পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SBBYSBBSBBB BBBSBBBBBBB BBBBDBBBBBDD DDuDD যখন সে আত্মবিস্কৃত হয়। বিশ্ববিস্মত হ’লেও বরং কোন মতে চললেও চলতে পারে, কিন্তু আত্মবিস্তুতের এ-সংসারে টিকে থাকা অসম্ভব। জামাদের এদেশের মেয়েদের এখন সেই অবস্থায় পৌছে দিয়েছে। আমর ভুলতে ভুলতে ভুলেই গেছি যে, যে-কোন নারীর অপমানে অত্যাচারে অবিচারে আমাদের প্রত্যেকেরই অংশ আছে, এর সঙ্গে আমাদের প্রতি জনেরই মান-মৰ্য্যাদ জড়ানে। না, আমরা তা ভাবি না । যেমন বাড়ীতে একটা কঠিন যন্ত্রণাকর রোগে যদি কেউ বৎসরের পর বৎসর ধরে শুনতে থাকে, তার যন্ত্রণ জ্বালা সৰ্ব্বশ: চোখে দেখে বাড়ীর ছোট ছেলেটির স্বন্ধ মন কঠিন হয়ে ওঠে । সদাসৰ্ব্বদাই নারীধর্ষণের দুঃসম্বাদ পেতে পেতে তেমনই আমাদের অতি-অভ্যস্ততার ফলে আমাদের মনের কাছে থেকে এর ভয়াবহতা অনেক দূরে চলে গেছে । এমনই হয়। হীনতার আবেষ্টনে বহুদিন থাকতে থাকতে মানুষের মনের সমুদয় সোঁকুমাৰ্য্য নষ্ট হয়ে গিয়ে এমশ তাকে হীন ক’রে দেয় । একদিন যে মশ মারতে পারত না, সঙ্গণেমে একদিন হয়ত সে অনায়াসে নররক্তপাত করতেও কুষ্ঠিত হয় ল। আমাদের অবস্থাও অনেকট তাই হয়েছে। যে দেশের স্বামী পত্নীহরণকারীকে দ্বগু দেবার জন্য দণ্ডকারণা পেকে বেরিয়ে প্ল জা গিরিপৰ্ব্বত নদনদী অতিক্রম করে অত্যাচারীর সমুদ্রপরিবেষ্টিত দ্বীপনিবাসে পৌছে তাকে উচ্ছেদ করে ছেড়েছিলেন, সেই দেশের স্বামীপুত্ৰ বাপভাইর আজ জgপুত্তলিক হয়ে মা-বোন-মেয়ের নিকৃষ্ট লাঞ্ছনা সহিষ্ণুতার সঙ্গেই সহ্য করে যাচ্ছেন ৷ তাদের ঘরের মা-বোন-মেয়েরাও বেশ সহজভাবেই ত: সমৰ্থন করে চলেছেন। কোণ গোলমালই নষ্ট ! মা-বোনের যদি জিদ করেন, পুরুবর কি এভপানি কাপুরুষ হয়ে থাকতে পারে? পশুমাংসলোলুপ কসাইয়ের চাইতেও অধম নারীমাংসলোলুপ কি তা হ’লে নিশ্চিপ্ত চিত্তে এমন করে স্বত্যাচারের শ্ৰোত বঙ্গয়ে দিতে পারত ? গবন্মেণ্ট না হয় বিদেশী গবন্মে"টুই, ভাই ৰ’লে কি এমন টিলে হাতে এদের জন্ত শিথিল দণ্ড ধাসণ করে অদ্ধনিশ্চেষ্ট থাকতে পারতেন ? যাদের বিপদ, তাদেরই এখন থেকে অবহিত হতে হবে । ত না হ’লে সত্যকার কাজ হবে না । গবন্মে ণ্টকে বিশেষভাবে এজন্য অনুরোধ চারিদিক দিয়েই জানাতে হবে । পল্লীশিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে, মেয়েদের মানসিক উন্নতি ও দৈহিক বলাধান যাতে হয়, তার জন্য গ্রামে গ্রামে স্বব্যবস্থা করবার আয়োজন মেয়েদের খুব চেষ্টা ক’রেই করতে হবে। নৈতিক শিক্ষা নরনারী উভয় পক্ষেরই যাতে হয়, শহরের স্কুলকলেজে তার ব্যবস্থা এবং গ্রামে গ্রামে তার বন্দোবস্ত সঙ্ঘবদ্ধ নারীদের পক্ষ থেকেই করতে হবে। আর সবার উপর এই নারীসঙ্গকে হিন্দুমুলমান শিক্ষিত ও অদ্ধশিক্ষিত পরিবার থেকে মহিলাদের সমভাবে গঠিত করে তুলতে হবে । কাউন্সিলে পৰ্য্যস্ত জনৈক মুসলমান ভদ্রলোক বলেছেন, “লারাধর্ষণ ব্যাপারটাকে হিন্দুরা হিন্দু-মুসলমান বিদ্বেষের আলোতে বড় করে দেখছেন, আসলে এটা এত বড় কিছু নয়।” এ কি অদ্ভুত মনোভাব ? কোন শিক্ষিত ভদ্রলোক, তার ধৰ্ম্মমত তার স্রষ্টাপুরুষকে যে নাম দিয়েষ্ট ডাকতে শেখাক, এমন কথা ভাবতে পারলেন কি করে? অথচ সরকারী হিসাবে পাওয়া যায়, ধর্ধিত নারীর সংখ্য মুসলমান নারীদের মধ্যে বেশী ! অতএব হিন্দু মুসলমান বলে নয়, মোটের উপর এদেশের আবহাওয়াই দুতি হয়ে গেছে। গায়ের চামড়া হয়ে গেছে মোটা। মেয়েজের দুর্দশায় প্রাণ র্কাদে না, গায়ের রক্ত গরম হয়ে ওঠে না। নিজেদের পরম কৰ্ত্তব্যটাকে চরম ব্যবস্থায় নরম করে ফেলে শিক্ষিত মুসলমান নেতারা নিশ্চিন্ত হলেন, জার হিন্দুরা হয়ত ভাবলেন, “এই পথ ধরে আবার হিন্দু-মুসলমান বিদ্বেষবহি যদি উদ্ধশিখ হয়। যেতে দাও।” চমৎকার সমন্বয় । এখন যাদের বিপদ, সেই হিন্মু ও মুসলমান মেয়েদের একচিত্ত ছয়ে ভাবতে হবে, কং পন্থীঃ ? শুধু ভাবলে হবে না, ভেৰে উপায় নিৰ্দ্ধারণ করতেও হবে । আমার মনে হয়, জামাদের সামনে এই সমস্তাটিই সৰ্ব্বপ্রধান হয়ে দেখা Jo দিচ্ছে । মুসলমান শিক্ষিত মহিলাদের সঙ্গে নিয়ে একটি সম্মিলিত মহিলাসম্ভব তৈরি করা এবং একযোগে পল্লীগ্রামে গিয়ে মেয়েদের ভিতর অক্সিরক্ষার জঙ্গ দৈহিক ব্যায়ামের বন্দোবস্ত এবং মানসিক উৎকর্ষ সাধনের জঙ্ক উপদেশ প্রদান, স্কুল বা পাঠশালা সংস্থাপন ইত্যাদি যথার্থ জনহিতকর কাজ হাতে কলমে করা । শুধু শহরের হলে দ্বাড়িয়ে বক্তৃত৷ দিলেই হবে না, কাগজে লিখলেও না । তবে, এ-দুটির অাবস্তকতাও নিশ্চয়ই আছে । শ্ৰীমতী প্রভাময়ী মিত্র এই চতুর্থ প্রস্তাবটির সমর্থন এবং শ্ৰীমতী বিভাবতী মুখোপাধ্যায় ইহার পোষকতা করেন। শ্ৰীমতী সরল দেবী চৌধুরাণী বক্তৃতী-প্রসঙ্গে বলেন : গবন্মোণ্টের নিকচ আবেদন-নিবেদন দ্বার কোন ফল হইবে না এবং এইরূপ আবেদন-নিবেদন তিনি পছন্দও করেন না । বাংলা দেশে এই নারীনিৰ্য্যাতনের মূলে রহিয়াছে পুরমের কাপুরুষতা ও নারীর ভীরুত । ধন্ত পিণ পুরুষে কাপুরমত ও নারীর ভীরতা দূর না হইবে, তত দিন এই নারীনিৰ্য্যাতনের কোন প্রতিকার হইবে না । নারীদের নিজেদের বীর হইতে হইবে, এবং সম্ভাণ, থামী ও ভাইদের বীর করিতে হইবে। বাঙালী নারীদের কৰ্ত্তব্য হইতেছে সহিদের সাধন করা। পৌরুষ কথাটি শুধু পুরসের সম্পর্কেষ্ট প্রযোজ্য নহে, নারীদের সম্পর্কেও প্রযোজ্য। সভার উদ্দেশু সাধন করিবার নিমিত্ত একটি কার্য্যনিৰ্ব্বাহক সমিতি গঠিত হইয়াছে। তাহার কার্য্যবিবরণ জানিতে পারি নাই। পুজার ছুটি শেষ হইয়াছে। এখন সকলে মিলিয়া কাজ আরম্ভ করিতে পারিবেন। মহিলাদের এই কনফারেন্সের সংক্ষিপ্ত বিবরণ কাৰ্ত্তিক সংখ্যায় দেওয়া হইয়াছিল। আবশুক বোধে বিস্তৃততর বৃত্তাস্ত দেওয়া হইল । নিখিল-ভারত নারীসম্মেলন নারীরক্ষার উদেখে শ্ৰীমতী সরলা দেবী চৌধুরাণী আগামী ডিসেম্বর মাসে একটি নিখিল-ভারত নারীসম্মেলনের উদ্যোগ করিতেছেন। কুচবিহারের রাজমাতা ইন্দিরা মহারাণী তাহার সভানেত্রী হইবেন, কাগজে এইরূপ দেখিলাম । নিখিল-বঙ্গ মহিলাকৰ্ম্মীসম্মেলনে রবীন্দ্রনাথ গত ২৫শে ও ২৬শে আশ্বিন কলিকাতার আলবার্ট হলে শ্ৰীমতী লাবণ্যলতা চন্দ প্রমুখ মহিলাদের উদ্যোগে নিখিলবঙ্গ মহিলাকৰ্ম্মীসম্মেলনের অধিবেশন হয়। শ্ৰীমতী মোহিনী দেবী অভ্যর্থনা-সমিতির সভানেত্রী এবং শ্ৰীমতী নিৰ্ম্মলনলিনী ঘোষ সম্মেলনের সভানেত্রীর কৰ্ত্তব্য যথাযথক্কপে সম্পাদন করেন ।