পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\த --- —দিলাম। এই সময় যে-শবদেহের উপর বসে আছি, তার দিকে আমার নজর পড়ল। পড়তেই ভয়ে ও বিশ্বয়ে আমার সর্বশরীর কেমন হয়ে গেল । শবদেহের সঙ্গে সম্মুখের ষোড়শী রূপসীর চেহারার কোন তফাৎ নেই। একই মুখ, একই রং, একই বয়েস। বালিকা ব্যঙ্গের হাসি হেসে বললে—চেয়ে দেখছিল কি ? আমি কথার কোন উত্তর দিলাম না। কিছুক্ষণ থেকে একটা সন্দেহ আমার মনে ঘনিয়ে এসেছিল, সেটা মুখে প্রকাশ করেই বললাম—কে আপনি ? আপনি কি সেই শ্মশানের পাগলীও না কি ? একটা বিকট বিদ্রুপের হাসিতে রাত্রির অন্ধকার চিরে ফেড়ে চৌচির হয়ে গেল। : সঙ্গে সঙ্গে মাঠময় নরকঙ্কালগুলো হাড়ের হাতে তালি দিতে দিতে একে বেঁকে উদ্ধাম নৃত্য স্বরু করলে। আর অমনি সেগুলো নাচের বেগে ভেঙে ভেঙে পড়তে লাগল। কোন কঙ্কালের হাত খসে গেল, কোনটার মেরুদণ্ড, কোনটার কপালের হাড়, কোনটার বুকের পাজরাগুলে—তবুও তাদের নৃত্য সমানেই চলছে—এদিকে হাড়ের রাশি উচু হয়ে উঠল, আর হাড়ে হাড়ে লেগে কি বীভৎস ঠক্ ঠক্‌ শব্দ। হঠাৎ আকাশের এক প্রান্ত যেন জড়িয়ে গুটিয়ে গেল কাগজের মত, আর সেই ছিদ্রপথে যেন এক বিকটমূৰ্ত্তি নারী উন্মাদিনীর মত আলুভ়ালু বেশে নেমে আসছে দেখলাম। সঙ্গে সঙ্গে চারি পাশের বনে শেয়ালের দল আবার ডেকে উঠল, বিত্র মড়া পচার দুৰ্গদ্ধে চারিদিক পূর্ণ হ’ল, পেছনের আকাশটা আগুনের মত রাঙা মেঘে ছেয়ে গেল, তার নীচে চিল শকুনি উড়েছে সেই গভীর রাত্রে ! শেয়ালের কার ও নরকঙ্কালের ঠোকাঠুকি শব্দ ছাড়া সেই ভয়ানক ত বাকী সব জগৎ নিস্তষ্ক, স্বটি নিঝুম । আমার গা শিউরে উঠল জাতন্ধে। পিশাচীটা আমার কই যেন ছুটে আসছে! তার আগুনের ভাটার মত ম্ভ দু-চোখে ঘৃণা, নিষ্ঠুরতা ও বিদ্রুপ মিশ্রিত সে কি তীবণ কুর দৃষ্টি। সে পূতিগন্ধ, সে শোলের ডাক, সে আগুন-রাঙা মেঘের সঙ্গে পিশাচীর সেই দৃষ্টটা মিশে গিয়েছে একই উদেশে—সকলেই তারা জামায় নির ভাবে इज्र कब्लड फ्रांच्च । والسدود 8 उँछब्रिांमांथ उठांख्रिद्धकञ्च क्रोड़ों végě ষে শবটার ওপর বসে আছি—সেই শবট চীৎকার করে কেঁদে উঠে বললে—জামায় উদ্ধার কর, রোজ রাত্রে এমনি হয়—আমায় খুন করে মেরে ফেলেছে বলে আমার গতি হয় নি—আমার উদ্ধার কর। কৃতকাল আছি! এই শ্মশানে ৫৬ বছর ••• কাকেই বা বলি ? কেউ দেখে না । ভয়ে দিশাহারা হয়ে আমি আসন ছেড়ে উঠে দৌড় দিলাম। তখন পূবে ফরসা হয়ে এসেছে। বোধ হয় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলাম। জ্ঞান হ’লে চেয়ে দেখি আমার সামনে সেই পাগলী বসে মৃদু মৃদ্ধ ব্যঙ্গের হাসি হাসছে--সেই বটতলায় আমি আর পাগলী দু-জনে। পাগলী বললে—যা তোর দৌড় বোঝা গিয়েছে। আসন ছেড়ে পালিয়েছিলি না ? আমার শরীর তখনও ঝিম্ ঝিম্ করছে। বললুম–কিন্তু আমি ওদের দেখেছি। তুমি যে যোড়শ মহাবিদ্যার কথা বলতে, তিনিই এসেছিলেন। পাগলী মুখ টিপে হেসে বললে—তাই তুই বোড়ীর রূপ দেখে মন্ত্রজপ ছেড়ে দিলি। দুর ওসব হাকিনীদের মায়া। ওরা সাধনার বাধা । তুমি যোড়শীকে চেন না, ঐষোড়শী সাক্ষাৎ ব্ৰহ্মশক্তি। এবং দেবী ত্রাক্ষরী তু মহাষোড়শী স্বন্দরী। ক’হাদি সাধনা ভিন্ন তিনি প্রকট হন না। ক’হাদি উচ্চতন্ত্রের সাধনা। তুই তার জানিল কি ? ওসব মায়া | আমি সন্দিগ্ধস্বরে বললাম—তিনি অনেক কথা বলে ছিলেন যে আরও এক বিকটমূৰ্ত্তি পিশাচীর মত চেহারা নারী দেখেছি T আমার মাথার ঠিক ছিল না, তার পরেই মনে পড়ল পাগলীর কথাও কি একটা তার সঙ্গে যেন হয়েছিল— কি সেটা ? পাগলী বললে, তোর ভাগ্য ভাল। শেষকালে ৰে বিকটমূৰ্ত্তি মেয়ে দেখেছিল তিনি মহাডামরী মহাভৈরবী— তুই তার তেজ সহ করতে পারলি নে—আসন ছেড়ে তাগলি কেন ? -