পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫শ ভাগ ১ম খণ্ড | { ৫ম সংখ্যা শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অপেক্ষাকৃত আধুনিক কালের হিন্দী কাব্যসাহিত্য পড়ঙ্গে গিয়ে দেখা গেল হিন্দুস্থানী খেয়ালটপ্পার মতই তার ভান তার মানকে কেবলি ছাড়িয়ে চলেছে । অলঙ্কারই হয়েছে লক্ষ্য, মূর্তিটি হয়েছে উপলক্ষ্য। কবি সত্যকে যখন উপলব্ধি করেন তখন বুঝতে পারেন সত্যের প্রকাশ সহজেই স্বন্দর। এইজন্যে তখন তিনি সত্যের রূপটিকে নিয়েই পড়েন তার অলঙ্কারের আড়ম্বরে মন দেন না। বৈষ্ণব-পদে পড়েছি, রাধা যখন কৃষ্ণের মিলন চান, তখন গলার হারগাছির আড়ালটুকুও তার সয় না। তার মানে, কৃষ্ণই তার কাছে একান্ত সত্য ; সেই সত্যকে পেতে গেলে অলঙ্কার শুধু যে বাহুল্য, তা নয়, डी बांध1 ॥ ংসারে যেমন, সাহিত্যেও তেমনি, বিষয়াসক্ত লোক আছে। বিষয়ী লোকের লক্ষণই এই যে, তারা সত্যকে পায় না ব'লেই বন্ধকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করে । সাহিত্যেও ब्रन छिनिशॉब्र थङि मुनि षांडांबिक नब्रन नl *** उा श्रण३ ८कोचप्लग्न अन्जियांक्ष निप्। अब जब बाध्दै চলে। রসটা সত্যের আপন অস্তরের প্রকাশ, জার কৌশলটা ৰাহিরের উপসর্গ, তাই নিয়ে বাহিরের বাহনট ভিতরের সত্যকে ছাপিয়ে আপন গুমর করে। এ’তে রসিক লোকেরা পীড়িত হয়, বিষয়ী লোকেরা বাহবা দিতে থাকে । আমার অপরিচিত হিন্দীসাহিত্যের মহলে কাব্যের বিশুদ্ধ রসরূপটি যখন খুঁজছিলুম, এমন সময় একদিন ক্ষিতিমোহন সেন মশায়ের মুখ থেকে বঘেলখণ্ডের কবি জ্ঞানদাসের দুইএকটি হিন্দী পদ আমার কানে এল। আমি বলে উঠলুম, এই ত পাওয়া গেল। খাটি জিনিষ, একেবারে চরম জিনিষ, এর উপরে আর তান চলে না । অলঙ্কাবের স্বভাবই এই যে, কালে-কালে তার বদল হয়। একসময়ে ৰাজারে একরকম ফ্যাশানের চলতি, আর-একসময়ে আর-একরকমের। সাবেক কালে অনুপ্রাসের, বক্রোক্তির খুবই আদর ছিল। এখন তার অল্প আভাস চলে, কিন্তু বেশি সয় না । কোনো একটি কাব্যকে সাবেক-কালের ব’লে চিনতে পারি তার