পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪২ বলিতেছেন,“ভাল; চিরস্থায়িনী, ইহা প্রস্তরের দাগের দ্যায় ; ভাষার লোপ নাই, ইষ্ঠ অব্যয় ।” একখানি সংস্ক ত গ্রন্থের কোথাও এক শ্লোক পড়িয়ছিলাম মনে হইতেছে “যন্নবে ভাজনে লগ্নঃ সংস্কাবোনানাথ ভবেৎ।।" সংস্কৃত শ্লোকের অর্থটাও ঠিক যেন ঐৰূপ। তাঙ্গার পরে আরব ও পারস্তগ্রন্থকারগণ কি বলেন, তাগ একবার অল্প সময়ের জন্ত আলোচনা করিলে মন্দ হয় না । মুসলমান দিগের "হদিশ শরিফ ” ( Book or raditious নামে এ খানি মাননীয় ওস্থ আছে । মুসলমানরা ইঙ্গার কথা কোরানের ন্যায় মান্ত করিয়া থাকেন । দিশে লেগ আছে “একদিন এক য়িহুদী আসিয়া চ জুরং রসুলেল্লার নিক ট মহম্মদের নিকটে) ইঞ্জিল হইতে ( বাইবেল ও হতে ) পত্রুশের ( si i'{er ) সেই রোজ-এ মোবারক ( The blessed day of Pentecost ; Vule New Testament ; Acts of the Apostles. Ch. Il ) of আলোচন করায় হুজ রং ( মহম্মদ ) বলিলেন, ঐ সময়ে তাঙ্গাদের মুখ কষ্টতে নান ভাষা নিঃস্ততা ইষ্টয়া থাকিতে পারে, কিন্তু ভাষার কৰ্ত্ত থোদ ( ঈশ্বর ), ভাষার কৰ্ত্তা বনীআদম । মনুষা ) নহে ” এই টুকু ভিন্ন তাচাদের শাস্ত্র মধ্যে আর কিছুই পাই নাই। বোস তা নামক প্রসিদ্ধ কাব্য গ্রন্থের প্রণেতা শেখ সাদি ঐ কাব্যের প্রথমেই লিথিয়াছেন— বনাম জাহাদার জী আফ রী। হকামে সখুন বরঞ্জব আফ বা " অর্থাং ধন্য সেই পরমেশ্বর যিনি জিহবার উপরে মনুষ্যের ভাষা সৃষ্টি করিয়াছেন । পলাতুশ ("ht) এবং মৃকরাং (Sonates) প্রভৃতির জন্মগ্রহণের পূৰ্ব্বে গ্রীশ দেশের আথেন্স নগরে এক প্র কাণ্ড মন্দির ছিল । ঐ মন্দিরে বাঙ্গালীর সরস্বতীবি গ্রহের ন্যায় এক মৃত্তি থাকিত। ঐ মন্দির বিস্তামন্দির নামে বিখ্যাত ছিল। মন্দিরের গাত্রে চিত্রসমূহের নীচে গ্ৰীক ভাষায় অনেক কথা খোদা থাকিত । এক স্থানে লেখা ছিল "এই দেবী ভাবার সৃষ্টিকত্ৰী” । ঐ দেবীর মৃত্তি প্রায় সরস্বতীর মুক্তির অনুরূপ ছিল । প্রবাসী ১িম ভাগ । এইরুপ ভাষার উৎপত্তি সম্বন্ধে প্রাচীনদিগের কিরূপ ধারণা ছিল, তাক সংক্ষেপে দেখান গিয়াছে । এরূপ ধারণা সরল বিশ্বাস হইতে প্রসূত হইয়াছিল । এষ্ট সকল ধারণার উপরে নির্ভর করিয়া চলিলে শব্দবিজ্ঞান অথবা ভাষা বিজ্ঞানকে উপেক্ষা করিতে হয়। দুঃখের বিষয় এই, গভীর গবেষণার সহিত ভাষাতত্ত্ব এ পর্য্যন্ত কেহ আলোচনা করেন নাই । এক ভাষার সঙ্গিত অন্ত ভাষার, অথবা এক দেশের ভাষার সহি ত অন্ত দেশের ভাষার কিরূপ সম্বন্ধ ও সমন্বয়, অনেকে তাঙ্ক লইয়াই সময়ক্ষেপ করিয়াছেন,কিন্তু ভাণার উৎপত্তি লইয়। আলোচনা করিতে এবং লেষ্ট আলোচনা হইতে আসল কথা বাচির করিতে কাহাকেও দেখি নাই । পুথিবীতে কিরূপে সৰ্ব্বপ্রথমে ভাষার উৎপত্তি হইল, তাহা জানা আবশ্যক । অনেকে বলেন, এই জ্ঞান লাভের জন্ত প্রত্যাদেশ (!uspiration অথবা “প্রকাশিত বাকো"র ({R.volution) প্রয়োজন । কিন্তু ভাষাবিজ্ঞানের আরও অধিক চচ্চা চইলে, আমরা কি ভাষার উৎপত্তির ইতিবুন্তু দেখিতে পাইব না ? যতদিন শব্দবিজ্ঞান ও ভাষা বিজ্ঞানের এতাদৃশ উন্নতি না হয়, তদিন পর্য্যস্ত আমাদিগকে ভাষার উৎপত্তি সম্বন্ধে প্রাচীনদিগের ধারণ লইয়াক্ট প্রসঙ্গ করিতে হস্তবে । শ্ৰীধৰ্ম্মানন্দ মহাভারতী । “খিচুড়ী” | 滌 ৰঙ্গ সাহিত্যের রঙ্গরস ত্ৰিধারায় প্রবাহিত। প্রথম ধারা নিতান্ত ক্ষণ হইলেও, ঝুমুর ও কবিওয়ালার কৃপায় একেবারে বিলুপ্ত হইতে পারে নাই ; দ্বিতীয় ধারা অস্থাপি গুপ্তকবির শিষ্যানুশিষ্যের যঃে ধীরে ধীরে বহিয়া চলিতেছে ; তুতীয় ধারা বিশেষ বেগবতী :--তাহী রঙ্গালয়ে রসিকসমাজে, সভায়, সংবাদপত্র, গানে ও কথোপকথনে ক্রমশ: ফেনাইয়া উঠিতেছে। “খিচুড়ী” এইরূপ ফেনিল রঙ্গরসাত্মক নুতন কাব্য;--যেমন নাম, সেইরূপ গুণগ্রাম । এই রঙ্গরস কোনও নির্দিষ্ট রস প্রস্রবণ হইতে সমুদ্‌গত ছয় নাই ; ইহা বোধ হয় রঙ্গরসের ত্রিবেণীসঙ্গম । কিন্তু প্রবাহ

  • দ্রবেশোয়ারীলাল গোস্বামি-প্রণীত। মূল্য দ, আন।।