পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बकांडिक আছে । সেই জঙ্ক ইহা আশ্চর্ধ্যের বিষয় নহে, যে, বোয়েনোস অাইরাসের খবরের কাগজগুলি অন্ত সব দেশ ও দেশের প্রতিনিধিদের চেয়ে ভারতবর্ষের প্রতিনিধিদের সম্বন্ধে ও ভারতবর্ষ সম্বন্ধে বেশী কথা লিখিয়াছে। শ্ৰীমতী সোফিয়া ওয়াডিয়া ভারতবর্ষের প্রতিনিধি, মহিলা, বিদেশীদের চোখে যাহা হিন্দুয়ানী তাহাতে নিপুণ, শাড়ী পরেন, এবং কপালে লাল টিপ পরেন। সুতরাং যেমন সিনেমা তারকা' (Film Stai)-দিগকে জনতা ঘিরিয়া বেড়ায় ও তাঁহাদের সঙ্গে সঙ্গে যায়, শ্ৰীমতী ওয়াডিয়াকেও সেইরূপ ব্যতিব্যস্ত করিয়াছিল, ইহা আশ্চর্য্যের বিষয় নহে। স্থানীয় নেগুন ("La Nacion") নামক একখানি কাগজ ত তাহার কপালের টিপটিকে “two o' (a symbol of inner vision) of rol বর্ণনা করিয়াছে ! তিনি বক্তৃতাও কয়েকটি করিয়াছেন— ইংরেজী, ফ্রেঞ্চ ও স্পেনিশে । বঙ্গের প্রতিনিধিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক বক্তৃতা ও স্থানীয় রামকৃষ্ণ শতবার্ষিকীতে বকৃত করিতে হইয়াছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বক্তৃতার পর স্থানীয় একটি সংবাদপত্রে *two oxv offo on-"India easily leading”, “ভারতবর্ষ সহজেই সবার আগে চলেছে”। প্রবাসীর সম্পাদক ভারতীয় পি ই এনের অন্যতম সহকারী সভাপতি রূপে নিজের ষে বক্তব্য পাঠাইয়াছিলেন, তাহা স্থানীয় কাগজগুলিতে স্পেনিশ ভাষায় অনুবাদিত হইয়া বাহির হইবে। আগেই লিখিয়াছি, এই অন্তজাতিক কংগ্রেসে হাতহাতির উপক্রম হইয়াছিল। তাহা সত্বেও ইহা সমুদয় গবষ্মেন্ট ও জাতিকে সম্বোধন করিয়া একটি অনুরোধপত্র সকল প্রতিনিধিদের সন্মতিক্রমে প্রকাশ করিয়াছেন। তাহাতে যুদ্ধের নিন্দ ও কুফল বর্ণনা করা হইয়াছে, গত মহাযুদ্ধের দ্বারা কোন জাগতিক সমস্তার সমাধান হয় নাই বলা হইয়াছে, ‘ধৰ্ম্ম’সম্বন্ধীয় যুদ্ধের বিভীষিকা বর্ণিত হইয়াছে, এবং সকলকে সৰ্ব্বপ্রবন্ধে বুদ্ধ ও যুদ্ধের প্ররোচনার বিরোধিতা করিতে অনুরোধ করা হইয়াছে। এই কংগ্রেসে সমবেত লেখকের নিজে উত্তরাধিকারস্থত্রে প্রাপ্ত সকল মানুষের পৈত্রিক সম্পদ রূপ সভ্যতাকে ধ্বংস হইতে রক্ষা করিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করিবেন बजिब्रां चर्चौकब्र कब्रिब्रांटरून । ৰিৰিৰ প্রসঙ্গ—গান্ধী জয়ন্তী $86 গান্ধী জয়ন্তী মহাত্মা গান্ধীর জীবনের আরও এক বৎসর পূর্ণ হইল। তিনি দীর্ঘজীবী হইয়া তাহার জীবনের মূহাত্ৰত পালন করিতে থাকুন। র্তাহার সকল মতের ও সকল কাজের সমর্থন সকলে করেন না,—আমরাও করি না । কিন্তু কাহারও সঙ্গে মতে না মিলিলেই অকপটে তাহার প্রশংসা করা যায় না, বরং নিন্দা করাই উচিত বা স্বাভাবিক, ইহা আমরা মানি না । সকল মামুষের মত এক হইবে, এরূপ আশা করা যায় না। বাস্তবিক বলিতে গেলে সকলের সব মত এক হওয়া উচিত নয়, স্বাভাবিক নয়। জ্ঞান অপরিসীম, সত্য অপরিসীম। সব জ্ঞান কেহ আয়ত্ত করিতে পারে না, সত্যের সম্পূর্ণ উপলব্ধি কেহ করিতে পারে না । সকলেরই জ্ঞান, সকলেরই সত্যোপলব্ধি অল্পাধিক অসম্পূর্ণ। এই জন্য কেহ যতটুকু জ্ঞান লাভ করিয়াছেন, সত্য যতটুকু উপলব্ধি করিয়াছেন, অন্তের লন্ধ জ্ঞান ও অন্তের উপলব্ধ সত্যের সহিত তাহার সম্পূর্ণ মিল না থাকিতে পারে। মতের মিল থাকু বা না থাকৃ, মামুষের উদ্দেশু কি, চেষ্টা কিরূপ, নিষ্ঠা কেমন, চরিত্র কিরূপ, বিবেচনা করা আবগুক । এই সমস্ত বিবেচনা করিয়া দেখিলে, মহাত্মা গান্ধী যে ভারতবর্ষে আমাদের জাতিতে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন, তাহী গৌরবের বিষয় বলিয়া অনুভূত হয়। তিনি আযেীবন সত্যের অনুসন্ধানে ও আচরণে এবং নিজের ও অন্য মানুষের হিতকর পরিত্র জীবন যাপনে ব্যাপৃত আছেন। মধ্যে মধ্যে ভুল— খুব বড় ভুল—তিনি করিয়াছেন ; কিন্তু ভুল স্বীকারও করিয়াছেন। এরূপ অকপটে ভ্রমস্বীকার কয় জন মামুযে করে ? পবিত্র সংঘত জীবন লাভ করিবার নিমিত্ত তিনি ষে সাধনা করিয়াছেন, তাহার বর্ণনায় নিজের যে-সব দোষ উদঘাটন করিয়াছেন, তাহ পড়িয়া এরূপ ভ্রান্ত ধারণা হওয়া উচিত নহে, যে, তিনি উচ্ছৃঙ্খল ছিলেন। বিবাহিত জীবনে সংঘম ও ব্রহ্মচৰ্য্য সম্বন্ধে তাহার অাদর্শ ও ধারণা যাহা, তদনুসারে তিনি র্তাহার জীবনের প্রথম অংশের কঠোর সমালোচনা করিয়াছেন। সেই রূপ অাদর্শ অনুসারে নিজ নিজ জীবনের বিচার ও সমালোচনা আম্ভের করেন না বলিয়া এবং তিনি