পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬২ যুগম ভারতীয় নাট্যসাঙ্গিতা এইরুপ শ্রেণীবিভক্ত হইয়াছিল, তখন সে স্লাহ। বিপুল কারে বর্তমান ছিল, তাঃ। সহজেই বুঝিতে পারা যায় । মুদ্রাসম্বের অভাবে কাঃ ফ্ৰংকারে ধূলিপৰ্টলের ন্যার সে বিপুল নাটা সাহিত্য মা জানি কোথা উড়িয়া গিয়াছে অষ্ঠাপি বৰ্ত্তমান আছে, তষ্ঠা লইয়াঙ্গ নাট্যসাচি ত্যের ঐতিহাসিক তথ্যনুসন্ধানে পরিতৃপ্ত হন্তে হইবে । সাহিত্যদপণের ন্যায় আধুনিক গ্রন্থেও যে সকল রূপক ও উপরূপক উল্লিখিত চষ্টয়াছে, তাহারও সকল গ্রন্থ বর্তমান নাই । কাল প্রভাব এতই গুরতিক্রমনীয় ! ভারতীয় নাট্যসাষ্ঠিত কত পুরাতন, তাহার কাল নিৰ্ণয় করিবার উপায় নাই । ভরতবিরচিত অতি পুরাতন নাট্যশাস্ত্রেও পূৰ্ব্বপ্রচলিত নাটকাদির নাম ও সঙ্গী • উদ্ধত BBB KDS BBS BBB BBB BBBB BBB নাই,তাঙ্গর জন্তু নিষ্ফল বিলাপ পরিত্যাগ করিয়া, প্রচলিত নাটক গুলির কালনির্ণয়ের চেষ্টা করা কীৰ্ত্তব্য । কালক্রমে বড় বিতর্কের আধার স্তু ইয়া উঠিয়াছে । গের প্রয়োজন হষ্টয়া থাকে । ‘ङई 8 মহাকবি ভবভূতি উত্তররামচরিত নাটকে নাটাচাৰ্যা ভরতমুনিকে বালমীকির সমসাময়িক বলিয়া বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন । ভরতমুনির লিপি প্রণালী রামায়ণের ন্যায় তুলা লক্ষণাক্রান্ত বলিয়াই বোধ হয় । সুতরাং নাটা সাহিত্য সে বহু পুরাতন, তাঙ্গতে সংশয় নাই । ইতিহাসের অভাবে গ্রন্থনিঃি ত প্রচ্ছন্ন প্রমাণ বলে শ্ৰীযুক্ত জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় প্রচলিত নাট্য সঠিত্যের মপো মৃচ্ছকটিককেই সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন বলিয়া নিন্দেশ করিয়াছেন । এষ্ট নিন্দেশ একেবারে অসঙ্গত বলিয়া বোধ হয় না । মৃচ্ছকটিক শূদ্রক নামক কোন এক নরপতির বিরচিত বলিয়, প্রস্তাবনায় উল্লিখিত আছে। কিন্তু এই প্রস্তাবনা শ্লোক কবিবিরচিত বলিয়। গ্রহণ করা যায় মা ; কারণ তাই।তে কবির মৃত্যুকথা ; বণিত হইয়াছে ! ই উত্তরকালে নাট্যাচাৰ্য্যগণ লংযুক্ত করিয়া থাকিবেন । এই বর্ণনায় দেখিতে পাওয়া যায়-- “গজপতি গতি তার, চকোর নয়ন, পূর্ণেন্দু বদন চারু, শরীর শোভন, প্রবাসী ১ম ভাগ । ক্ষত্রিয়ের শ্রেষ্ঠ তিনি, গম্ভীর ঈদয়, পাত কবি শূদ্রক নামেতে পরিচয় । অপিচ ঋগ্বেদ সামবেদ অঙ্কশাস্ত্র, হস্তবিদ্যা কলা আদি চৌষট্টি প্রকার, এসব করিয়া শিক্ষা, শিবের প্রসাদে লভি জ্ঞান-নেত্ৰ বিগত-ৰ্তাধার, পুঞ্জেরে রাজত্ব দিয়; মষ্ঠাসমারোহে করি অশ্বমেধ যজ্ঞ সমাপন, পশিলেন ভুতাশনে শ বর্ষ দশদিন পরমায়ু করিয়! থাপম ।” এই কবিপরিচয় সত্য হইলে,শ দক অতি পুরাকালের নরপতি ছিলেন বলিয়াই সিদ্ধাশু করিতে হয় ; কারণ, অশ্বমেধ যজ্ঞের ন্যায় হুতাশন প্রবেশে, আত্মবিসজ্জনের প্রগাও দ্বিসহস্ৰাধিক বর্ষ বিলুপ্ত হইয়া শিয়াছে। কিন্তু এই শব্দকবিরচিত মুচ্ছ কটিকে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর উল্লেখ দেসিয়া ইহাকে বৌদ্ধাবিভবের পরবর্তী বলিয়াই নিন্দেশ কfরতে শকৰংশ কণি নামা প্ৰসিদ্ধ বৌদ্ধ নরপতি পুষ্টীয় প্রথম শতাব্দীতে কাশ্মীরে রাজ্যশাসন করিয়া “মাণক” মামক মুদ্রণ প্রচলন ৪ “বাসুদেব" নামক উপাধি ধারণ করেন। মৃচ্ছকটিকে “নাণক" শব্দ মুদ্রার্থে ও “বাসুদেব" শব্দ প্রবলপুরুষার্থে ব্যবঙ্গত হইয়াছে দেখিয়া, প্রযুক্ত জ্যোতি রন্দ্রনাথ ঠাকুল মহাশয় মৃচ্ছকটিকের কাল নিদেশে খৃষ্টীয় প্রথম-দ্বিতীয় শতাব্দীর উল্লেখ করিয়াছেন । বৌদ্ধাবিভাবের পর একসহস্ৰ বংসর পর্যান্ত ভারত ভূমি নানা কারণে দেশবিদেশে বিপাত হইয়া উঠিয়াছিল। এই সময়ের মধ্যে একদিকে গ্ৰীক অপরদিকে চৈনিক পরিব্রাজক ভারতবর্ষে অবস্থান করিয়া ভারতবিবরণী লিপিবদ্ধ করিয়! গিয়াছেন। ইছাদের মধ্যে গ্রীক রাজদূত মেগাস্থির্নাস খৃষ্ট ব্দের পূর্ববৰ্ত্তী । তাচার বর্ণনায় ভারতীয় জনসাধারণের যে সাধুচরিত্রের পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায়, মৃচ্ছকটিকে তাহ। দেখিতে পাওয়া যায় না ; তখন খলস্বভাবের প্রাবলা দেখিয়৷ তন্নিবারণোদেশুেই কবি প্রকরণ রচনায় প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। এই সকল কারণে মৃচ্ছকটিক খষ্টোত্তর দুই এক শতাব্দীর মধ্যে রচিত বলিয়া অনুমান করা অসঙ্গত বলা