পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

やbro ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ* ভারতবর্ষে ব্রিটিশ উপনিবেশ কৰ্ম্মচারী। গত ৮ই সেপ্টেম্বর বড়লাটের ব্যবস্থাপক সভায় মাননীয় ঐযুক্ত স্বরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় জানিতে চাহেন যে ভারতবর্ষে রাজকাৰ্য্যে ব্রিটিশ উপনিবেশের কতজন লোক নিযুক্ত আছে। তদুত্তরে মাননীয় সার রেজিনাল্ড ক্রীডক সংথ্য জানাইয়াছেন—৬৭ জন। ব্রিটিশ উপনিবেশ গুলিতে একজন ভারতবাসীর ও পা দিবার অধিকার নাই ; যাহার। পূৰ্ব্বে গিয়া পড়িয়ছিল তাহদের অপমান ও লাঞ্ছনারও অন্ত নাই; অথচ সেইসব দেশের ৬৭ জন লোক, আমাদের উপর প্রভূত্ব করিতেছে এবং সম্ভবতঃ বেশ মোট বেতনই নিরন্ন ভারতবাসীর প্রদত্ত অর্থ হইতে তাহারা পাইতেছে। ঐ ৬৭ জন ভদ্রলোকের ইহাতে লজ হওয়া উচিত ; ভারতবাসীর প্রতি তাহাদের ভাইবন্ধুরা যে কু ব্যবহার করিয়া আদিতেছে ভারতবাসীরা যদি তাহদের প্রতি সেইরূপ করিয়৷ পাণ্ট জবাব দিতে পারিত, তাহা হইলে সে ব্যাপারটা নিশ্চয়ই প্রীতিজনক হইত না; ভারতবাসীরা যে ভদ্র ব্যবহার করিতেছে ইহাতে তাহারা তাহদের ভাইবন্ধুদের ব্যবহারের জন্য নিশ্চয়ই মনে মনে লজ্জ ও গ্লানি অনুভব করিতেছে— ভদ্রলোক হইলে সেইরূপ হওয়াই স্বাভাবিক। ভারতগভমেন্টের তরফ হইতে তাহাদিগকে রাজকাৰ্য্যে নিযুক্ত করা ন্যায়সঙ্গত হয় নাই । যাহারা ভারতকে অপমান করে, ভারতকে হীন মনে করে তাহারা ভারতের রাজকাৰ্য্যে নিযুক্ত থাকিবে ইহা বাঞ্ছনীয় নহে এবং ভারতগভমেন্টের পক্ষে ও গৌরবের ব্যাপার নহে। ভারতবর্ষের রাজকাৰ্য্যে নিযুক্ত হইবার উপযুক্ত কেবল তাহারা যাহারা ভারতবর্ষকে শ্রদ্ধার চক্ষে দেখে। ভারতবর্য ভারতবাসীর জন্মভূমি ; তাহার রাজকর্ঘ্যে তাহীদেরই জন্মগত অধিকার ; গভমেন্টের উচিত তাহদের দিয়াই যতদূর সম্ভব সমস্ত কাজ করাইয়া লওয়া ; যদি একান্তই শ্বেতাঙ্গ কৰ্ম্মচারী রাখা রাজনীতির খাতিরে আবখ্যক বোধ হয় তবে আমাদের মতে থাস ইংলণ্ডের অধিবাসী ইংরেজদেরই রাজকাৰ্য্যে নিযুক্ত করা উচিত ; যোগ্য ইংরেজের এমন অভাব হয় নাই যে শ্বেতাঙ্গ বিদেশী বা ভারতের প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড । SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS ു. অপমানকারী উপনিবেশীদিগকে ভারতের ভাগ্যবিধাতা দওমুণ্ডের কৰ্ত্ত করিয়া রাখিতে হইবে। আমরা আশা করি শীঘ্রই "উপনিবেশসমূহ ব্রিটিশরাজত্বের সকলপ্রজার প্রতি সমদৰ্শী হইয়। এইসব বৈষম্যের প্রতিকার করিবে । লড’ হাডিং বাহাদুর এ বিষয়ে যথেষ্ট ন্যায়নিষ্ঠার পরিচয় দিয়াছেন ; র্তাহার আমলে ইহার একট। শেষ মীমাংসা হইয়া যাওয়া উচিত ; আমরা আশা করি তিনি এ বিষয়ে মনোযোগী হইয়া ভারতবাগীকে অপমান হইতে রক্ষা করিয়া তাহদের চিরকালের স্মরণীয় হইয়া থাকিবেন। রাজনৈতিক কয়েদী। রাজনৈতিক অপরাধ সকলস্থলে সবসময়ে ঠিক নৈতিক অপরাধ নয়। চুরি, ডাকাতি, খুন প্রভৃতি নৈতিক অপরাধ—সকল সভ্যদেশেই উহা দণ্ডনীয়। কিন্তু রাজনৈতিক অপরাধ ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থার অনুসারে ভিন্ন ব্যবস্থায় বিচারিত ও গণ্য হয় ; অথবা একই দেশে অবস্থার *द्रिदécन मूउन बादशम्र डिग्न नमप्य डिद्र डिद्र श्य দাড়ায় ; একই রাজার অধীন দুই দেশেও দ্বিবিধ হইতে পারে। যেকাৰ্য্য ইংলণ্ড রাজদ্রোহ বলিয়া গণ্য নয়, তাহা ভারতবর্ষের আইন-অমুসারে রাজদ্রোহ হইতে পারে ; যাহা দশ বংসর আগে রাজদ্রোহ হইত না, এখন তাহ নূতন আইনে রাজদ্রোহ বলিয়া গণ্য হইবে হয়ত । সুতরাং সাধারণ নৈতিক অপরাধীদের ন্যায় সৰ্ব্বপ্রকার রাজনৈতিক অপরাধীদের দণ্ডিত করা উচিত নয়, এবং কোনো সভ্যদেশে তাহ করাও হয় না। আয়ালাণ্ডের রাজনৈতিক কয়েদী মাইকেল ডেভিট অথবা লেডী কন্সটান্স লটন প্রভৃতি দাঙ্গাকারিণী নারী-অধিকার প্রাথিনীর দলের যেরূপ গুরুতর অপরাধ তাহাতেও তাহাদিগকে সাধারণ কয়েদীদের ন্যায় পীড়াদায়ক ব্যবস্থায় কয়েদ রাখা হয় নাই, বিশেষ ব্যবস্থায় বিশেষ অবস্থায় রাখা হইয়াছিল। কিন্তু আমাদের দেশের রাজনৈতিক কয়েদীদিগকে সাধারণ কয়েদীদিগের ন্যাই কঠিন দুঃখ দিয়া রাখা হয় । ইহা সভ্যদেশের ব্যবস্থার অনুমোদিত নহে। বড়লাটের ব্যবস্থাপক সভায় মাননীয় ঐযুক্ত স্বরেন্দ্রনাথ ৬ষ্ঠ সংখ্য। ] বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় রাজনৈতিক কয়েদী নগেন্দ্রচন্দ্র চন্দ্র সম্বন্ধে প্রশ্ন করিয়া মাননীয় সার ক্রাডক সাহেবের নিকট উত্তর পাইয়াছেন --নগেন্দ্রচন্দ্র চন্দ্র সাত বৎসরের জন্য কয়েদ হইয়। মুলতান জেলে আছে ; ১৯০০ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম কয়েদ হইবার সময় তাহার ওজন ছিল ১১১ পাউণ্ড : ১৯১৪ সালের জুলাই মাসে মুলতান জেলে বদলী হইবার সময় হয় ১০৪ পাউণ্ড , তাহার পর ওজন ৯৬ হইতে ১০৬ পাউণ্ডের মধ্যে উঠা নাম করিয়াছে। প্রথমে তাহাকে স্বর্থী কুটিতে, পরে কূপের জল তুলিতে নিযুক্ত করা হয়। সম্প্রতি তাহাকে শিক-জোড়া বেড়ী পরাইয়া দেওয়া হইয়াছিল ; তখন তাহাকে কূপে জল তুলিতে নিযুক্ত করা হইত ন ; সে কূপে লাফাইয় পড়িয়া আত্মহত্যা করিতে গিয়াছিল —ইহা ঠিক কথা নয়। তাহাকে পৃথক ( নির্জন নহে ) কারাবাসে রাখা হয় ৬ মাস, তখন তাহাকে প্রত্যহ ১২ সের শশু পিধিতে হইত ; তখন সে পীড়া হইতে সুস্থ হইয়৷ উঠতেছিল এবং ডাক্তার বলিয়াছিল সে ঐটুকু কাজ করিতে পারিবে। ১৯১৫ সালের ১২ই এপ্রিল তাহাকে ১৫ ঘা বেত মারা হয়—আবশ্ব ডাক্তার বলিয়াছিল যে সে অত ঘা বেত সহ করিতে পারিবে । সে তখন বুকে কোনোরূপ বেদন থাকার কথা প্রকাশ করে নাই । সে ক্রমাগত কাজ করিতে অস্বীকার করিয়া আসিতেছিল বলিয়াই ঐ শাস্তি ; নির্দিষ্ট পরিমাণ কৰ্ম্ম করিয়া উঠিতে পারে নাই বলিয়া নহে । রাজনৈতিক কয়েদীদের এরূপ সাজ দেওয়া উচিত কিন তাহা গভমেণ্টের বিচাৰ্য্য। আমরা গভমেণ্টকে উক্ত উত্তরের মধ্যে যে অল্প-স্বল্প অসম্পূর্ণতা আছে তাহা পূরণ করিয়া দিতে অনুরোধ করি। (১) কয়েদী শুধু শুধু রোগ দুৰ্ব্বল বা পীড়িত হইয় পড়ে না ; নগেন্দ্রের সেইরূপ হওয়ার কারণ কি ? ( ২ ) শিক-জোড় বেড়ী দুৰ্দ্দান্ত কয়েদীদের পরানো হয় ; নগেন্ত্রের বেলা তাহার ব্যবস্থা হইয়াছিল কেন ? (৩) কেন তাহাকে পৃথক করাবাসে রাখা হইয়াছিল ? ( a ) সে কূপে লাফাইয় পড়িয়াছিল--এ জনরবের কারণ কি ? ( ৫) সদ্যপীড়ামুক্ত কয়েদী ১২ সের শস্য পিষিতে পারে ইহা কোন ডাক্তারের অভিজ্ঞতা এবং অপরাপর ডাক্তারদেরই বা এ সম্বন্ধে মত বিবিধ প্রসঙ্গ—রাজা রামমোহন রায়ের

  • デう“

বাৎসরিক শ্রাদ্ধ SAMSAS A SAS SSAS SSAS SSMSSSMSSSMSSSMSSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS কি ? (৬) সদ্যপীড়ামুক্ত রাজনৈতিক কয়েদী কাজ করিতে অস্বীকার করিলে তাহাকে ১৫ ১৫ ঘা বেত থাইতে হয় ইহাই কি নিয়ম ? ( 4 ) সে ভদ্রলোকের ছেলে ; যেসব কাজ তাহাকে করিতে বলা হয়, তাহা তাহার সম্পূর্ণ অনভ্যস্ত, এবং তাহার পক্ষে অতি কঠিন, বলিয়াই সে অনিচ্ছা প্রকাশ করে কি না, নিৰ্দ্ধারণ করা উচিত। কয়েদীর যে প্রদেশের লোক সেই প্রদেশের জেলেই তাহাদিগকে রাখা সঙ্গত বলিয়া মনে হয় । তাহ হইলে তাহার সুবিধা অসুবিধ। তাহার আত্মীয় স্বজনের কর্ণগোচর হইতে পারে এবং তাহার কর্তৃপক্ষকে ও গভমেন্টকে আবে: দন করিয়া দুঃখ-প্রতিকারের উপায় করিতে পারে। প্রত্যেক জেলখান। যেরূপ সুরক্ষিত তাহাতে রাজনৈতিক কয়েদী হইলেও তাতাদের পলায়নের সস্তাবনা অতি অল্প , এমন অবস্থায় রাজনৈতিক কয়েদীদিগকে ভিন্ন প্রদেশে বন্দী রাখার ব্যবস্থা অনাবশ্যক বলিয়াই মনে হয়। এ বিষয়ে গভমেন্টের দৃষ্টি আকৃষ্ট হওয়া উচিত। - রাজা রামমোহন রায়ের বাংসরিক শ্রাদ্ধ। ১৮৩২ খ্ৰীষ্টাব্দের ২৭শে সেপ্টেম্বর রাজা রামমোহনের ব্রিষ্টল সহরে মৃত্যু হয়। আগামী ২৭শে সেপ্টেম্বর ১১ই আশ্বিন সোমবার ভারতের নানা স্থানে তাহার শ্রাস্কসভা হইবে । শ্রদ্ধেয় ব্যক্তির শ্রাদ্ধ তৰ্পণ তখনই যথার্থ হয় যখন তাহার বিশেষ ভাবটি আমরা হৃদয়ে উপলব্ধি করিয়া তাহার পদাঙ্ক অনুসরণ করিতে পারি। রামমোহন বিশ্বমানবের একত্ব ও ঈশ্বরের একত্ব উপলব্ধি করিয়াছিলেন এবং তাহাই তাহার জীবনের প্রধান বিশেষত্ব ও কৃতিত্ব ; তা ছাড়া সহমরণ নিবারণ, শিক্ষার বিস্তার, রাজনৈতিক অধিকার লাভে স্বদেশবাসীকে উংস্থক ও ব্যগ্র করিয়৷ তোলা প্রভৃতি র্তাহার অপরাপর কীৰ্ত্তি। তাহার শ্ৰাদ্ধবাসরে তাহার গুণকীৰ্ত্তনের সময় বিভিন্ন সভার বক্তার এই কয়টি কথা স্মরণ রাখিয়া শ্রোতাদিগকে স্মরণ করাইয়া দিলেই তাহার প্রকত শ্ৰাদ্ধ ও তর্পণ করা হইবে ।