পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সচ্ছিদ্রং তমুখে মল্লং তন্মুপেছধোমুখং ক্ষিপে । মুষোপরি শিখিত্রাংশ্চ প্রক্ষিপ প্রধমেদ দৃঢ়।. পতিতং স্থালিক নীরে সত্ত্বমাদায় যোজয়ে । ( রসরত্নসমুচ্চয়, ২য় অধ্যায়, ১৬৫-১৬৬ গ্লোক ) আমরা এখন জানি যে এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে একামstata: Isth (carbon monoxide) faifs ol জলিতে থাকে, ইহাতে শিখার রং নীল দেখায়। পরে যখন সমস্ত রসক দস্তায় পরিণত হয় তখন আর একাম-অঙ্গারক গ্যাস বাহির হয় না, কাজেই শিখার রং শ্বেত হইয়া যায়। প্রাচীন হিন্দু রাসায়নিকগণ এই ব্যাপারটি পর্য্যবেক্ষণ করিয়াছিলেন—যদিও তাহারা ইহার কারণ জানিতেন না। রসরত্নসমুচ্চয়ে স্পষ্টই লেখা রহিয়াছে—“থপরে প্রহতে জাল ভবেন্নীলাসিত যদি ” (অর্থাৎ যদি নীলা জাল ( শিখা ) সিতা ভবেৎ ) । তন্ত্রসমূহের কাল নিৰ্দ্ধারণ করিতে বহু যত্ন ও বিবেচনার প্রয়োজন। এ বিষয়ে গবেষণা করিবার সময় যথোচিত নিরপেক্ষ হওয়া আবশ্যক, এবং হাৰ্ব্বার্ট Colois; Rioso ‘the bias of patriotism' atos", তাহার হস্ত হইতে মুক্ত হওয়া উচিত। এতৎসম্বন্ধীয় পুস্তকের রচয়িতা যেন মনে রাখেন যে তিনি ইতিহাস লিখিতেছেন, কাল্পনিক উপন্যাস নহে। মংপ্রণীত হিন্দু রসায়নের ইতিহাসে’র উপাদান সংগ্রহের কালে, আমি ‘ধাতুক্ৰিয়া' নামক গ্রন্থের দুইখানি পুথি প্রাপ্ত হই-একখানি আলোয়ারের মহারাজের পুস্তকাগার হইতে, এবং অপরপ্তানি কাশী হইতে সংগ্ৰহ করি। এই দুইখানি পুথির পরস্পরের মধ্যে বেশ ঐক্য দেখিতে পাই। দুইখানি পুথিই প্রাচীন রুদ্রযামল-তন্ত্রের অঙ্গীভূত বলিয়া পরিচিত। আমি অভিনিবেশ সহকারে এই গ্রন্থ পাঠ করিয়াছি। আপনারা সকলেই বোধ হয় অবগত আছেন যে অধিকাংশ তন্ত্রই শিবপাৰ্ব্বতীর কথোপকথনচ্ছলে বিবৃত এবং এই জন্য বিশ্বাসী হিসূত্র নিকট ইহা নির্ভুল। কিন্তু এই “ধাতুক্ৰিয়া" গ্রন্থটি পাঠ করিয়া আমি দেখিয়াছি যে অস্তুতঃ ইহার রাসায়নিক অংশটুকু অপেক্ষাকৃত আধুনিক । আমি ইহার আধুনিকতার একটি দৃষ্টান্ত দিতেছি। ইহাতে ফিরঙ্গ রোগের (syphilis): চিকিৎসার বিষয় উল্লিখিত হইয়াছে। প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড ৰ জলত স্বামী নিধনং কোকোরে -- পৰ্ত্ত গীজগণ গোয়াতে উপনিবেশ স্থাপন করিবার পর ভারতবর্ষে ফিরঙ্গরোগের আবির্ভাব হয়। সুতরাং ধাতুক্ৰিয়া ষোড়শ কিংবা সপ্তদশ শতাব্দীর পূৰ্ব্বে লিখিত হয় নাই। ইহাতে সেই সময়ের ভারতবর্ষের অনেক সংবাদ পাওয়া যায়। - চিকিৎসা ও ঔষধপ্রস্তুত বিষয়ে আরববাসীরা হিন্দুদিগের নিকট কিরূপ ঋণী তাহ মৎপ্রণীত হিন্দুরসায়নের ইতিহাসে বিশদরূপে বিবৃত হইয়াছে। প্রকৃত প্রস্তাবে, আরববাসীরা ভারতবর্ষের বহুযুগসঞ্চিত জ্ঞানরাশি ইউরোপে লইয়া যান । হিন্দুগণের পরমাণুবাদ। আমি এক্ষণে, সাংখ্য পাতঞ্জল ও বৈশেষিক দর্শনে পরমাণুবাদের বিষয় যাহা লিথিত আছে, তৎসম্বন্ধে দুই চারিটি কথা বলিয়া এই ক্ষুদ্র প্রবন্ধের উপসংহার করিব। এম্পেডোক্লিস, এনাক্সাগোরাস, ডিমোক্রিটাস প্রভৃতি গ্ৰীক দার্শনিকগণের পরমাণুবাদের সহিত হিন্দুগণের পরমাণুবাদের কিছু সাদৃশ্য আছে, সন্দেহ নাই ; কিন্তু ইহা যথার্থ সাদৃশু নহে বাহিক সাদৃশু মাত্র। , কণাদের শব্দবিস্তার বিষয়ক মত আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত। ইহা পাঠ করিলে যুগপৎ বিস্ময় ও হর্ষের উদ্রেক হয়। নিয়ে ইহার একাংশের অনুবাদ উদ্ধত হইল— একস্থানে উৎপন্ন শব্দ যে অন্যস্থানে শোনা যায়, তাহার কারণ অনুসন্ধান করিলে দেখা যায় যে শব্দ কোনও একটি কেন্দ্র হইতে চতুর্দিকে তরঙ্গাকারে ছড়াইয়া পড়ে। প্রথম কিংবা মধ্যবৰ্ত্ত তরঙ্গসমূহ আমরা শুনিতে পাই না ; কেবল শেষ যে তরঙ্গটি আমাদিগের কর্ণের সংস্পর্শে আসে তাহাই শুনিতে পাই । সুতরাং ঢাক শুনিয়াছি' এরূপ বলা সম্পূর্ণরূপে শুদ্ধ নহে। - কণাদ বলেন যে উত্তাপ ও আলোক একই পদার্থের ভিন্ন ভিন্ন আকার । চরক জল শব্দ ও আলোকের গতির বিষয় উল্লেখ করিয়াছেন । চক্রপাণির মতে, শব্দতরঙ্গ জলের তরঙ্গ অপেক্ষ দ্রুততর বেগে এবং আলোকরশ্মি অপেক্ষা মন্দতর বেগে বিস্তার লাভ করে । উল্লিখিত ঘটনাবলী হইতে স্পষ্টই প্রতীতি হয় যে প্রাচীন ভারতে বিজ্ঞানের সমধিক আলোচনা হইত, এবং বৈজ্ঞানিক ৫ম সংখ্যা ] দিলে বাজ । দ্বার নূতন নূতন তথ্য আবিষ্কৃত হইত। জ্ঞানানুশীলন যথার্থ তপস্যার যা পরিগণিত হইত। ছাত্রগণ কিরূপ যত্নশীল ছিল, তাহ নাগাৰ্জ্জুনপ্রীত রসরত্নাকর গ্রন্থে রসায়নের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর উদেখে লিখিত নিম্নোদ্ধত প্রার্থনাটি পাঠ করিলে জানা যায়— - দ্বাদশানি চ বর্ষাণি মহাক্লেশ: কৃতে ময়া। যদি তৃষ্টাসি মে দেবি সৰ্ব্বদ। ভক্তিবৎসলে । স্থলভঃ ত্ৰিষু লোকেষু রসবদ্ধং দদস্থ মে। “আমি দ্বাদশবর্ষব্যাপী কঠোর পরিশ্রম করিয়াছি। হে छानि। भनि आश्वनि नख्छे इंग्रा थाप्दन, अि হইলে আমাকে এ তিনলোকে ভুলভ রসায়নজ্ঞান প্রদান করুন !" হিন্দুজাতির অতীত গৌরবমণ্ডিত । এই জাতির অস্তর্নিহিত শক্তি অতি বিশাল । সুতরাং, আশা করা যায়, ইহার ভবিষ্যৎ অধিকতর গৌরবে দেদীপ্যমান হইবে। আমি এই প্রবন্ধে যেসকল কথা লিথিয়াছি, তদ্বারা যদি আমার স্বদেশবাসীগণ মানবীয় জ্ঞানরাজ্যে তাহাদিগের পূৰ্ব্বস্থান পুনরায় লাভ করিবার চেষ্টা করিতে উৎসাহিত হন, তাহা হইলে আমার শ্রম সার্থক হইবে। শ্ৰীপ্রফুল্লচন্দ্র রায় । আদিনে যাত্র। (রবীন্দ্রনাথের “পুজারিণীর" অমুকরণে ) ভূপতি কৰ্ম্মকার— নামিয়া আইল তেতলা হইতে । আজি পরীক্ষা তার। স্থাপিল। কালীর প্রসাদ আননে, ললাট উপরে রচিলা যতনে - অতি অপরূপ দধিময় স্ত,প, শিল্পশোভার সার। ৰেষ্ট বের পাতার পকেট --- ു ভরিয়া নিল নিরালা । লিখি নিল ফুল-মোজার তলায়, Cufএর ভিতরে, কোটের গলায়, আপনার হাতে, ঘড়ির ডালায় প্রশ্নোত্তর-মালা । গুরুর পুত্র, কম্পোজিটার কহিল ছুটিয়া আসি “পিতার ধৰ্ম্ম অনাচার-স্রোতে সুছিয়া ফেলিছ আজকেরি হতে, ছুটিছ অজ্ঞ নরক-আলোতে ন মানি শাস্ত্ররাশি ! ৫্যহম্পর্শে করিছ যাত্রী !

  • কলিতে হল কি সবে ? দেবদেবী ছাড়া ভেবেছ কি আর কিছু নাই ভবে ভয় করিবার? অশ্লেষা, মঘী, বেষ্পতিবার,

মিথ্যা কি এর তবে ?” -খণ্ডেন। কভু ললাট-লিখন" ভূপতি কহিল হাসি। পুণ্যবচনে টলিল না হিয়া - দেখি যশীদাসী পড়ে মূরছিয়া, বিরাজ-পিসীর নয়ন বাহিয়া গড়াল অশ্রুরাশি । শিহরি সভয়ে জননী কহিলা “ভেবে দেখ, বাছা মনে বাহির হইবে আজিকে বে-জনী, আছে তার ভালে মৃত্যু-ঘটনা, অথবা ভূগিবে অশেষ যাতন বন্ধন, দংশনে।”