৬ষ্ঠ, ৭ম সংখ্যা । ] প্রবাসী । ❖ፃ বাঙ্গালীর প্রণীত Rre বাঙ্গালী অভিধান এ পর্য্যস্ত একখানিও দেখা গেল না । বাঙ্গালী অভিধান প্রণয়ন করিবার উপযুক্ত পণ্ডিতমণ্ডলীর এক্ষণে অভাব নাই ; বর্তমানে ভাষারও দৈন্ত অনেকটা ঘুচিয়া গিয়াছে । এই পরিভাষার যুগে যে অভাবটুকু ছিল, তাহাও দূর হইতে চলিল । যে সকল শব্দ বহুকাল হইতে চলিয়া আদিতেছে এবং সাময়িকপত্রে ও পুস্তকের পৃষ্ঠায় ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত আছে, তৎসমুদয় এবং তদ্ব্যতীত, রুচিসঙ্গত জীবন্তভাববোধক শত শত শব্দ, ভাষায় যাহার ব্যবহার অাছে, কিন্তু গ্রন্থগত হয় নাই, সে সমুদয় অভিধানে স্থান পাইল না অথচ কোন কোন অভিধানের সংঙ্গ রণের পর সংস্করণ বাহির হইয় গেল ! আমাদের লিখিত এবং কথিত ভাষায় মে আকাশ-পাতাল প্রভেদ দাড়াইয়াছে, ইহা ও ত{হার অন্যতম কারণ। সকল জাতিরই লিখিত এবং কথিত ভাষায় প্রভেদ আছে এবং সকল জাতির অভিধানই পাচ ফলে সাজী, কিন্তু বাঙ্গলার দ্যায় এমন স্মৃষ্টিছাড়া বৈষম্য অন্যত্র বিরল। রীতি, শব্দ এবং ভাববৈচিত্র্যই ভাষার ঐশ্বয । অধিক বাধাবাধিতে ভাস পঙ্গু হইয়া পড়ে । খাটি বাঙ্গালা শব্দ বৰ্জ্জন করিয়া কে বল সংস্কৃত শব্দে ভাষার কলেবর পুষ্ট করিলে তাহার সৌন্দর্য্য ও ঐশ্বৰ্য্য বুদ্ধি পাইবে না। প্রকৃতিবাদ, শব্দদিধীতি, শব্দtশ্বধি, প্রকৃতি বিবেক প্রভৃতি অভিধান বাঙ্গালীয় প্রচলিত আছে ; কিন্তু ইহারা সংস্কৃত-বাঙ্গালী অভিধানের নামান্তর মাত্র । বঙ্গাক্ষরে মুদিত বাচস্পত্য বা শব্দকল্প ক্রম থাকিলে ঐ গুলির তত প্রয়োজন হয় না । বাঙ্গালা অভিধানে ংস্কৃত শব্দ থাকিবে না, এ কথা আমরা বলি না । বরং অধিকন্তু, অত্র, সম্যক্, বশতঃ, ফলতঃ, স্বতঃ, পরত:, ভূয়ঃ, ইতস্ততঃ, স্বয়ং, সুতরাং, বহুধ, শতধা, বহুল, আদেী, ইতি, ইত্যাদি, এবং প্রাচীন বাঙ্গাল গ্রন্থে ব্যবহৃত অথ, অথকিং, অলমিতি প্রভৃতি সংস্কৃত শব্দ বাঙ্গালা অভিধানে স্থান না পাহলে অভিধান অসম্পূণ থাকিয়া যাইৰে । কারণ এ শব্দ গুলির ব্যবহার আছে । ইংরাজীতে খাটি বাঙ্গালার মত খাটি স্তাক্সন ব্যতীত অনেক লাটন, ফরাসী, জর্শন আদি শস্ব পাওয়া যায়, কিন্তু ठांशाख ८मांव श्ब्र ना । ऐशद्वांछौ नांश्रि७ ठाशtग द्र वक्ष्ण প্রচলন আছে । বাঙ্গালী অভিধান সম্বন্ধে একথা খাটে না। "অবহিখ,” “অঙ্ক্যি,” “অৰ্জুক,” “অতিৰেল" "অবিতণ,” “এতাবান,” “জরী,” “এfধত,* *মিখ,” “নন্দগু,” “কিমু,” “কিমুত,” “কথমপি,” “কদা,” *এতfহ,” “দোগ্ধ,” “দেহভৃৎ,” “বিধ্বক,” “সমস্যাং,” “রংহ” প্রভৃতি অসংখ্য শব্দ বঙ্গভাষায় কস্মিন কালেও ব্যবঙ্গত হয় না, অথচ অভিধানে স্থান পাইয়াছে ; এবং তাহাদের প্রয়োগস্থল স্বরূপ সংস্কৃত শ্লোক উদ্ধৃত হইয়াছে। মধ্যে মধ্যে বাঙ্গালা হইতে পংক্তিবিশেষ উদ্ধৃত করিয়া বাঙ্গাল শব্দের প্রয়োগ পদশন , বিশ্বকোষে দেখা গেল । কিন্তু বিশ্বকোষ প্রস্তাবিত অভিধানশ্রেণীর অন্তভুক্ত নষ্ঠে ! কোন প্রকারে অভিধানের কলেবর বুদ্ধি ন করিয়া মনাব!) ক অপ্রচলিত সংস্কৃত শব্দের পরিবর্তে নিত্যব্যবহৃত শব্দ সকল অভিধানতু ক্ৰ করিলে বাঙ্গাল শব্দশাস্ত্র পৃণ তা প্রাপ্ত হইবে, সাধারণের ও কাজে লাগিবে । হালি, হায়া, হক, রগ, রদ, মগজ, কয়েদ, কবুল, উগুল, মাগুল, হলপ, সরফরাজী, আমানত প্রভৃতিকে ‘যাবনিক’ শব্দ বলিয়া অগ্রাহ না করিয়। তাছাদের প্রয়োগ দেখাইবার জন্য আদালতের কাগজ পত্র, প্রাচীন গ্রন্থ সমূহ এবং আইন কামুনের অনুবাদ পুস্তক হইতে উদ্ধৃত উদাহরণ অভিধান সকলে সন্নিধিষ্ট করা আবগুক । উজন, উঠন, উৰ্টুন, উড়কুড়, ঘর, ঘুম, চক, ভূই, ভুল, মই, মেটি, মোম, যেখান, যো, হেলা, হঠাৎ, লতান, কটকিন প্র ভূতি প্রকৃতিবাদে আছে । তবে দেশজ বলিয়া এক অধিটি প্রতিশব্দ এবং কচিং কোনটির উৎপত্ত্বি নিণয় করিয়াই অভিধানকার ক্ষান্ত হইয়াছেন । ঐ গুলির উৎপত্তি নিৰ্ণয়, এবং উহার কোন কোন অর্থে প্রযুক্ত হয়, তাহার দৃষ্টান্ত প্রদান করা আবখক। সেই রূপ — টন কনড়, ঠাউরে পড়া, খুকড়িঝাড়, ঠ্যপায়পড়, ঠোকরঝড়। ८क्का” छ, श्ानिलकद्र1. छक्रामा ब्र1, 5ान्क ल७म्न!, दर्भमान, ?त्रবাছ, হাই বোঝা, থাই বোঝা, লম্ব দেওয়া, পাড়িমার, ওতপাত, চাপুগোনা, গলার গাধ, ধরকর, কল্পাঙ্কর, ললন্ধর, ছে৷ দেওয়া, বিষঝtড়া, নাকে কঁদ, মাপা খাওয়া, চক্ষু বুজা, পটল তোল, পথে বস, পাক ওঠা, এড়েলাগ, র্লেঙ্কে বঙ্গা, গাপ তোলা, ঘাড়ে গেলা, पूबू দেখ, অতি কেউঠ, বঙ্কি পোয়ান, তাক লাগান, কাণ ভাঙ্গাল, ছায়া মাড়ান, পল্পরে পড়া, ডওয়ার্ডরি কর, ডুমুরফুল চওয়া, সরিষা বা ধুতুরা ফুল দেখ ; - • ,
পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩২১
অবয়ব