পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ভারতবর্ষীয় দার্শনিক সঙ্ঘের সভাপতির অভিভাষণ ●8ዓ जका धे खिब ना नाeब्रl, इंशद्र भङ जाङcझब विषब তাহাদের আর কিছু নাই। ইহাদের মধ্যে কেহ গাড়োস্থান হাটে গাড়ী হাকাইয়া যায়, কেহ বা জেলে মাছ ধরিয়া বেড়ায় । তাহারা যে সকল গান গায় তাহার গভীর অর্থ সম্বন্ধে প্রশ্ন করিলে তাহারা খুব সম্ভব উপযুক্ত জবাব দিতে পাপ্লিবে না, কিন্তু তাহাদের মনের মধ্যে প্রবেশ করিয়া দেখিলে বুঝিতে পারা যায় যে, একটি বিষয়ে সেখানে কোন সন্দেহ নাই । সেটি এই যে, সমস্ত দুঃখের কারণ জীবনের আসবাব পত্রের অভাব নয়,ঞ্জীবনের সভ্য তাৎপর্ঘ্য সম্বন্ধে চেতনার অভাব । এষ্ট জন্যই দেখি যে “আমি ও আমার’ এই ভাবটার উপর অমৃথা জোর দিলেই আমাদের দেশের লোক তাহার নিন্দ করিয়া থাকে, কারণ "আমি ও আমার’ উগ্ৰবোধটা সত্যের পরিপ্রেক্ষণকে অলীক করিয়া তোলে। তাহারা যে দেখিয়াছে, সংসারের সমস্ত সম্বল পিছনে ফেলিয়া দিয়া সত্যের অভিসারে বাঃিব হইয়াছে কত মানুষ, যাহাঁদের সামাজিক পদবী বা মানসিক বিকাশ সাধারণের উপরে যায় না । এই সকল দুর্গমপথ-যাত্রীদের যে পার্থিব শক্তি সম্পদ বাড়াইবার দিকে লক্ষ্য নাই, তাহারা যে মুক্তির ভিখারী, সেকথা আমাদের দেশের লোক বোঝে। তাইfরা হয়ত এমন মাঙ্গুষকে দেখিয়াছে, ধে তাহাদেরই মত দরিদ্র এবং গ্রামে তাহাজের সঙ্গে এক ব্যবসায়লিপ্ত। সে তাহার দৈনন্দিন কাজ করিয়া সংসারযাত্র। নির্বাহ করিতেছে, তবু তাহার সম্বন্ধে মানুষের ধারণা যে সে একজন মুক্তঞ্জাব —শাশ্বত পুরুষের হৃদয়ে সে আশ্রয় পাইয়াছে । এমন একটি মাহব একবার আমার চোখে পড়িয়াছিল ; সে একটি জেলে, সারাদিন গঙ্গায় মাছ ধরিস্থ ফেরে আর তন্ময় হইয়া গান গাহিয়৷ যায় ; একজন মাঝি তাহাকে ভক্তিভরে দেখাইয়া বলিল, উনি মুক্তপুরুষ । সমাজ মানুষের উপর ষে মামুলী মূল্য নিৰ্দ্ধারণ করিয়া থাকে, এ-লোকটি তাহার উদ্ধে উঠিয়া গিয়াছে ; বাজার দ্বর অনুসারে দোকানে সাজান পুতুলের মত মাহবকে সমাজ যে ভাবে সাজায়, তাঁর কোন কোটায় এ লোকটি পড়ে না। এই জেলেটির মুখ যখন মনে পড়ে, তখন না ভাবিয়া থাকিতে পারি না যে, বন্ধন-মুক্ত আত্মার মহাকাব্য যাহার صحاحت========== به জীবন দিয়া রচনা করিয়া যায়, তাহাদের সংখ্যা হয়ত নিতাস্ত কম নয়—যদিও ইতিহাসে তাহাদের নাম কখনও দেখিব না । এই সব অবিকৃত আত্মা সামান্ত চাৰাভূষা জানে যে, সম্রাট তাহার সাম্রাজ্যের সঙ্গে শৃঙ্খলিত হুইলে বিচিত্ৰবেশী ক্রীতদাস মাত্র ; লক্ষপাত তাহার কৰ্ম্মফলে সোনার খাচায় বন্দী, কিন্তু ঐ সামান্ত জেলেটি জ্যোতিলোকে মুক্ত পাইয়াছে। যখন অন্ধকারে হাত বাড়াইয়া ফিরিতেছি, তখন কোন একটি জিনিষে ঠোক্কর খাষ্টয় সেইটিকে আকৃড়াইয়া ধরি এবং তাহাকে আমাদের একমাত্র আশা ও নির্ভরস্থল মনে করি । কিন্তু যখন আলোকের প্রকাশ হয়, তখন ঐ সমস্ত টুকুর টুকরা বস্তুকে ছাড়িয়া দিই। কারণ দেগৈ যে ভূমীর সঙ্গে আমরা সকলে সম্বন্ধযুক্ত, বস্তুগুলি ত তার অংশমাত্র । গ্রামের সামান্থ্য লোকেরা জানে মুক্তি কি জিনিষ—আহমের বিচ্ছন্নভা ইষ্টতে মুক্তি, যাহা হইতে আমাদের অতু গ্র অধিকার বোধ জাগে সেই বস্তুর ভেদলিপ হুইভে মুক্তি। তাহার জানে ধে কেবল মাত্র বন্ধন অস্বীকার কfরলেই মুক্তি আসে না, সম্পদের হ্রাস হইলে ও মধু-মুক্তি আছে আস্তিক্যবোধের সাধনে, তাহার সিদ্ধি প্রাণে বিশুদ্ধ আনন্মের প্রাবন বহাইয় দেয়, তাই গান উঠে : “ধে জন ডুব ল সখী তার কি আছে বাকি গে।” তাই ভ ইহার গাহিয়া থাকে : "মনরে আমার মনের সাথে মিলবি যদি আiয় দুই মনেতে এক মন হয়ে আঞ্জব সংর চলে যাই।” এক মন আমারে বাহিরে এই বৈচিত্রের রাজ্যে নান৷ বস্তু খঞ্জিয় ফেরে আর এক মন ভিতরে ঐক্যের স্বপ্নমূৰ্ত্তির সন্ধানে ছোটে—এই দুই মনের মধ্যে দ্বন্দুটি যখন মিটিয়া যায়, তখনই আমরা 'আজব’কে, অনিৰ্ব্বচনীয়কে উপলব্ধি করি। কবীরও এই সত্যটির প্রচার করিয়াছেন । পরব্রহ্ম কেবল মাত্র অন্তরের অধ্যাত্ম লোকে বাস করেন ইহা বলিলে বাহিরের এই বস্তুলোকের অপমান করা হয় এবং যখন র্তাংকে কেবল মাত্র বাহিরে নির্দেশ করি তখনও সত্য বলি না। এই সব বাউল গায়কদের মতে সত্য ঐক্যের উপর