পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰিবেণী ঐীজীবনময় রায় পূর্ব পরিচয় { মানুষের মন উপহাসটির বৈশাখ হইতে অশ্বিন পৰ্য্যন্ত গল্পাংশ নিম্নে দেওয়া হইল। ইহার পর হইতে উপন্যাসটির নামকরণ হইল “ত্রিবেণী" । ] ধনী জমিদার শচীন্দ্রনাথ প্রয়াগে ত্রিবেণীর কুম্ভমেলার তার মুন্দরী পত্নী কমলা ও শিশুপুত্রকে হারিয়ে বহু অনুসন্ধানের পর হতাশভগ্নচিত্তে ইউরোপে বেড়াতে যায়। লণ্ডনে পৌঁছেই জ্বরে বেgশ হয়ে পড়ে। লণ্ডনে পালিত পিতৃহীন চাকুরীজীবী পার্শ্ববর্তী অরুণন্ত সেবায় তাকে অস্থ করে এবং বিবাহিত না জেলে তাকে ভালবাসে । অস্থ হয়ে কৃতজ্ঞ শচীন্দ্র তাকে নিজের দুঃখের ইতিহাস বলে এবং কুষ্টিতচিত্তে তার প্রেমগ্রহণে অক্ষমতা জানায় । পরে শচীন্দ্রের BBBB BBBS BBBB BB BBB BBBDB gB DBBS প্রতিষ্ঠান স্থাপিত করে। প্রতিষ্ঠানের নাম কমলাপুরী। এদিকে বৎসরের পর বৎসর নারীপ্রতিষ্ঠানের চক্রে জাবৰ্ত্তিত কাৰ্য্যপরম্পরায় পাৰ্ব্বতীর মন এক এক সময় শ্রাস্ত হয়ে পড়ে, তবু ভার অন্তর্নিহিত প্রেমের মোহে শচীন্দ্রের এই প্রতিষ্ঠান ছেড়ে সে দূরে যেতে পারে না। শচীঞ্জের অস্তরে কমলার স্মৃতি ক্রমে নিম্প্রভ হয়ে আসে, তবু স্ত্রীর প্রতি একনিষ্ঠতায় অভ্যস্ত তার চিত্ত পাৰ্ব্বতীর প্রত্যক্ষ জীবস্তু প্রেমের প্রভাবকে জোর ক’রে অস্বীকার করে অথচ পাৰ্ব্বতীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সুত্রে তার অাকর্ষণ বেড়ে চলে। এই স্বন্দের আন্দোলনে তাঁর চিত্ত দোলায়মান । BBB BB BBB BBBBB BBB BB BB BBBBD এনে তার বাড়ীতে বন্ধ করে এবং অত্যাচারে বশীভুত করবার চেষ্টা করে। একদা প্ৰহারে জর্জরিত কমল পাশের বাড়ীতে নন্দলাল ও তার স্ত্রী মালতীর আশ্রয়ে ছুটে গিয়ে পড়ে এবং বহুদিন কঠিন পীড়ায় অজ্ঞান থেকে তাদের সেবায় বেঁচে ওঠে কিন্তু সমস্ত নামের স্মৃতি তার মন থেকে মুছে যায় । নন্দ শিক্ষিত ব্যবসায়ী স্বভাবভীরু । কমলের রূপে আকৃষ্ট । প্রাণপ্রণ চেষ্টাতেও নিজেকে বশে আনতে না পেরে এখন লোভাতুরচিত্ত। কমল৷ এই দুৰ্দ্ধৈব থেকে মালতী ও নিজেকে বাচাবার জন্তে এক হাসপাতালে নাসের কাজ শিখতে যায় । সেখানে ডাক্তার নিখিলনাথের সহানুভূতি ও সাহায্য লাভ করে। এদিকে স্নেহময়ী সরল মালতী কমলার পুত্ৰ অজয়কে তাঁর নিঃসন্তান মাতৃহদয়ের সব স্নেহটুকু উজাড় করে ভালবেসেছেকমলাও তার নিজের বোনেরই মত। এ বাড়ীতে কমলাকে নাম দেওয়া হয়েছে জ্যোৎস্ত্র । লিখিলনাথ পাঠ্যাবস্থায় বিপ্লবীদলে যোগ দিয়ে জেল খেটেছিল । এখন পরিবর্জিত জনহিতৱতী । একদা বিপ্লবী মেয়ে সীমার আহবানে হীরামপুরে গিয়ে তার পূর্ব নায়ক সত্যবানকে এক পোড়ো বাড়ীতে স্বতকল্প অবস্থায় দেখে । প্রথম দর্শনেই মেয়েটিকে তার অসাধারণ বলে মনে হয়। তার সেৰ, একাকী তার কৃচ্ছসাধনের নিষ্ঠ দেখে তার প্রতি আকৃষ্ট হয় । সত্যবানের মুখে পুলিসের গুলিতে তাদের ジーR দলের সকলের মৃত্যু, নিজে জাহত অবস্থায় সীমার সাহায্যে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে, বনে জঙ্গলে, পরিত্যক্ত কুটীরে পালিয়ে বেড়ানোর ইতিহাস, সীমার বীরত্ব এবং দেশপ্রীতির কথা শুনে এবং নিজের চোখে তার শ্রাস্তিহীন একনিষ্ঠভ। দেখে তার প্রতি অনুরক্ত হয় । বিপ্লবের আগুনে এতগুলি মহামূল্য প্রাণকে বিসর্জন দেওয়ায় মৃত্যুকালে অনুতপ্ত সত্যবাণ সীমাকে এই আগুন থেকে বাচাবার জন্তে নিখিলনাথকে বলে। নন্দলাল হাসপাতালে অগ্নিীয় হিসাবে কমলার সঙ্গে প্রায়ই বেথ। BBB BB BB BBB BBBBB BB LLSB BBBS BBBBB BBB কমলাকে অপমান করে এবং তারই সঙ্কোচে কিছুদিন তাকে এড়িয়ে চলতে থাকে। J& “ওগো শুনছ ? জ্যোৎস্নাদিকে কতকাল দেখি মি বল ত ? একবার তাকে নিয়ে আসবে এই শনিবারে ?” কথাটা শুনতে যত সহজ নন্দলালের কাছে কথাটা তত সহজ নয়। নিখিলনাথ সম্বন্ধে সেদিনকার সেই কুৎসিত উক্তির পর কমলার কাছে ধাওয়া এক দিক দিয়ে তার পক্ষে যেমন লজ্জাকর হয়ে দাড়িয়েছে, আর এক দিকে কমলার এই বিরূপতা তার মনটাকে তিক্ত করে তুলেছে। তার নিজের বাসনার উত্তেজনায় কমলার প্রতি তার মনের ভাব প্রায় ক্রোধের পর্য্যায়ে গিয়ে দাড়িয়েছিল । জ্যোংক্ষার মনে কি কৃতজ্ঞতা বলে কোন বস্তু নেই ? বলা বাহুল্য, এ ক্ষেত্রে *কৃতজ্ঞতা’ বলতে নন্দ উক্ত শব্দের আভিধানিক অর্থ গ্রহণ করে নি । নন্দলালের মনের চিস্তার এই ধারা কিছু দিন তার মনটাকে কমলার প্রতি ক্রোধে উত্তপ্ত ক'রে রেখেছিল। কিন্তু অনেক দিন অতিবাহিত হ’লেও যখন সে অপর পক্ষ থেকে কোন উত্তেজনার সাড়া পেল না এবং দিনের পর দিন ধীরে ধীরে তার চিত্তের উত্তাপ স্তিমিত হয়ে এল তখন সে আবার কেমন ক’রে জ্যোংস্কার বিশ্বাস ফিরিয়ে পাবে তারই উপায় চিন্তা করতে লাগল। কিছু দিন খোকাকে সে চাকরের সঙ্গে পাঠিয়ে দিল— নিজে ওপথ মাড়াল না। তার পর আরও কিছু দিন সে নিজে গিয়ে দরোয়ানের কাছে দিয়ে এবং নিয়ে আসতে লাগল। কমলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবার দুঃসাহস তার হ’ল না। তা ছাড়া তার ব্যবহার যে অস্থতাপঘটিত এবং লোভের