পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] আমি ও তুমি bᏉ8☾ হইলে কোনো লেখাই ছাপিতেন না ; বারবার কাটিয়াফুটিয়া ভদ্রগোছের করিয়া নিজের মনোমত হইলে তবে ছাপাইতেন। তবু লোকে তাহার লেখা পড়িত না ; বাজে রঙ্গি’ কবিদের লইয়া ছড়াছড়ি করিত ! এই নিদারুণ হতারে মদন-বাৰু বিশেষ আঘাত পাইয়াছিলেন এবং সেই হইতেই উাছার লিখিত কবিতাকে ছাপাইয় তাহার মৌখিক কবিতা মাথা তুলিয় উঠে ও তাহা রীতিমত একটা ব্যারামে দাড়াইয়া যায়। মনস্তত্ববিদেরা সম্ভবতঃ ইহাকে Repression (কামনাদমন) এর পধ্যায়ভুক্ত করিবেন। কিন্তু আমরা জানি বলিয়াই মদন-বায়ুকে বিশেষ দোষ দিতে পারি না। মদন বাবু তাহার প্রাপ্য সম্মান পান নাই বলিয়াই র্তাহার সামান্ত কয়েকজন পরিচিত বন্ধুবান্ধবের কাছে সেই সম্মান একটু অধিক পরিমাণে দাবী করেন। হয় ত একই কবিতা পাচটি বিশেষ বিশেষ অবস্থায় পাচ বার শুনিতে হইবে,শুনিয়াছি বলিলে নিষ্কৃতি নাই; কবি আমনি ক্ষুণ্ণ হইলেন এবং অরসিকেয়ূ---...ইত্যাদি বলিয়া গুম হইয়া বসিয়া রছিলেন। তাহার পর সেকাঁ সাধ্য-সাধন!! কবির স্ত্রীবেচারীকে হয়ত প্রত্যেকটি কবিতা ২৫ বার টীকাটপ পনী সমেত শুনিতে হইয়াছে। আমরা মদনবাবুর দুঃখের কারণ জানিতাম বলিয়াই তাহাকে অজস্র বাহবা দিয়া ফুলাইয়া য়াধিতাম। তিনি আমাদিগকে তাহার শিষ্যসম্প্রদায় কল্পনা করিয়া মুখে থাকিতেন। কিন্তু এত করিয়াও রক্ষা করিতে পারিলাম না। অলক্ষ্য দেবতা যে আমাদের অলক্ষ্যে যেচারী কবিকে এতখানি নাকাল করিবে তাহা কি বুঝিয়াছিলাম?—অথবা "একচক্ষু হরিণের মত যেদিকে বিপদের আশঙ্কা নাই ভাবিয়া নিশ্চিন্ত ছিলাম অতর্কিতে সে দিকৃ হইতেই चांकभ१ छ्हेंल । আমরা ভাৰিতাম, মাসিক সাপ্তাহিকে প্রকাশিত মদনবাবুর কবিতা কেছ পড়ে না ; আমরাই স্থানে অস্থানে कांरब्रव्र cनाकांप्न वा इफैशोरङ वैॉफ़ाहेब चनछषनां श्रेष्ठ শুনিয়া স্বদে আসলে মদন-বাবুকে তাহার প্রাপ্য সন্মান निब्रा षांकि । क्रूि फूल कब्रिब्रांझिणांभ । चखड: uक्छन


مجمع -------------- = --سا- --------

মহিলা যে উাহার নিয়মিত পাঠিক ছিল তাছা জানিতে পারিয়াছি। - বিপদ আরম্ভ হয় ‘পসারিণী" পত্রিকায় প্রকাশিত মদনবাবুর ‘আমি’ কবিতাটি হইতে। মদন-বাৰু স্থপুরুষ নছেন। ক্ষাতোদর, কৃষ্ণকায়মূৰ্ত্তি , বিকশিত দন্তপংক্তি বিদ্যুৎচমকের স্বষ্টি করিত। তিনি হেলিয়া দুলিয়া চলিতেন, সশৰে বলিতেন, যেখানে-সেখানে নিষ্ঠীবন ত্যাগ করিতেন এবং কথার তোড়ে খুখু ছিটাইয়া প্রেমের পরিবর্ভে বিরুদ্ধ ভাবই মনে জাগাইতেন । কিন্তু ছাপার অক্ষরে ত আর মাতুবটিকে দেখা যায় না। কালিদাস যদি স্বপুরুষ না হইয়। আজকালকার মত মাসিক পত্রিকায় মাসের পর মাস তাহার মেঘদূত বা কুমারসম্ভব ধারাবাহিক ভাবে ছাপাইতে আরম্ভ করিতেন তবে উtহার পাঠিকা প্রেমিকাদের মধ্যে বে একটা রীতিমত কুরুক্ষেত্রের অবতারণা হইত,ইহা আমরা হলফ করিয়া বলিতে পারি। এক্ষেত্রেও তাহাই হইল। "আমি’ কবিতাটি পড়িয়া শ্ৰীমতী পঙ্কজিনী হালদার আপনাবিস্তৃত হুইয়া মনে মনে কবিকে প্রীতির চক্ষে দেখিতে স্বরু করিলেন। সেই কবিতার “আমি” ব্ৰক্ষণ গৌরবে দীপ্যমান পুরুব। উচ্চার ললাট প্রশস্ত, বক্ষ স্থবিশাল, নালিকা খড়গধার, জিহায় মধু— অস্তরে উদ্বেল অজানিত প্রেয়সীর ‘লাগিয়া" প্রণয়োল্লাস । পঙ্কজিনী কবিতে কাব্যবর্ণিত গুণগুলি কল্পনা করিয়া মজিলেন । কবিতাটি পড়িলে পঙ্কজিনীকে বিশেব দোষ দেওয়া যায় না। সেই "আমি"কে আমাদেরই হিংসা হয়। “আমি’র থানিকটা এই— 米 'o 率 李 আমি ব্রাহ্মণ, ললাটে আমার দাউ দাউ হোমানল— নয়নে আমার যজ্ঞ-অগ্নি হবি-শিখ ছাতিমান ; নাসিকায় মোর খড়েগব ধার—মুখ-জ্যোতি জলজল, তপের বহ্নি আমি, তেজে জলি’ দীপ্তিতে অবসান । জামি গায়ত্রী, মধু-জিহায় সবিতার গাহি জয়— আমিই সবিতা"ভূব’ আমি."ম্ব" মোর শিখাটি ঘিরে ; ওঙ্কার আমি, টঙ্কারে মোর ব্যোম ব্যোম ধ্বনি হয় নয়নাগ্নিতে মদনভস্ম-রতি সে কাদিয়া ফিরে ।