পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b" সাহেব একবার বিলাত যাওয়াতে বেলেট নামে একজন স্কুল ইন্সপেক্টার সাহেব তাহার পদে নিযুক্ত হন। আমি ঐ বেলেটু সাহেবকে আমার দুর্দশার কথা বলিয়াছিলাম। আমার ভাগ্যক্রমে ঐ বেলেটু সাহেবই ছয়মাসের জন্য ডিরেক্টর হইয়া যান। তিনি আমার কথা মনে করিয়া স্বয়ং আমাকে ৪-২ হইতে ৭৫২ গ্রেড দেন। পরে যখন টনি সাহেব একবার ডিরেক্টর হইয়া যান, তখন আমাকে ১০০২ হইতে ১৫০২ গ্রেড দেন। টনি সাহেব বিপিনবিহারী গুপ্ত M. A. ও আমাকে বড় ভালবাসিক্রেন, এবং আমরা যাহাতে কিছু টকা পাই তাহার উপায় কবিয়া দিতেন । বিপিন-বাবুকে ১• •২ টাকার একটি মেম-পড়ান কাজ জুটাইয়া দিংছিলেন । লরেটে হাউসের একজন বিবি শিক্ষয়িত্রীকে অঙ্ক কষাক্টতে ইষ্টত । আর আমাকে নক্স নামক এক সাহেব-পড়ান কাজ জুটক্টিয়া দিয়াছিলেন ; বেতন ৪৫২ টাকা। নক্স্ সাহেব এলাহাবাদ চাই ಡ್ತಜೆ চিফ জাষ্টিস ঠক্টয়াছিলেন । আর Rolins in পরে Cfusce নামক একখানি ইংরেজী পুস্তক বাঙ্গাল সু অম্বুবাদ করিতে আমাকে দেন । আমি ঐ কার্য্যে প্রায় ২৫০২ টাকা পাইয়াছিলাম । একবার প্রেসিডেন্সী কলেঞ্জের rst Year ছ;ত্রের টনি সাহেবের নিকট এক দরখাস্ত করিয়াছিল যে— "মহাশয় । আমরা মুসলমান ছাত্রদিগের নিকট বসিতে পারিব না ; কারণ, তাঙ্গাদের মুখ হইতে বড় পেজের গন্ধ বাঙ্গির হয়, কাহা আমাদের অসহ্য হয় ।" এই দর ধান্ত পাইখা গ্রিন্সিপ্যাল টনি সাহেব আমাকে ডাকিয়া পাঠাইলেন এবং বলিলেন, “দেখ হরিশ ! তোমার ছাত্রেরা কি দরখাস্ত করিয়াছে।” তাহা পাঠ করিয়া আমি বলিলাম,--“মহাশয় ষে-ব্যবস্থা করিবেন, আমি তাঙ্গ পালন করিব।” স্তাহ শুনিয়! সাহেব বলিলেন—"হরিশ ! আমি কোন বন্দোবস্ত করিব না, যাহা করিতে হয় তুমি কর।” আমি "ঘে আঞ্জে” বলিয়া পরদিন আমার ঘরের বেহারাকে একখানি বড় বেঞ্চ আমার বাম দিকে দিতে বলিলাম, এবং মুসলমান ছাত্রদিগকে বলিলাম, “তোমরা প্রত্য এই বেঞ্চে প্রবাসী—কার্ভিক, ১৩৩২ [ २८* छां★, २ब्र थ७ বসিও, আর কোন বেঞ্চে বসিও না।" এৰং হিন্দু ছাত্রদিগকে সম্বোধন করিয়া বলিলাম—“বাপুসকল! তোমর সকলেই আমার ছাত্র ; কি হিন্দু, কি মুসলমান, সকলকেই আমি সমান চক্ষে দেখি ; কোন ইভরবিশেষ করি না।” এই বলিয়া ভবভূতির উত্তরচরিত হইতে বিতরতি গুরুঃ প্রাজ্ঞে ইত্যাদি একটি শ্লোক উদ্ধত করিয়া সকল ছাত্রকে কহিলাম,—“বাপুসকল ! তোমাদের পরস্পর জাতিভেদ থাকিতে পারে। কিন্তু আমার নিকট কোন জাতিভেদ নাই। আমার নিকট পড়ার ভালমন্দই জাতি, অর্থাৎ যে ভাল পড়ে, সেই আমার নিকট ভাল জাতি আর যে আমার লেকচারে মনোযোগ দেয় না, সে আমার নিকট মন্দ জাতি। জগতে জাতিভেদে আহার ও ব্যবহারের ভেদ দেখিতে পাওয়া যায় । কিন্তু তাই বলিয়া কাহাকেও ঘৃণা করা অপরের উচিত নহে। দেখ, আমার পিতার একটি ছাপাখান আছে । আমি তথায় কাৰ্য্য করি । ছাপাখানায় হিন্দু ও মুসলমান দুষ্ট জাতিই আছে। আমি তাহদের সহিত সমান ব্যবঙ্গয় করি।” আমার এইরূপ উপদেশ শুনিয়া আমার ছত্রের নীরুল হুইয়া রহিল ৷ হইতে পারে, এইরূপ বন্দোবস্তে হিন্দু ছাত্রেরা আমার উপর বিরক্ত হুইল ; কিন্তু মুসলমান ছাত্রের অভ্যস্থ সন্তুষ্ট হুইল ; জগতের সকলকে সন্তুষ্ট করিতে পারা যায় না । একজনকে সন্তুষ্ট করিতে গেলে অপরজন বিরক্ত হয় । এরূপ স্থলে শিক্ষক সমদৰ্শী হইবেন ; কখনো ভিন্ন-ভাবাপন্ন গুইবেন না । ইহাই আমার মত । আমার ছাত্রের এক-একদিন এক-একটি কুট প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিত । একদিন এক ছাত্র কহুিয়াছিল— মহাশয়, কৰ্ম্মফল যদি প্রবল হইল, তবে ঈশ্বরকে মানিবার দরকার কি ? আপনি বলিয়া থাকেন “নমস্তৎকৰ্ম্মভ্যো বিধিরপি ন যেভ্য: প্রভবতি ।” অর্থাৎ কৰ্ম্মফলের নিকট বিধাতাও প্রবল হষ্টতে পারেন না। এই প্রশ্ন শুনিয়া আমি কছিলাম “বাপু ! তোমরা জান, হাই কোর্ট একটি আছে, এবং জেলখানাও আছে। কোন অপরাধীকে शठे ८कfहैं ज७ क्ट्णिन-१ रु९णब्र cषब्रांम । शूनिप्लग्न লোকে তাহাকে জেলে লইয়া গেল ; তথায় জেল-দারোগ