পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাবিত আধুনিক গাকাব্যের স্পর্শক্রাষকতায় অভিভূত হয়ে একখান। গদ্যকাব্য রচনা করেচিলুম। দুঃসাহসে ভয় করে কবির সম্মুখে সেট যখন নিবেদল করলাম তিলি জামার স্পৰ্ব ক্ষমা করে সেটাকে প্যাজিত করে ছিলেন । নিজের নামেই চালাবার লোভ ছিল, যথাকালে স্ববুদ্ধি মনে উদয় হল, ভাবলাম চুরিবিদ্যা বড় বিদ্যা যদি না পড়ে ধরা। তাই সমগ্র ইতিহাস সমেত জিনিষটা লোকসমক্ষে প্রকাশ করা গেল ।—গ্ৰীক্ষধীরচন্দ্র কর । ক্রীসুধীরচন্দ্র কর এখনই, এই মুহূৰ্ত্তেই বুঝে পেলাম সব । আর তো কোনো অপেক্ষা নেই । সামনে রাত্রির নৈঃশব্দ্য-পাখার, আকাশে জলে তারা, শূন্ত পথ, মাঠের শেষে বনশ্রেণীর কালো রেখা প্রসারিত। —ফেন ওড়ার মুখে ভানামেলা মস্ত একটা বাছড় । ক্ষণেক আগেই ভেবেছি,— অনেক আছে বাধা, বিশৃঙ্খলা-ই বা কত । নাই যত্ব, নাই আয়োজন, কেবলই ক্রটি। আর কিছু কি হবে ? কিন্তু হ’ল তো,— যা ভাবি নি তাই— হ’ল এক মুহূর্ভেই মন ভরে, ভুবায়ে দিয়ে মন, জাগছে শুধু একটিমাত্র শান্ত মধুর সবল চেতন— “তুমি জাছ”। 芋 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখনি এই মুহূর্ভেই বুঝে পেলাম সব, থামিয়া গেল জীবনের সকল কলরব । সামনে রাতি রয়েছে সীমাহার, নৈঃশব্যের বক্ষ জুড়ে আকাশে জলে তারা, সকল পথ করিয়া গ্রাস শুভ জবারিত, মাঠের শেষে ঘন বনের কালিমা প্রসারিত। ওড়ার মুখে মেলিয়া ভান বাদুড় যেন জাগে ভেবেছি কিছু আগে, অনেক বাধা, বিশৃঙ্খলা অনেক গেছে জুটি— অনেক আছে আয়োজনের ক্রটি,— তবুও দেখ, ভাবি নি যেই কথা— মুহূর্ভের মন্ত্রবলে এখনি ঘটিল তা ভুৰিল মন, ডুবিয়া গেল সকল বেদন, রয়েছে শুধু একটি চেতন । পূর্ণ করি আমার মনোভূমি একাকী জাছ তুমি ।