পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-- - - 이o --SumitaBot (আলাপ) ০৭:৫৪, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)----------- তাঁতী-বে, বলন আমি কি চাইব ? তুমি কষ্ট পাও, তাই আমাকে তিরস্কার কর । তা আমি বুঝি। আমার সাধা নাই তোমার দুঃখ দূর করি। তোমার অদৃষ্টে নেই মুখ। আমার বৃদ্ধ বয়সে তুমি আমাকে নিমিত্তের ভাগী দাড় করাচ্ছ। তাতীর কথা শুনে তাতী-বোঁ রেগে উঠল, বললে— মরতে তুই বিয়ে করেছিলি কেন ? আমাকে আদর করে অনেকেই রত্নসিংহাসন দিত। SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS o তাতী বলেল—আমার সে সমস্তই ত ছিল, এখন কিছু নেই। কেবল তুমি আছ। তুমি কি চাও বল। তোমার জন্যে আমি চেয়ে নেবো। সত্য হয় ভালই, না হয় ক্ষতি নেই। গহনা চাইব ? না, নগদ টাকা চাইব ? তাতী-বে বললে—আর দুটা হাত আর দুটা পা আর একটা মাথা চেয়ে লও। দুপায়ে তাতের কাজ করে ক্লান্ত হও, পা হাত ব্যথা করে। আমার কথা শুন। যা বলি তাই কর। তোমার দুহাত দুপ কৰ্ম্ম করবে, দুহাত দুপ৷ বিশ্রাম করবে। এক মাথা ঘুমাবে, অন্য মাথা ভাববে। শরীর তোমার ডবল হবে। দিনরাত কৰ্ম্ম বন্ধ হবে না। আমি কাজ চাই। কাপড় বুনে তুমি আবার মাথাব, টানা দিব, নাটাই ঘুরাব। একদিন দুইপ্রহরের পরে স্বান করে তাত তুলসীতলায় প্রণাম করতে গিয়ে বেীএর উপদেশ-মত বর চাইলে । তাতী বর পেলে । উংকট চেহারা ! ব্রাহ্মণ-বাড়ীর ছেলেমেয়ের আংকে কেঁদে উঠল। লোক জমা হল। তাতী-বে এল। সে ভয় কাকে বলে জানত না। দেখে ভয় পেলে । তার্তী বললে—ভয় নেই, তুমিই আমাকে এরূপ করেছ। আমাকে ঘরে নিয়ে চল। চল ঘরে যাই। কুকুর কামড়াতে আসছে। অনেকগুলি স্ত্রীলোকের অনুরোধে তাতী-বোঁ তাতীকে - ভয় পায়। পুলিশ গ্রেপ্তার করলে। বিচারে তাতীর শূলদণ্ডের আদেশ হল - তাতী আপন চেহার দেখে আপনাকে আর সেই ভূধর তাতী মনে করে না। ঘুমাতে পারে না। দুটা মাথা। ভাবনার . বিরাম নেই। ঘুম না হলে মাহ্য এপাশ ওপাশ করে। প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩২২ - ০৭:৫৪, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)--~~----------------ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ。 - - তাতীর তার উপায় নেই। প্রত্যেকটিই ডবল হয়েছে। ঘুম কিন্তু একেবারে নেই। ঘুমপাড়ানি মাসি ভূলে গেল, মায়া কাটালে। ঘুম আমা নাক মুখ চোখ কান হাত পা । - দের মাসি, মাসির বাড়ী থাকি আমরা ঘুমের সময়। মৃত্যুই । আমাদের মা। এই মা আমাদের সকল জালা যন্ত্রণ নিবারণ - গর্ভধারিণী সংমা। সংমা আমাকে সংসারে - করেন। এনে অনেক দুঃখ ভোগ করান। এই সময় হতে তাতী তুলসীর কাছে আর প্রণাম করে - ন। শূলদও হবে জেনে পাগল হয়ে উঠল। কথা কয় না | খায় না, চায় না। ছতিন দিন অনাহারে, তবু বেশ সবল এবং সুস্থ । শূলের উপর বসান হল। অনেক লোক জড়ো হল। স্ত্রীলোক অনেকেই পালিয়ে গেল । দুই প। এক মাথা এক এক দিকে। যে যেখান হতে দেখে ভূধর তাতীর দুই হাত দুই পা দুই চোখ দুই কান এক নাক —তাতী যেন সকলের দিকেই চেয়ে আছে। শূলদও বেঁকে পড়ে তাতীর সামনে গরুড়ের আকার ধারণ করলে। ] শরীরটি প্রস্তরময় হয়েছে। চন্দনের ফোটা কে কখন কপালে দিলে কেউ বুঝতে পারলে না। চন্দনের দাগ ধুলে যায় না। কালে পাথরে সাদা চন্দন পাথর হয়ে গিয়েছে। ] সেইখানে ঐ শলের দিনের তিথি উপলক্ষে বংস । বৎসর মেলা হয়, দূর দেশ হতে লোকজন দোকানদার । আসে, ১৫১৬ দিন মেল থাকে। হিন্দুর তীর্থস্থান । তাতী-বোঁ যে কয়েকদিন বেঁচে ছিল, সেই ব্রাহ্মণের s বাড়ীতেই থাকত, ব্রাহ্মণের ঘরের বিধবার মত একাহার করত। ব্রহ্মচৰ্য্য অবলম্বন করলে, ব্রাহ্মণের এবং ব্রাহ্মণকন্যাদের উপদেশে তাতী-বেীএর চরিত্র মার্জিত হল। " মৃত্যুর পূৰ্ব্বে আপন নামে পাথর খোদাই করিযে সেই শূলের স্থানে বসিয়ে দিলে তাতে লেখা ছিল—স্ত্রীলোকের মূৰ্ত্তিমান দেবতা স্বামী। - কান্নার রোলে প্রাণ | মানুষের ব্যাকুল হয়ে উঠল। সকলেই দেখলে তাতীর দুই হাত - , প্রমতী বিজ্ঞউজনীি দেবী। . [ ১৫৭, ভাগ, ১ম খণ্ড । ১ম সংখ্যা ] SJSMMMS SSSSSSJSJSS • হালখাতা - ( গল্প ) ( , ) অমুকুলমল্লিকের পিতৃ-পরিত্যক্ত বাসগৃহখানি বন্ধকের স্বদে দিন দিন যেমন জীর্ণ ও ম্ৰিয়মাণ হইয়া পড়িতেছিল, ঋণের চিন্তায় তাহার স্বভাব-শীর্ণ দেহখানিও যে তেমনি কুশ ও ক্রমে কঙ্কালকল্প হইয়া যাইতেছিল সেদিকে লক্ষ্য করিবার অবসর তাহার ছিল না। শওদাগরী অফিসে চল্লিশটাক মাসিকের চাকরীটুকু রক্ষা করিতেও তাহাকে অনন্যোপায় মসীজীবীর অনুরূপ অবিশ্রান্ত পরিশ্রম করিতে হইত। শরীর যেমন ক্ষণবিধ্বংসী তেমনি কষ্টসহিষ্ণু— অন্তত: চাকরীগতপ্রাণ বাঙ্গালীর পক্ষে বটে। - চির-সহচর চিন্তা লইয়৷ আহুকুলবাবু বসিয়া ছিলেন। মনোরম আসিয়া বলিল—বাব, চান করবে না ? “ক’রব।” “কি ভাবছ বাবা ?" “কিছু না।” "ঐ যে ভাবছ—তুমি চান করবে এস।” -- পিতা বিস্ফারিত নেত্রে একবার কন্যার আপাদমস্তক করিয়া দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিলেন । "বাবা, তুমি বুঝি সেই টাকার কথাই ভাবছিলে ?” “স্বরূপদত্তের এখনি আসবার কথা আছে–টাকার কিন্তু কোন বন্দবস্ত হুয় নি।” “সে এত বেলায় আর আসবে না।” "আসবেই, ওয়াদ করে গেছে।” “তার কি কথার ঠিক আছে ? দিদির বিয়ের গহনাগুলি দিতে কত ওয়াদা ভেঙেছিল তা কি মনে নেই ? তুমি এস বাবা, সে আসবে না।” "বোকা মেয়ে । সে যে ভিন্ন কথা ! পাওনার তাগাদায় স্বরূপদত্ত কখনও সত্যভঙ্গ করে না। চল, চান ত করতেই হবে।” অনতিদূরে স্বরূপদত্তের আবির্ভাব তাহাকে দুনিয়ার আর সমস্ত চিন্তা হইতে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করিয়া দিল । স্বরূপচন্দ্রের অন্তিম যতই ঘনাইয়া আসিতেছিল অর্থসঞ্চয়ের - হালখাত। = - ৭১ S S SMS MM MSMSM MS MSMSM MS MS AASAASAA --০৭:৫৪, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)SumitaBot (আলাপ) ০৭:৫৪, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) উদাম প্রবৃত্তি ততই বাড়িয়া যাইতেছিল—বিশেষত: বিলাতবাকীর অংশ আদায় না করিয়া মরা তাহার পক্ষে একপ্রকার অসম্ভব । সেইজন্য আপাতত: চলংশক্তিতে কিঞ্চিং মন্থরতা আসিয়া পড়িলেও দেনাদারের দীনকুটীরে দিনের মধ্যে দু-বার একবারও পদার্পণ না করিলে রাত্রিকালে তাহার নিদ্রাকর্ষণ একপ্রকার অসম্ভব হইয়৷ পড়িত। তবে অধুনা সৰ্ব্বত্রই পুত্রকে সঙ্গে লইয়া যাই তেন। তাহার কারণ-পুত্র যতটা বুকুক আর নাই বুকুক— তিনি প্রতিনিয়তই প্রকাশ করিতেন—“সব দেখিয়া শুনিয়া । লউক, আমার ত' আর অধিক দিন নয়।”

  • - ... • “কি অমুকুলবাবু চুপ করে বসে রইলেন যে। যান । বাড়ীর মধ্যে—টাক আগুন, বেলা হয়েছে। বিশ্বনাথ ! পার কর ।”

“আপনার টাকার বিষয়ে আমি নিশ্চিন্ত নেই দত্তমশায়, । নিশ্চয় পাবেন–কিন্তু এখনও কিছু করে উঠতে পারিনি।" | o রকম ভদ্রলোক মশায় ? কতবার কতরকম কথা বলেন। । আজ আমার কিছু টাকা চাই-ই। আর এই নিন, হাল- । খাতার পত্ৰ—সেদিন যেন আমার এক পয়সাও বাকি । না থাকে।" - “আমি খুব চেষ্টায় আছি—আপনাকে সে আর বলতে হবে না।” "আরে মশায়—ও রকম ঢের বলেছেন–আচ্ছা । এবার দেখা যাক! দেখবেন কিন্তু ভাল করে নিমন্ত্রণ রেখে । আসবেন। আপনি বারবার আমার সঙ্গে আর এ রকম - জুয়াচুরি করবেন না। দেখ নিৰ্ম্মল, এই মল্লিকটি ভারি বাকা । লোক। টাকাগুলো বুঝি ডুবোয়! বাবা বিশ্বনাথ!" - নিৰ্ম্মল লজ্জিত হইয়া বলিল—“উনি যখন বলছেন, হালপাতার মধ্যে টাকা মিটিয়ে দেবেন, তখন আর কথা কচ্ছ কেন। এখন বাবা বাড়ী চল " . - ( × ) • *মনোরম অন্তরাল হইতে সকলই শুনিয়াছিল। “বাবা, ওরা নিমন্ত্রণ করতে এসে আমন কড়া কথা বলে গেল কেন ?" - -