পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৬ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড । এইরকমে পরিষ্কৃত কাচটি পরে একটি পরিষ্কার পাত্রে চোয়ান জলে ডুবাইয়া রাখিতে হয়। রৌপ্যপতনের জন্ত নিম্নলিখিত উপকরণগুলি প্রস্তুত করিতে হয়। রৌপ্যলবণ-দ্রব। প্রতি আউন্স জলে ( distilled water ) দশ-গ্রেনৃ-পরিমাণ সিলভ নাইট্রেট দ্রবীভূত কর । এইরূপে উপযুক্ত-পরিমাণ দ্রব প্রস্তুত হইলে তাহাতে অতি ধীরে-ধীরে ( ফোট-ফোটা ঢালিয়া ) foss witnifol-aw (liquid ammonia, strong) প্রয়োগ কর। প্রত্যেক ফোটার সঙ্গে-সঙ্গে সমস্ত দ্রবরাশি ভালোভাবে নাড়িয়া মিশানো উচিত। কিছু-পরিমাণ আমোনিয়া প্রয়োগের পরে দ্রবরাশি অল্প ঘোলা হইবে, কিন্তু অল্পক্ষণ পরেই সে ঘোলাভাব দূর হইয়া যাইবে । ইহার পর আর কয়েক ফোট। আমোনিয়া ঢালিলেই সমস্ত জবরাশি স্থায়ীভাবে ঈষৎ ঘোলা ভাব ধারণ করিবে । এখন এইসমস্ত মিশ্রিত ভ্রবরাশিকে ফিন্টার কাগজের সাহায্যে ছাকিয়া লণ্ড । এই উপকরণ বহুকালস্থায়ী ।

  • INRINRIF FR (reducing solution) i Kzi সাধারণত পরিশ্রুত বিশুদ্ধ জলে (distilled water) GT-sol "R" Rochelle salt-sodium potassium tartarale প্রবীভূত করিয়া প্রস্তুত করা হয়। প্রতি আউন্স জলে ২৫ গ্রেন বিশুদ্ধ রোশেল লবণের গুড়া দেওয়া

প্রয়োজন । - এই উপকরণটি দুই-একদিন মাত্র ঠিক থাকে। উপরোক্ত উপকরণ-দুইটি প্রস্তুত হইলে পরে আয়নার কাচটি রৌপ্যপাতনের টেবিলের উপরে দৃঢ়ভাবে আঁটা হয়। এই টেবিলের উপরিভাগ খুব পরিষ্কার, সমতল এবং ইচ্ছামত যে-কোন দিকে কাৎ করা যায়, এবং বাম্পের সাহায্যে গরম করা যায়। টেবিলে কাচটি অঁাটিবার পর, কাচের চারিপাশে একটি মোট মোম-কাগজ বা মোম-জামার ফিতা লাগাইয়া দেওয়া হয় । এই ফিতাটি কাচের পিঠ হইতে অল্প বাহিরু হইয়া থাকায় কাচের টুকুরাটি একটি বাবুকোশ বা চারিকোণযুক্ত থালায় পরিণত হয়। এই কাচের “খালায় প্রতি বর্গফুট মাপে ১৫০ ঘন সেণ্টিমিটার (200 ce) রৌপ্য-লবণ দ্রব, • • ঘী, লেঃ (50 cc) রোশেল দ্রব এবং ২৫• • ঘঃ সেঃ (2500, ge) টোয়ানো জল (distilled water), এই হিসাবে মিশাইয়া ঢালিয়া দেওয়া হয়। প্রায় ত্রিশ মিনিট পরে টেবিল কাং করিয়া উপকরণগুলি ফেলিয়া দিয়া আর-একবার (উপরোক্ত-প্রকারে প্রস্তুত ) নূতন উপকরণে পূর্ণ করা হয়। আর ত্রিশ মিনিট পর ইহাও ফেলিয়া দিয়া কাচের পিঠ খুব ভালো করিয়া জলে ধোওয়া হয় । stata o oxidofola wrot (distilled water) of করিয়া কয়েক ঘণ্টা রাখা হয় । সৰ্ব্বশেষে জল ফেলিয়া দিবার পর মোম-কাগজের ফিত, খুলিয়া কাচটি শুখানে श्नः । পরদিন রৌপ্যপাতিত পিঠ (silvereu surface) হ্যাময় চামড় দ্বারা ঘষিয়া বেশ মন্থণ করা হয়। ঘষিবার শেষ সময়ে খুব অল্প-পরিমাণ অত্যন্ত মিহি রুজ গুড়। (শুস্ক) আয়নার পিঠে ছিটানো হয় । ইহা দ্বারা পালিশ করিবার পর রৌপ্যপাতিত অংশ খুব কড়া বাৰ্ণিশ দ্বারা বাৰ্ণিশ করা হয় । এখন ফ্রেমে তাটিলেই সব কাজ শেষ । ফ্রেম অংশের জন্মবৃত্তাস্তে ও কাচ অংশের জন্মবৃত্তাস্তে অনেক প্রভেদ । কাচের জন্মলাভ হয় কারখানার ধুম ধূলি উত্তাপ ও বিষম কোলাহলের তাণ্ডবনৃত্যের মধ্যে। ফ্ৰেম-অংশ যে সেগুন বা সাক্‌ বৃক্ষের শরীর হইতে প্রস্তুত তাহার জন্ম নিবিড় নিস্তন্ধ উত্তর ব্ৰহ্মদেশের প্রাচীন অরণ্যে। কি আশ্চৰ্য্য জীবন-কাহিনী এই সেগুন বৃক্ষের ! ইংরেজিতে চলিত কথায় বলে, বিড়ালের নয়টা প্ৰাণ । অর্থাৎ বিড়াল নয়বার মরিবার পর তাহার আয়ু শেষ হয়। কিন্তু এই সেগুন বৃক্ষের সত্যসত্যই নবাধিক প্রাণ । সেগুনের চারা বীজ হইতে জন্মলাভের পর বৎসরকাল মাত্র জীবিত থাকে। তাহার পর প্রতিবেশী ও প্রতিদ্বন্দী বৃক্ষগুন্মের আক্রমণে ইহার জীবন শেষ হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে শিকড়টি বাচিয়া থাকে ও ক্রমেই মাটির নীচে বুদ্ধি লাভ করে। পরের বৎসর এই শিকড় হইতে