পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৪৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- و جيما প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড , ~へヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ・ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ মরিশাল চামারপটির লালামুণী গত ২৫শে আষাঢ় সকালবেল বরিশাল কাশীপুর রাস্তায় তাহার আড্ডায় বসিয়া জুতা মেরামত করিতেছিল। বেলা ৮ ঘটকার সময় এক ব্রাহ্মণ আসিয় ৩.২ শত একটি তোড় সহ জুতা সারাইতে বসে। ব্রাহ্মণের জুতা সার হইলে সে ভ্রমবশতঃ ঐ টাকার তোড়া ফেলিয়া চলিয়া যায়, অনেকক্ষণ পরে তোড়াটির অনুসন্ধানে আসিয়৷ নানাস্থানে অনুসন্ধান করত: অবশেষে প্রায় ১১। ঘটিকার সময় লালামুণ্ঠীর দোকানে আসিয়া তাহার निक उंश्॥ al९ श्ग्र । जाल', अभt१द्र नभ७ श्रवक्ष् ९निग्न। ७ ব্রাহ্মণের বিষ বদন দেখিয়া টাকার তোড়টি বাক্স হইতে বাহির করিয়া দিল, ব্রাহ্মণ উছ পইরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইয়া লাল মুচিকে ৫ টাকা পুরস্কার দিয়াছিল, লাল তাই গ্রহণ করে নাই। যুরোপের যুদ্ধ আমাদের দেশের এবং অন্যান্য অনেক দেশের শিল্পবাণিজ্যের অবনতির কারণ হইয়াছে, আবার অনেক শিল্প-প্রতিষ্ঠার পথও উন্মুক্ত করিয়াছে। চট্টগ্রামের "জ্যোতি"তে প্রকাশিত নিম্নলিখিত বিবরণ হইতে তাহ। উপলব্ধি হইবে | - - - পুৰাকাল হইতে ভারতের নীল পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে সমাদৃত হইয়া আসিতেছিল। প্রায় দেড়শত বৎসর পূৰ্ব্বে বিহার অঞ্চলের জনৈক রেজ ম্যাজিষ্ট্রেট এদেশে নুতন প্রথায় অর্থাং বিলাতী কল কৌশল প্রস্তুতের কপী কল্পনা করেন। সফলকাম ব্যবসায়ীর কল্পনা কখনো ব্যর্থ হয় না। তিনিই প্রথম বিলাতী নিয়মে নীল প্রস্তুত আরম্ভ করেন। দেখিতে দেখিতে শত শত বিলাতী নীলের কুঠি বিহার প্রদেশ ছাইয় ফেলিল। বহু ইংরেজ কোটা কোটা টাকা অর্জন করিয়৷ স্বদেশে লইয়া গেলেন। ১৮৯৭ সালে জাৰ্ম্মেন রসায়নবিদের সিস্থেটিকলীল প্রস্তুত করিয়া বাজারে উপস্থিত করেন, তাহাতে ভারতীয় নীলের কাটতি কমিতে আরম্ভ করে। সেই বৎসর ১,৭১,••• মণ নীল বিকাইয়াছিল ; তংপুৰ্ব্ব বংসর বিকাইয়াছিল ২,১৫,• • • মণ। আর গত সনে (১৯১৪) ভারতে মাত্র ৮••• মণ নীল জম্মিয়ছিল। সমস্ত পূপিণীতে বৎসরে অন্ততঃ এ কোটি টাকার নীলের কার্টুতি হইতেছে। এত বড় একটা ব্যবসায় জর্জেনির ব্যবসায়ীর একচেটিয়া করিয়া নিয়াছিল। ১৮৯২৯৩ সালে ভারতের নীল প্রতি-মণ ৩..৩১, BBBS BB BBSBSS BBBB BB BBS BBB BBBS BDS KD সন যুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার পর জাৰ্ম্মেন ব্যবসায়ীদের দ্বার বন্ধ হওয়ায় আবার छाद्रप्ठद्र नौप्लद्र अद्र 5प्लि८ङ श्रांब्रष्ट कब्रिग्राझ । शृउ १९नद्र ५५४ মাসের সূচনায় লণ্ডন নগরে ভারতের নীলের পর মণপ্রতি ৩•• টাকা ছিল। তংপর সেপটেম্বরের প্রারস্তুে ৪• •, শেষ ভাগে ৫৪. এবং অক্টোবরের মধ্যে ৭•• টাকায় উঠে এখন প্রতিমণ ৮. টাকা দরে বিকাইতেছে। শীঘ্র শীঘ্ৰ যুদ্ধ থামিয়া যাইবে, এই আশায় বিলাতী ব্যবসায়ীর বহু ব্যয়সস্কুল কল কারখানা লইয়া পুনরায় এদেশে নীলের ব্যবসায় আরম্ভ করিতেছেন না। এই সময়ে গবৰ্ণমেণ্ট দেশীয় নীলের . উৎসাহিত করিলে গরীব লোকের ঘরে ঘরে ইহার ব্যবসায় আরম্ভ করিতে পারে। "স্বরাজ"-এ বরপণ গ্রহণ সম্বন্ধে নিম্নলিখিত বিবরণ দুইটি একাশিত হইয়াছে। প্রথম বিবরণে যে-ঘটনাটি বিবৃত হইয়াছে সেরূপ ঘটনা আমাদের দেশে এত বিরল যে বিশ্বাস করিতে প্রবৃত্তি হন। দ্বিতীয় ঘটনাটি অবিশ্বাস - -- করিবার কারণ নাই, আমাদের - দেশের “শিক্ষিত" সম্প্র দায়ের কাহারও কাহারও মনের ভাব ও ভাষা ঐ রকম । জনৈক যুবক কলেজের উচ্চতম এম, এ, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলে চতুর্দিক ইহঁতে কন্যাদায়গ্রন্ত ব্যক্তিবর্গ তাহাকে কষ্ঠ দানের জন্ত ব্যাকুল হইল। পাত্রের পিতা অর্থোপার্জনের মাহেক্সক্ষণ বুঝিয় পাঁচ সহস্ৰ মুদ্র,পণ গ্রহণপূর্বক মহা ধুমধামে পুত্রের বিবাহ স্বসম্পন্ন করিলেন। ক্যার পিত। স্তহার সৰ্ব্বস্ব ব্যয় সঙ্কল্প করিয়াও পণের টাক। সংগ্ৰহ করিতে না পরিয়া ভদ্রাসন বাটী পৰ্য্যন্ত বন্ধক দিয়া বহুকষ্টে পণের টাকা সংগ্ৰহ করিলেন। বিবাহের পর পুত্র বাড়ী যান না, পিত। অনেক প্রকার অনুরোধ করিয়াও পুত্রকে বিদেশ হইতে বাড়ী আনিতে পারেন ন। পুত্র নানাপ্রকার ওজর আপত্তি করিয়া বিদেশেই থাকেন । পুত্র ক্রমে আইনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া উকীল হইলেন। কিছু কিছু উপার্জনও করিতে লাগিলেন। কিন্তু কোনক্রমেই বাড়ীতে আসেন না। পিতা তাহকে বাড়ী আনিবার নিমিত্ত বিশেষ পীড়াপীড়ি করায় পুত্র বলিলেন আমার কিছু গণ আছে তাহা পরিশোধ না করা পৰ্য্যন্ত আমি কোনক্রমেই বাড়ী যাইতে পারি না। তাহতে পিতা আশ্চর্যাস্থিত হইয়া বলিলেন তোমার যখন যাহা আবগুক হইয়াছে আমি তৎক্ষণাং তাহা দিয়াছি তথাপি কি কারণে তোমার কত টাকা ঋণ হইল জানিতে ইচ্ছা করি। তদুত্তরে পুত্র পিতাকে জানাইলেন যে আপনি আমার আবখ্যকীয় সমস্ত ব্যয় নিরাপত্তিতে দিয়াছেন বটে কিন্তু আপনি আমার বিবাহে পাচ হাজার টাকা পণ লইয়া আমার শ্বশুরের সর্বশ্বাস্তু করিয়াছেন, ভদ্রাসন বাড়ী পর্য্যন্ত এখনও রেহানে মাবদ্ধ আছে, তিনি এখন নিরম । বিবাহের ব্যয় আমার বহন করা উচিত। কিন্তু শক্তি অভাবে আমি তাহ দিতে পারি নাই। যে পৰ্য্যন্ত আমি উক্ত পীচ হাজার টাক, স্বদসহ পরিশোধ করিতে সক্ষম ন হইব ততদিন আমি কোনক্রমেই বাড়ী যাইব না। আমি এখন উপার্জনশীল হইয়াছি, যত সত্বর পরি উক্ত ঋণ পরিশোধ করিয়া বাড়ী যাইব ।" পিতা অনুসন্ধানে জানিতে পরিলেন পুত্র যাহ উপার্জন করে তন্মধ্যে নিজের অত্যাবগুক ব্যয় বাদে যাহ। কিছু বীচে তাহ গোপনে তাহার শ্বশুরের নিকট পঠাইয়া দেয়। তখন তিনি তাহার বৈবাহিককে ভদ্রাসন বাড়ী রেহানমুক্ত করিয়া দিয়া পণের টাকা স্বদসহ ফেরত দেওয়ার বিষয় পুত্রকে জার্নাইলেন এবং পুঞ্জকে বাড়ী আসিবার জন্য অনুরোধ করিলেন। তাহাতে পুত্র বাড়ী আসিল। পিতা তাহার শ্বশুরকে যত টাকা দিয়াছেন তাহ ঋণস্বৰূপে গণ্য করত; সেক্রমে পিতৃগণ পরিশোধ করিতে লাগিল। উক্ত ঋণ পরিশোধ না হওয়৷ পৰ্য্যন্ত সে কৰ্ম্মস্থলে পরিবার লইয়। গেল না । ২। জলপাইগুড়ী কমিশনার অফিসের কোন সন্ত্রাপ্ত কৰ্ম্মচারী বাড়ী যাইতেছিলেন। তিনি যখন গোয়াললষ্টমারে উঠেন তখন তিনটি যুবকও সেই ষ্টমারে উঠল। তন্মধ্যে গল্পচ্ছলে একটি যুবক বলিল “শ্বশুর শাল বড় পাটী। বিবাহের সময় আমাকে সোনার ঘড়ি চেইন দিতে চাহিয়ছিল, কিন্তু কোনক্রমেই শালার নিকট হইতে তাহ আদায় করিতে পারিলাম না। কত অপমান করিলাম কিছুতেই বেট ঘড়ি চেন দিল ন। কেবল নেকাম করিয়া বলে কস্তার বিবাহ দিতে সৰ্ব্বস্বাগু হইয়াছি ঘড়ি চেন কোথা থেকে দিব।” একটা কচুক্তি করিয়া বলিল "যদি শক্তি নাই তবে বিবাহ দিতে গিয়াছিলি কেন ?" তদুত্তরে দ্বিতীয় যুবকটি বলিল "আমারও স্বশুর শাল আমাকে ঐক্লপ ঠাইয়াছে। দিতে চেয়ে দেয় নাই, শাল এমনি পাজী।” তখন তৃতীয় যুবকট বলিল "ছেড়ে দাও ভাই, শ্বশুর শালদের গতিকই ঐরুপ। শালদের কান ধরে চুক্তি-মোতাবেক সমস্ত বুঝিয়া লয়ে বিবাহ করা উচিত।" অমুসন্ধানে জানা গেল তিনটি ছেলেই বি, এ, পাশ। ' ' হিমালয় অঞ্চলে ক্ষুদ্র একটা পাহাড়ের এক অংশে মনিয়ার মায়ের কুটার। দূরে-উত্তর দিকে — উচ্চশীর্ষ রজতশুভ্ৰ তুষারমণ্ডিত কয়েকটা গিরিশৃঙ্গ আকাশ ভেদ করিয়া উঠিয়াছে। দক্ষিণে দিগন্তবিস্তৃত উপত্যক। পূৰ্ব্বে ও পশ্চিমে জঙ্গলপূর্ণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাহাড়শ্রেণী। উত্তরের একটা গিরিনদী পাহাড়গুলিকে শাখাপ্রশাখায় বেষ্টন করিয়া উপত্যকার মধ্য দিয়া বক্রগতিতে দূরে—বহুদূরে— গঙ্গায় মিশিয়াছে। নদীতে সকল সময়ে জল থাকে না। দূরের পৰ্ব্বতশৃঙ্গে সঞ্চিত তুষারপ্তপ নিদাঘসমীরণম্পর্শে দ্রবীভূত হইয় প্রবল উচ্ছাসে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাহাড়গুলিকে দ্বীপের আকারে পরিণত করিয়া প্রলয়-হুহুঙ্কারে উপত্যকার উপর দিয়া ধাবিত হয়। সে একটা ভীষণ দৃশু ! সেই দুই চারিদিন কেহই পাহাড়ের নীচে-দূর লোকালয়ে— যাইতে পারে না। স্রোতের বেগ মন্দীভূত হইলে দূরপল্লীতে বনজাত কাষ্ঠাদি বিক্রয় করিয়৷ আহার্য সংগ্রহের জন্য তাহার। দলে দলে ভেলা ভাসাইয়া দেয়। এই পাহাড়গুলির কত লোক কত দিন গিরিনদীর বিষম আবর্তে ভাসিয়া কোন অজ্ঞাত লোকে চলিয়া গিয়াছে, তথাপি এই স্থানের অধিবাসীরা বাস ত্যাগ করিতে পারে ন, বাসত্যাগের কল্পনাও তাঁহাদের মনে আসে না । ব্যয়ের অনুরূপ আয়ের উপায়-বনজাত প্রচুর কাঠ ও গুপীকৃত শালপত্র-পাহাড় ছাড়িয়া আর তাহার কোথায় পাইবে ? অসংখ্য হরিণ, এত শাকসব্জী, কত খরগোস– আর কোথায় আছে ? আকাশের এমন মুক্ত বায়ু, গিরিনিঝরিণীর এত মিষ্ট জল সকল স্থানে যে পাওয়া যায় না। যেটুকু কষ্ট, যাহা কিছু অস্থবিধা, অভ্যাসের বলে সহ করিয়া তাহার বেশ আছে । - + - - - - - - - স্বৰ্য্যদেব পশ্চিম গগনে চলিয়া পড়িয়াছেন। প্রতিদিনের ন্যায় আজও বালকেরা তীরধতুক লইয়া উপত্যক-অঞ্চলে পেলিয়া বেড়াইতেছে। মনিয়াও একদিন তাহদের সঙ্গে - ७% সংখ্যা ] - - আ ( গল্প ) à. ഹ এই সময়ে এই ভাবে খেলিত। কিন্তু এই এক বৎ এ সংসারে নাই। - . . মনিয়ার বাপ যখন জীবিত ছিল, সেই স - * - অতীতের সাক্ষী হইয় গাছটি এখনও তেমনি ভাবে । দাড়াইয়া আছে। সন্ধ্যাকালে সেদিকে চাহিলে ম হইয়া থাকে, তবে মানবজীবনে মুখ আসে কের পর আবার অন্ধকারের ੱ- প্রকৃতি —ঈশ্বরের এ কি লীলা । সে কত কথাই ভাবে,-ভাবিয়া কাদে, ভাবে। সন্ধ্যাকালে কুটারদ্বারে বসিয়া জনশূন্ত ;ি স্থার বাপ গাছটির নীচে ঘুমাইয়া রহিয়াছে, আর কুটারের মধ্যে বলকাঠের মাচার উপর অঘোর নিদ্রায় অভিভূত। সেই বা জাগিয়া থাকিবে কেন? : ওটা কি ? ও ত মনিয়ার বাপ নহে, ওযে গাছের હરેશ মোটা শিকড়। বিছানায় ত মনিয়া নাই, ও যে তাঁহারই । তৈলসিক্ত মলিন উপাধান । মনিয়ার মা সময়ে সময়ে জোর বরিয়া চিন্তাকে দূর করিয়া দিতে চাহে, কিন্তু চিন্তা তাহাকে ছাড়ে না। সেই ৷ জন্য তাহার মনে হয়—সে যেমন ছিল, তেমনি আছে। । কিন্তু পরক্ষণেই একটা দীর্ঘশ্বাস আসিয় তাহাকে স্মরণ করাইয়া দেয়—যাহারা ছিল, তাহারা গিয়াছে,-এখন । সে সংসারে একা! ’ - - - - - - - - - - • - . • - - -- ংসারের এই হাসিখেলার মধ্যে কত সন্ধ্যা মনিয়ার মায়ের জীবনের উপর দিয়া शिाह l আবারཨ༢b། ། সন্ধ্য আসিতেছে । --- প্রতিবেশিনী রমণীগণের সঙ্গে সে প্রতিদিন দূরপল্লীতে, কাঠ বেচিয়া আসে। দুইদিন জরে পড়িয়া কুটারের বাহিরে যাইতে পারে নাই। পূৰ্ব্বদিন কয়েকজন তাহার সন্ধান