পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] বরদাই মহাকবি চন্দের মহাকাব্য পৃথ্বীরাজ রাসের ঐতিহাসিকতা Je? পরাজিত ভীমদেব প্রতিশোধ লইবার উদ্যোগ করিতে লাগিলেন। তিনি অতর্কিত-ভাবে আজমীরে সোমেশ্বরকে আক্রমণ করিলেন, ও তাহাকে সৈন্তসংগ্ৰহ করিতে অবসর দিলেন না। যুদ্ধের পূর্বরাত্রে সোমেশ্বর সকল কথা পুথীকে পরদ্বারা জানাইলেন, ৪ যদি তাহার পরাজয় বা মৃত্যু হয়, তবে প্রতিশোধ লইতে প্রতিজ্ঞা করিতে বলিলেন। পরদিবস যুদ্ধক্ষেত্রে সোমেশ্বর বীরগতি প্রাপ্ত হইলেন। রাসেন্তে এ ধটনাকে "সোমেশ্বর বধ” লেখা হুইয়াছে, অর্থাৎ সোমেশ্বরকে অধৰ্ম্ম যুদ্ধে হত্য করা হইয়াছে। অশৌচান্তে প্রথমে পুথী পিতৃরাজ্যে অভিষিক্ত ইই:লন, পরে ভীমদেবকে শাস্তি দিবার আয়োজন করিতে লাগিলেন। তিনি ভীমকে । ৪৪ সময় ] আক্রমণ করিলেন। এ-যুদ্ধের লন লেখা নাই, কিন্তু পুখুীর পিতৃরাজ্য প্রাপ্তির পর ইস্লাষ্ট্র প্রথম যুদ্ধ। যুদ্ধে ভীমদেব নিহত হইলেন, পুখৃী উtহার ৮৪টি বন্দর কা"ডয়া লষ্টলেন ; পরে ভীমের শিশু-পুত্রকে পটন রাজসিংহাসনে অভিষিক্ত করিয়া বিজয় গৌরবে দিল্লী ফিরিয়া গেলেন। - সোমেশ্বরের মৃত্যুর পরও পুথী দিল্লীতেই থাকিতেন। এ-বিষয়ে অন্যান্য গ্রন্থে, শিলালেখffদতে যাহা পাওয়া যার তাঙ্গা এইরূপ — পৃথ্বীরাঙ্কের সময়ের বহু পূৰ্ব্বে-প্রায় দুই শতাব্দী পূৰ্ব্বে—আবুর প্রমাধুবংশে ধরণৗবরাহ নামক এক রাজা ছিলেন। গুজরাটের রাজা মূলরাজ সোলঙ্কা উহাকে আক্রমণ করিয়া, পরাজিত করিয়া পলাইতে বাধ্য করিয়াছিলেন । সে-সময়ে রাষ্ট্রকূট [ রাঠোর ধবল আবুরাঙ্গকে সাহায্য করিয়াছিলেন । ধবলের ৯৯৬ খৃষ্টাব্দের এক শিলালেখে এই বর্ণনা আছে। মূলরাজ ৯৬১ হইতে ৯৯e খৃষ্টান্ধ পৰ্য্যন্ত রাজত্ব করিয়াছিলেন, কিন্তু ঠিক কোন সময়ে ধৰ্ব্বণীবরাহকে পরাজিত করিয়াছিলেন ভাঙ্গ জানা নাই। আবুর রাজারা এই সময় হইতে গুজরাটের সামন্ত, ও ১১৯৭ খৃষ্টাব্দ পর্ধান্ত [ অর্থাৎ পৃথ্বীর মৃত্যুর চার বৎসর পরেও J এই সম্বন্ধ বর্তমান ছিল, তাহার প্রমাণ পাওয়া যায় । জিনমগুন নামক একজন জৈন লেখক “কুমারপাল প্রবন্ধ” নামক এক পুস্তকে কুমারপালের জীবনী লিথিয়াছেন। তিনি ঐ পুস্তকে লিগিয়াছেন, যে একদিন শাকম্ভরী-পতি আর্ণেরাজা আপনার রাণী দেবলদে র সহিত পাশ থেলিতেছিলেন । এই দেবলদেবী কুমারপাঙ্গের কনিষ্ঠ ভগ্নী । রাজা প্রায়ই রাণীর বাপ, ভাই তুলিয়া বিদ্ধপ করিম্ভেন, রাণীর তাহা অসহ বোধ হইত। সেদিন ঐরূপ কোনও বিদ্রুপে রাণী অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইয়া বলিয়া ফেলিলেন, “তুমি এরূপে আমার পিতৃবংশের অপমান রিলে, আমি কুমারপাল-দাদাকে বলিয়া দিব, ক্তগন দেখিবে, কিনি ফোমার কি দুৰ্গতি করেন ।” একথা শুনিয়া, রাজাও ক্রুদ্ধ ইষ্টলেন ; তিনি বাণীকে পদাঘাত করিয়া সে প্রকোষ্ঠ হইভে ভাড়াঙ্গ দিলেন, ও সেবকদের ডাকিয়া আঞ্জা করিলেন, “রাণীকে এখনই র্তাগর পিয়াগয়ে রাখিয়া আইস ।" রাণী ইহাতে অত্যন্ত অপমানিত বোধ করিলেন, ও তৎক্ষণাৎ যাত্রা করিয়া কুমারপালের কাছে অপমানের প্রতিশোধ ভিক্ষণ করিলেন । কুমারপাল ১১৪৩ খৃষ্টান্ধের নবেম্বর মাসে রাজ্যলাভ করিয়াfছলেন । তিনি অতি ত্রে জুস্বী ও স্বাধীন-প্রকৃতির লোক ছিলেন । তিনি অমাতাদের পরামর্শ ও মতামত গ্রাহ না করিয়া আপনার ইচ্ছামত সকল রাজকাৰ্য্য করিতেন, সেইজন্য রাজসভাভে র্তাঙ্গর শক্রর অভাব ছিল না। তাছার প্রধান অমাতা বাগ গুট্টেগ্ন ছোট ভাই আর ভটের ডাক নাম চাহুড় বা জাহাড় ছিল। তাহাকে গুজরাটের পূর্বরাজা সিদ্ধবাক্ষ জয়সিংহ পুত্রবৎ স্নেহ করিতেন, অত্যন্ত বিশ্বাস করিতেন, ও সকল গুপ্ত পরামর্শের সভাতে তাকিতেন, কিন্তু নূতন রাজা গ্ৰাহও কৱিতেন না। সেই জঙ্গ রাগে ও অভিমানে তিনি কুমারপালকে ত্যাগ করিয়া অর্ণেরাজের আশ্রয় লইলেন, ও তাহাকে গুজরাট আক্রমণ করিতে উত্তেজিত করিতে লাগিলেন। তিনি গোপনে গুজরাটের কতকগুলি সামস্তকে অর্থদ্বারা বশ করিয়াছিলেন ও তাহাদের প্রতিজ্ঞা করাইয়। লষ্টয়াছিলেন যে, যুদ্ধের.সময়ে তাহারা হয় কুমারপালকে ত্যাগ করিয়া অর্ণেরাজের আশ্রয় লইবে, নতুবা যুদ্ধারম্ভের ওল্প পরে পরাজিত হইয়া পলাইবার ভাণ করিয়া যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করিবে । আর্ণেরাজ গুজরাট