পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

–অন্ত্রস্থারল__ f মধ্যে হস্তায় এক দিন ননীর মা'র কামাই আছে ; সেদিন শিবুর জিন্মায় খোকাকে দিয়া পোড়া বাসন মাজিতে স্বধার হাতে কড়া পড়িয়া যায়। বামুনদি ব্রাহ্মণ-কন্যা, বাসন মাজিলে র্তাহার সম্মান থাকে না, বড় জোর বাজারটুকু তিনি করিতে পারেন। নয়ানজোড়ের সেই সুধা এই সামান্ত কয়টা মাসে এত ঘর-সংসারের ভাবনা ভাবিতে শিখিল কি করিয়া, মনে করিয়া সে আপনি বিস্থিত হইয়া উঠে। পিসিমা যদি হঠাৎ কলিকাতায় আসিয়া পড়েন তাহা হইলে স্বধার রকম-সকম দেখিয় তাহাকে হয়ত চিনিতেই পারিবেন না। শিবুটা ণে ছেলেমানুষ সেই ছেলেমাঙ্গুষই থাকিয় গেল। কিন্তু মৃধার সেন সাত-আট মাসে সাত-আট বৎসর বয়স বাড়িয়া উঠিয়াছে। অথচ বাবা একথা বিশ্বাস করেন না। তিনি বলেন, “স্বধার ঐ কঁাচা মনে রং ধরতে অনেক বছর লাগবে ।” -- ālēāR হছশ সন্ধ্যায় খোকার চঞ্চল হাত পা যখন ঘুমের কোলে এলাইয় পড়ে, বি-রাধুনীর কাংসকণ্ঠমুখর গৃহ একটু নীরব হইয়া আসে, তখন চন্দ্রকাস্ত গৃহে ফিরিয়া দেখেন দিনের খেলার শেষে হয়ত শিবু দিদির সঙ্গে স্বর করিয়া পড়িতেছে, “ওরে তোরা কি জানিস কেউ, * জলে উঠে কেন এত ঢেউ, তারা দিবস রজনী নাচে, তারা চলেছে কাহার কাছে।” নয়ত র্তাহারই মুখে শোনা মেঘদূতের শ্লোকে স্বরচিত স্বর যোজনা করিয়া দুইজনে আবৃত্তি করিতেছে ‘আষাঢ়ন্ত প্রথম দিবসে’ । অর্থ তাহীদের মস্তিষ্কে প্রবেশ করিতেছে মা কিন্তু পদলালিত্য ও ধ্বনির ঝঙ্কার তাহীদের সমস্ত মনটা মাতাইয়া তুলিয়াছে । মৃধা ছলিয়া দুলিয়া বলিত, শিবু কথার তালে তালে তুড়ি দিয়া মাচিত। ংক্রমশঃ আলোচনা বাংলা বানান স্ত্রীরাজশেখর বস্তু গত মাসের প্রবাসীতে রবীন্দ্রনাথ আপত্তি জানিয়েছেন—বিশ্ববিদ্যালয়কুত বানানের নিয়মে হ-ধাতু আর শু-ধাতুর অনুজ্ঞায় হয়ে, শুয়ে রূপ বিহিত হয়েছে, অথচ গ’-ধাতু আর দি-ধাতুর বেলায় য় বাদ দিয়ে ‘খেও, দিও করা হয়েছে। এই অসংগতির কারণ আমি যেমন বুঝেছি তা নিবেদন করছি। ‘করিম’ আর ‘করিয়া'-র বর্ণগত উচ্চারণভেদ অতি অল্প । উচ্চারণ বিশেষ করবার জন্যই কালক্রমে আ স্থানে য় হয়েছে এমন মনে হয় না। প্রাচীন মোঙ্গ আধুনিক ‘মোয় হওয়ায় উচ্চারণের কিছুমাত্র স্ববিধ হয় নি। বোধ হয় অ লেখার চেয়ে য় লেখা সহজ সেজন্যই স্থানে-অস্থানে র এসে পড়েছে। হয়ে, শুয়ে" বানানে য়-এর প্রয়োজন আছে, য় বাদ দিয়ে হও, শুও’ লিপলে অভীষ্ট উচ্চারণ আসে না । কিন্তু থেয়ে, দিয়ে ন লিখে 'থেও, দিও লিপলে য়-এর অঙ্গৰ টের পাওয়া যায় না। অনেকে 'খেয়ে, দিয়ে, করিয়ো লেপেন, কিন্তু থেও, দিও, করিও প্রভূতি বানানও বgপ্রচলিত । والمسدسونR শেষোক্ত বানানগুলি অপেক্ষাকৃত সরল, উচ্চারণের বিরোধী নয়, অনভ্যস্তও নয়, অতএব মেনে নিলে দোষ কি ? জনাবস্তক বর্ণ যেপানে যতটুকু বাদ দিতে পার যায় ততটুকুই লাহু । ‘করিয়া, খাইয় -তে য় অনবগুক, মোর, গাওয়া-তে একবারেই ভুল। এই রকম শব্দে য় স্থানে অ চালাতে পারলে বানান সরল ও শুদ্ধ হয়। কিন্তু অভ্যাস এতই প্রবল যে যুক্তি হেলে যায়। অতএব রফা কর: ভিন্ন পায় নেই । যখ। - (১) যদি uটারপের জন্ত অবিস্তক হয় তবে য় থাকবে, যেমন হয়ে, শুয়ে ’ । (২) যেখানে কায়েম হয়ে বসেছে সেখানে অনাবগুক বা ভুল হলেও য় আপাতত পাকবে, যেমন 'হষ্টয়, ওয়"। (৩) যেখানে য় এখনও সবসম্মত হয় নি সেখানে তাকে আর প্রশ্রয় না দেওয়াই উচিত, যেমণ দিয়ে • করিয়ে” না লিগে 'দিও, করিও । (৪) নবাগত বিদেশী শব্দে যার বানান এখনও খুৰ পাক হয় নি- য়-এর অপপ্রয়োগ যথাসাধ্য বক্তনীয়, যেমন “সোডাওয়াটার ন. লিখে "সোড়াওআটাসু । আমরা যদি ভধিধতে আর একটু সংস্কারমুক্ত হতে পারি তবে হয়ত অ-বর্ণের একট। সুলেখ্য দ্বাদ প্রচলিত হবে, তখন ‘মে{4, পাওঅ' লিগতে কষ্ট হবে না, আর য়-ঘটিত অসংগতিও দূর হবে।