পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

न्कांडिन्क গ্রামবাসীদের উৎসাহের অন্ত নেই, সারারাত জেগে তারা মণ্ডপ সাজিয়েছে, পুকুরের জলে চার দিকে হাড়ি ভাসিয়ে তার ভিতরে বসিয়েছে নিশান । সেগুলো নেচে নেচে দুলছে বাতাসে, আকাশে বর্ষণক্ষান্ত মেঘ। উৎসব-প্রাঙ্গণে এসে চতুৰ্দ্দোলাসহ শিশু গাছগুলোকে রাগ হ’ল মাটিতে, মেয়েরাও তাদের আনীত মাঙ্গলিক স্ত্রব্যগুলো রাখল চার দিকে সাজিয়ে। আশ্রমবাসী এবং অতিথিগণ এসে সমবেত হয়েছেন । কবি শ্বেত বস্ত্র, শ্বেত উত্তরীয় এবং শ্বেত শ্মশ্রীরাশিতে শোভিত হয়ে বসেছেন তার আসনে—সম্মুখে বিশাল জলাশয়ের বুকে কাচা রোদের মায় । গ্রামের দুটি ছোট মেয়ে এসে কবিকে মাল্যচন্দনে ভূষিত করে অর্ঘ্যদান করল । গান স্বরু হ’ল—

    • অায় আমাদের অঙ্গনে

অতিথি বালকতরদল, মানবের স্নেহ-সঙ্গ নে চলু আমাদের ঘরে চলু।" শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল, তরুশিশু এবং আমাদের ঘরের শিশুগুলি যেন এক হয়ে মিশে গেল । উভয়ের অস্ফুট প্রাণের মধ্যে যে একই প্রকাশের আকাঙ্ক্ষা এবং আনন্দ, বর্ষামঙ্গল enسty এই সহজ সত্যটি অস্তরে এসে প্রবেশ করল অত্যন্ত স্পষ্টভাবে। তার পরে শ্ৰীযুক্ত ক্ষিতিমোহন সেন শাস্ত্রী মহাশয় বৈদিক মন্ত্রদ্ধাবা তরুশিশুগুলিকে অভিনন্দিত করার পর কবি একটি কমণ্ডলুর জলদ্বারা তাদের সাদরে অভিষেক করলেন। “বুক্ষরোপণ” অঙ্গানের সঙ্গে সঙ্গে জলাশয়-প্রতিষ্ঠারও উৎসব আরম্ভ হ'ল। এই উপলক্ষ্যে নির্বাচিত বৈদিক মন্ত্রগুলি অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী এবং সময়োপযোগী হয়েছিল। জলের আনন্দরূপ এবং মাতৃরূপের সহজ বর্ণনার পশ্চাতে কি গভীর অন্তভূতি, কল্পনা ও সৌন্দৰ্য্যবোধ ! সৰ্ব্বশেষে কবি তার মধুর কণ্ঠে নব-উৎসারিত জলকে অভিনন্দিত করে একটি অভিভাষণ দ্বারা উৎসবকে স্বসম্পূর্ণ এবং সমাপ্ত করলেন। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ভুবনডাঙার অধিবাসিবৃন্দ এই জলাশয় প্রতিষ্ঠার একটি সুদুষ্ঠ স্থতিস্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ করেছেন। সেই দিন রাত্রেই গ্রন্থাগারের বারান্দায় নাচগানের আয়োজন হয়েছিল। কবি অনেকগুলি বর্ধার কবিতা আবৃত্তি করে সকলের আনন্দ বৰ্দ্ধন করেন। রাত্রে উৎসবশেষে সকলেই এই অনুভূতিটি মনে নিয়ে ফিরলেন যে, বর্ষ। এসেছে তার পুঞ্জিত মেঘের ছায় বিস্তার করে—শুধু আকাশের কোণে নয়, আমাদের অস্তলোকেও । যাত্রী—শিল্পী ঐপ্রভাত নিয়োগী