পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a够 প্রবাসী SNరిsN9 দী বলিল— তামাক দেন কেনে একটুকু, সাজি একবার । উঃ বড় কাপুনি লেগেছে মশায় । অত:পর পোষ্টমাষ্টার ইনশিওর-রেজিষ্ট্ৰ লইয়া বসিলেন, পিয়ন চিঠিগুলির উপরে পট পট শব্দে ছাপ মারিতে আরম্ভ করিল, দাশু আপন মনে তামাক সাজিয়া টানিভে বসিল । তাঙ্গর শীত করিতেছিল, কিন্তু উপায় নাই--ডাক না মিলিলে তাহার ছুটি হইবে না । কষ্ট ষ্টে কাগজথান দাও দেখি, যুদ্ধের প্রবরটা একবার দেখি ! হাঁহারই মধ্যে এই ভোরেক্ত জনকয়েক লোক পোষ্টাপিসের দুয়ারে আসিয়া দাড়াইয়াছে । কালী বাবুর সংবাদপত্রের সংবাদের জন্য উৎকট নেশা—তিনি গত বাড়াঙ্গয় দাড়াইয়াছিলেন । আর ছিল গোবিন্দ রায় । লোকটি স্কুল-মাথার, তাহার নেশা যত ফ্রি-স্যাম্পেলের উপর । “বিনামূল্যে’ দেপিলেই গোবিন্দ রায় সেপানে চিঠি লিথিয়ু বসিবে । জাৰ্ম্মেণী হইতে বিনামূল্যে সে তাহার কোষ্ঠী তৈয়ারী করাঙ্গয় আনিয়াছে । সে প্রত্যঙ্গ আসে, পাছে ভাহার স্তাম্পেল গোলমাল করিয়া অন্য কেই লহয়। লয় । আর আসিয়াছিল আঁকাবাক হাতের লেখা চিঠির জষ্ঠ কয় জন যুবক । প্রৌঢ় রমানাথ চাটুজ্জেও আজ আসিয়াছিল--দূর দেশে তাঙ্গব জামাইয়ের খুব অস্কপ ; চাটুক্ষে উৎকণ্ঠিত হইয় এক পাশে দাড়াইয় ছিল। প্রঙ্যেকথানি চিঠির ঠিকানা পিয়ন পড়িয়া শেষ করে- - এ দিকে চাটুজ্জে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে, এ চিঠি তাহার নয় ! ইনশিওর-রেজেক্টর কাজ শেষ হইয়া গেল, দীত্র এবার ছুটি, সে বাড়ী চলিল। হাতে তাহার থান-দুই রঙীন খাম— কাহার ছেড়া চিঠির ফেলিয়া দেওয়া থাম—সে-কযুথান সে নাড়িয়-চাড়িয়া দেখিতে দেপিতে চলিয়াছিল । পোষ্টমাষ্টার বলিলেন--গরটার ঘাস দিতে এত দেরি করিস কেন দীম্‌ ! একটু সকালে সকালে দিস ! ডাকবাবুর গরুর জন্য ঘাস দীন্সকে দিতে হয় । –তাই আনিব । বলিয়া দীক্ষ চলিয়া গেল । পথে রমানাথ চাটুজ্জের বাড়ীতে তখন মেয়েদের বুকফাট কায়ার রোল উঠিয়াছে । সে ধ্বনির মর্শ্বচ্ছেদী বেদনম্পর্শে এই প্রভাভেও শ্রাবণের আকাশ যেন কাদি-ক্টাদি করিতেছিল । দীন্স চলিতে চলিতেই একবার আপন মনে বলিল— আহ ! 藝 藝 豪 বাড়ীতে আসিয়৷ পাচ বছরের মেয়ে লক্ষ্মীর হাতে খাম দুষ্টখানি দিয়া দান্ত বলিল—কেমন থাম এনেছি দেখ লক্ষ্মী ! কেমন ছবি, আবার কেমন সু-বাস উঠছে দেখ ! বেলাত থেকে এসেছে চিঠি । লক্ষ্মী পাম দুষ্টপানি মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখিতে দেখিতে বলিল-চিঠি কি বাবা ? —কালি দিয়ে কাগজে সব নেকা থাকে মা ! —কি নেকী থাকে বাবা ? —তুমি কেমন আছ—আমি ভাল আছি— —আর ? আর কি থাকে—দীচুর মনে সেটা জোগাষ্ঠল না, সে চুপ করিয়া রহিল। মেয়ে আবার প্রশ্ন করিল—আর ? অকারণে বিরক্ত হইয়া দী এবার বলিল—জানি না যা। আবার কি থাকবে ? লক্ষ্মী শাস্থ মেয়ে—বাপের বিরক্তি দেখিয়া সে জ্ঞার প্রশ্ন করিল না, পাম দুইখানি লইয়া চলিয়া গেল । দীন্স স্ত্রীকে প্রশ্ন করিল—নেতাই কোথা, মাঠে গিয়েছে ? নিতাই দীন্সর একমাত্র পুত্র। স্ত্রী বলিল—জানি না বাপু, কাল সন্জেতে সেই বেরিয়েছে—এখনও ফেরে নি । সারা রাত আখড়াতে মদ খেয়েছে, আর ঢোল বাজিয়ে সব চেচিয়েছে । দু-বার আমি ডাকতে গেলাম ত, আমাকে তেড়ে মারতে এল । দীমুর মেজাজ গরম হইয়। উঠিল, সে রুক্ষ স্বরে বলিয়া উঠিল—লবাবের বেটা লবাব, হারামজাদ, আমার রোজকারে খাবেন আর টেরী ফাটিয়ে লঞ্চবাগি ক’রে বেড়াবেন । তাকে আমার ঘর ঢুকতে দিও না ব’লে प्तिक्रि-ईn ! নিতাইয়ের মা বলিল, সে তুমি বলে বাপু, আমি লারব। দীক উত্তরোত্তর উত্তপ্ত হইয়! উঠতেছিল, সে আরও রুক্ষম্বরে বলিল—কেনে লারবি কেনে শুনি ?