পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tS3 প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ ২য় খণ্ড চেতন লুপ্ত হয়ে আসছে। সে চিঠি থেকে চোখ তুলতেই দেখলে তার সামনে বৃদ্ধ হরকাস্থ স্থল দেহ বিস্তার করে" তার আদেশ প্রতীক্ষা করছে। তার সাম্নে পাছে মূৰ্ছি হয়ে পড়ে, এই ভয়ে মনে বল সঞ্চয় করে সে উঠে দাড়াল এবং কেবলমাত্র অভি মৃদ্ধ অক্ষুট স্বরে “আসছি” বলে সে সেই ঘর থেকে বেরিখে একেবারে সোজা স্বানের ঘরে চলে গেল । হরকাস্তের সঙ্গে বেশী কথা বলতেও তার সাহস হলো না পাছে তার উদ্বেগ ক্ৰন্দন চোখ ছাপিয়ে পড়ে অথবা কথা বলতেই তার গল৷ কেঁপে যায়। স্বানের ঘরে গিয়েই সে দরজা বন্ধু করে ঘটী ঘটী জল মাথায় ঢালুতে লাগ ল এবং বিগলিত জলধারার সঙ্গে আশ্রধারা মিলিয়ে দিয়ে সে নিজের কাছ থেকেও নিজের কান্না গোপন করবার চেষ্টা করতে লাগল। সে ভাবছিল অনলের এই আকস্মিক পত্রের কি কারণ হতে পারে ? অনিল কি তাকেও মিথ্য অপবাদে ব্যথিত করেছে ? সেই লজ্জার কি তিনি আমার সংস্রব ত্যাগ করে চলে যেতে উদ্যত হয়েছেন । কিন্তু গৌরী আমার কাছে থাকূলে কী ক্ষতি হভো ? গৌরীকে ছেড়ে আমি কেমন করে থাকুব ? গৌরী আমার কাছে থাকলে তার সম্পর্কে অনিল এখানে এসে উপদ্রব করতে পারে ভেবেই কি তিনি গৌরীকেও নিয়ে যাচ্ছেন ? অনিল যদি গৌরীকে কোনো রকমে দুঃখ দেয় ? উনি তে। পুরুষ মাহুষ, কৰ্ম্মে ব্যঙ্গ থাকবেন, আমার গৌরীকে কে দেখবে ? উনি যে হঠাৎ কাজ ছেড়ে দিচ্ছেন ওঁর চলবে কিসে? উনি তো সন্ধ্যাপী মানুষ, কিশ্ব গৌরী তো কষ্ট সহ করতে পারবে না। হা ভগবান্‌! জন্মগত সম্পর্ক না থাকূলে কি আর কোনো সম্পর্ক গ্রাহ হয় না ? গৌরী, গেীরা, মা আমার! আমি তো পাষাণা, তোকে ছেড়ে থাকৃতে পারবো, কিন্তু তুই আমাকে ছেড়ে কেমন কবে থাকৃলি ? ধনিষ্ঠ৷ কেঁদে কেঁদে ক্লান্ত হয়ে ও ক্রমাগত মাথায় জল ঢালার ফলে শীতে যখন কাপতে লাগল তখন সে স্বান সমাপ্ত করে” কাপড় ছেড়ে ঘর থেকে বেরুলো । সে যখন আবার আপিস-ঘরে ফিরে এল, তার ঐ দেখে হরক্ষাস্থ স্তম্ভিত হয়ে গেল—সদ্যস্থানে তাকে খুব তাজ স্বন্দর দেখাচ্ছিল, আবার তার চোখ মুখ লাল থমথমে হয়ে থাকাতে তাকে পীড়িত বলেও আশঙ্ক। হচ্ছিল। ধনিষ্ঠ চোরে ব:সই ফাউন্টেন্‌ পেন খুলে অনলের আবেদন-পত্রে কোণে অকম্পিত হস্তে স্পষ্ট স্পষ্ট কবে" লিখলে—ছুটি মঞ্জুর । কৰ্ম্মভার সহকারী-ম্যানেজার ঐযুক্ত বৈকুণ্ঠনাথ কয় মহাশয়কে বুঝাইয়া দিবেন। গৌরীকে ঠিক পাচটার সময় আপনার ধাপায় পাঠাইয়া দিব। শ্ৰী ধনিষ্ঠ মিত্র মুস্তফা : ১৮ই মাঘ । অনলের চিঠিখান একটা খামের মধ্যে ভরে খাম বন্ধ করে’ উপরে শিরোনাম লিখলে—শ্ৰীযুক্ত অমল ঘোষাল, ম্যানেজার-মহাশয়। সেই খামখাম হরকান্তের হাতে দিয়ে ধনিষ্ঠ অকম্পিতঙ্কণ্ঠে বললে—বৈকুণ্ঠ-বাবুকে বলবেন তিনি যেন চারটের সময় একবার আমার সঙ্গে দেখা করে যান । “যে আঞ্জে" বলে হরকান্ত প্রস্থান করলে। 疊 制 榭 ধনিষ্ঠ ঘর থেকে বেরিয়ে যখন এল তখন সেখান निं८६ यांॉछ्ज भा१वा । भाषयौ १निर्छांद्र भूथप्र निcक তাকিয়েই বলে’ উঠল—ম, তোমার অস্থখ করেছেন নাকি ? ধনিষ্ঠ। সেকথা গ্রাহ না করে’ই মাধবীকে জিজ্ঞাসা করলে, গৌরী কোথায় । তার খাওয়া হয়েছে ? মাধবী বললে—মেম-দিদিমণি পুতুলের ঘরে খেলা কবৃছে দেখে এলাম। এথনো পাওয়া হয়নি। ধনিষ্ঠা আর কিছু না বলে' গেীরীর সদ্ধানে প্রস্থান কবুলে । সে গৌরীর কাছে গিয়ে হাস্বার চেষ্টা করে বললে —ম মণি, কি হচ্ছে ? কথা বলতে তার স্বর যে ফেপে ওঠে, চোখের মধ্যে আশ্র যে ধারণ করে' রাখা যায় না; আবাধ্য আশ্রকে গোপন রাখা যে দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু গৌরীর সাম্নে কান্না কিছুতেই নয়, ছেলেমান্বষ ভয় পাবে, কষ্ট পাবে ; লোকের সাম্নেই কাদা চলবে না—এ আমার একুলার নিতান্ত গোপনীয় দুঃখ ।