাজধানী নিৰ্ম্মাণের জন্য, প্রধানত: সামরিক স্ববিধা ও বিদেশী বণিকদের লাভের নিমিত্ত রেলওয়ে নিৰ্ম্মাণের জন্য, গবর্ণমেণ্ট কোটি কোটি টাকা খরচ করিতে পারেন ; আর আমাদের নিকট হইতে যে উদ্দেশ্যে ২০৩০ বৎসর ধরিয়া ট্যাক্স আদায় করিতেছেন, তাহা এত দিন তজ্জন্য খরচ ন৷ করিয়া অন্য কাজে লাগাইয়াছেন, এখন সেই টাকা কেন স্বদসমেত ফেরত দিয়া আইনের অভিপ্রেত কাৰ্য্যে খরচ করিতে দিবেন না ? আইন ও ধৰ্ম্ম অনুসারে গবর্ণমেণ্ট এই বহু কোটি টাকা স্বদসমেত বাংলাদেশের উন্নতির জন্য ব্যয় করিতে প্রবৃত্ত হউন। স্বাধীন দেশ সকলে সমগ্র দেশের স্বাস্থ্যোন্নতির মত বড় কাজের জন্য যথেষ্ট টাকা যদি বার্ষিক রাজস্ব হইতে খরচ করা না চলে, তাহ হইলে আর-এক উপায় অবলম্বিত হইতে পারে। যথেষ্ট পরিমাণ টাকা ঋণ করিয়া চলিত রাজস্ব হইতে তাহার সুদ দেওয়া হয় এবং ২-২৫ বৎসরে তাহা শোধ করিবার ব্যবস্থা করা হয়। এই যে কোম্পানীর কাগজ ধনীর ক্রয় করিয়া স্বদ পান, তাহার মূল্য গবৰ্ণমেণ্ট পারে না। বৈশাখ মাসের প্রবাসীতে আমরা মাননীয় | কেই ধার দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের কোন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বিবিধ প্রসঙ্গ-বিজিত ও বিজেতা SSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSAASAASAAAS రిషిగి না থাকায় এরূপ সরকারী ঋণ গ্রহণের পরামর্শ দিতে সাহস श्घ्र न1 ।। পরামর্শ কে গ্রহণ করিবে? নূতন আইন করিয়া যে উদ্দেশ্যে রোভসেস এবং পরিক ওয়ার্কস সেস বসান হয়, তাহ যখন এত বৎসর ধরিয়া অন্য উদ্দেশ্যে ব্যয়িত হইতে পারিয়াছে, তখন স্বাস্থ্যোন্নতির জন্য কয়েক কোটি টাকা ঋণ করিলে আমরা রাজকৰ্ম্মচারীদিগকে সেই টাকা অভিপ্রেত কার্থ্যে স্বফলপ্রদ প্রণালী অনুসারে ব্যয় করাইতে সমর্থ যে নিশ্চয়ই হইব, তাহা কেমন করিয়া বলা যায় ? সরকারী (আয় ব্যয় আমাদের আয়ত্তাধীন হইলে আমরা ঋণ করিতে জোর করিয়া বলিতে পারিতাম । সকল দিকে দেশের কাজ আমরা নিজেও যতটুকু পারি করিতে থাকি, গবর্ণমেণ্টের দ্বারাও করাইতে চেষ্টা করিতে থাকি ; কিন্তু রাষ্ট্ৰীয় ক্ষমতা লাভ ষে এই প্রকার সকল কাজে সাফল্যের মূলীভূক্ত তাহা আমরা যেন একদিনও ভুলিয়া না থাকি । বিজিত ও বিজেতা। লর্ড মলীর আমলে যখন ভারতবর্ষের ব্যবস্থাপক সভাগুলিকে বৃহত্তর করা হয়, এবং তাহদের সম্বন্ধে নুতন নিয়ম প্রণীত হয়, তাহার কিছু দিন আগে হইতে ভারতবাসী মুসলমানেরা এই সভাগুলিতে, মুসলমান অধিবাসীদিগের সংখ্যার অনুপাতে যত প্রতিনিধি পাঠাইবার অধিকার পাইতে পারেন, তদপেক্ষা বেশী প্রতিনিধি পাঠাইবার দাবী যে-সকল যুক্তি দ্বারা সমর্থন করিয়া আসিতেছিলেন, তাহার মধ্যে একটি এই ছিল যে মুসলমানেরা এক সময়ে ভারতবর্ষের বিজয়ী রাজা ছিলেন, হিন্দুরা তাহদের বিজিত প্রজা ছিল, ইংরেজরা মুসলমানদের হাত হইতে ভারতের রাজত্ব পাইয়াছিলেন, এবং এইসব কারণে হিন্দু অপেক্ষ মুসলমানদের রাজনৈতিক গুরুত্ব (political impor-> tance) বেশী আছে। কিছুকাল পূৰ্ব্বে মুসলমানদের একখানি ইংরেজী সাপ্তাহিক একথানি হিন্দু দৈনিকের সঙ্গে তর্কবিতর্ক উপলক্ষে হিন্দু সহযোগীকে “শ্লেভ” অর্থাং গোলাম বলিয়াছিলেন। এই কাগজখানি এখন আর প্রকাশিত পরামর্শ দিলেই বা রাষ্ট্রীয় শক্তিহীন জনসাধারণের ।