পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌৰ 5) 呜 aషా সময় হইলেই খাওয়া বন্ধ করিয়া-চুপ করিয়া এক স্থানে বসিয়া থাকে। প্রায় ৩৩৫ ইঞ্চি লম্বী এত বড় পোকাটা চোখের সামনে পাতার উপর বলিয়া থাকিলেও সহসা নজরে পড়ে না। পাচ-যাত মিনিটের মধ্যে হঠাৎ খোলস বদলাইয়া উভয় দিক ছু চলে খুব বড় একটা কুলবিচির মত গুটা ৰাধিয়া ফেলে। গুটীর চকুচকে রং কালো। কিছুদিন নিশ্চেষ্ট ভাবে থাকিবার পর গুটী ফাটিয়৷ বিচিত্র বর্ণের প্রকাও মথ"-জাতীয় পতঙ্গ বাহির হইয়া আসে । রাজ-কাকড়া আমাদের দেশে বিবিধ প্রকারের বিচিত্র আকৃতিবিশিষ্ট কঁকড়া দেখিতে পাওয়া যায় এতদ্ব্যতীত অদ্ভুত আকৃতিবিশিষ্ট জিফোল্গুরা গণভুক্ত রাজ-কঁকড়া নামে এক প্রকার লম্বা লেজবিশিষ্ট সামুদ্রিক কাকড়াও দেখিতে পাওয়া যায়। এই কাকড়া মানুষের খাদ্যরূপে ব্যবহৃত হয় না । কিন্তু জমির সার অথবা গৃহপালিত পার্থী ও শূকর প্রভৃতির খাদ্য হিসাবে প্রচুর পরিমাণে সংগৃহীত হইয়া থাকে। স্বন্দরবন অঞ্চলের নদীয় মোহানায় সমুদ্রের ধারে ইহাদিগকে দেখিতে পাওয়া যায়। সাধারণ কাকড়াদের দাড়া-সমেত পায়ের সংখ্যা দশটি কিন্তু ষ্টতাদের ছয় জোড়া পা এবং প্রত্যেক পা-ই দাড়ায় পরিণত হইয়াছে। মুখের উপরের দিক বুকের দিক সম্মুখ ভাগের দাড়জোড়াটি সব চেয়ে ছোট, তাহার পরের দুই জোড়া ৰেটে, কিন্তু খুব মোট এবং সৰ্ব্বাপেক্ষ শক্তিশালী ; অবশিষ্ট তিন জোড়ার প্রত্যেকটি ক্রমশ একটার চেয়ে অপরটা বড় হইয়া গিয়াছ। সর্বশেষ টাড়ায় খুব ছোট সাড়াশী ও কয়েকটি করিয়া পাখনা আছে, এতদ্ব্যতীত সমস্ত পায়েই দাড়া রহিয়াছে। খোলের নীচে পিছনের দিকে কাগজের ভাজের মত অৰ্দ্ধগোলাকৃতি ছয় খানি পাতলা পাখনা আছে তার পিছনেই পাচ-ছয় ইঞ্চিলম্বী লেজ খোলার সঙ্গে কজার মত অণটা বুছিয়াছে, লেজটা বাদ দিলে ইহাকে একটা কচ্ছপের মতই দেখায় ; অধিকন্তু একটা কলমের হাতলের মত শক্ত লেজ থাকার ফলে কঁকড়ার সঙ্গে ইহার কিছুই সামঞ্জস্য দেখিতে পাওয়া যায় না তথাপি ইহারা সত্যিকারের কাকড় এবং কাকড়ার সেরা বলিয় রাজ-কাকড়া নামে অভিহিত । কাকড়াজগতে ইহারাষ্ট বোধ হয় আদি জীব। চিং করিয়া ফেলিলে খোলাটা বাটির মত নিম্নপৃষ্ঠ ঠিক সারেঙ্গের খোলের মত দেখিতে। খোলাটা সম্মুখে ও পিছনে দুই ভাগে বিভক্ত । পিছনের খোলার ধারে বারটি তীক্ষ্ণ মখর আছে। সেগুলি লেজের দিকে ৰাকানো, সম্মুখের থেলার পৃষ্ঠদেশে পিছনের দিকে দুষ্ট ধায়ে দুইটি চোখ আছে। ইহার সামুদ্রিক পোকামাকড় ধরিয়া থায় এবং বালি অথবা কঙ্কমের ভিতর গও করির বাস করে । মে, জুন জুলাই মাসে ইহারা ডিম পাড়িয়া থাকে। এই সময়ে জায়ারের সঙ্গে কাকড়াগুলি অগভীর জলে আসিয়া পড়ে । স্ত্রী-কাকড়াদের পিঠের উপর পুং-কাকড়াদিগকে অাকড়াইয়া বসিয়া থাকিতে দেখা যায়। বেঙের মত বাঙ্গরে ইতাদের ড়িম্বনিযেকক্রির নিম্পন্ন হয়। ডিমগুলি বালিতে পুতিয়া রাখে। রৌদ্রের উত্তাপে উপযুক্ত সময়ে ডিম ফুটিয়া বাচ্চ বাহির হয় । শিশু-অবস্থায় ইঙ্গদের লেজ থাকে না । পরিণত বয়সে ক্রমশ লক্ত গঙ্গাষ্ঠয় থাকে। লেজের একটা মাত্র উপযোগিতা দেখা যায় । যখন বালির উপরে কোন রকমে উণ্টাইয় পড়ে তখন লেছটাকে লিভারের মত ঠেকা দিয়া সোজা ইষ্টয়া উঠিয়া থাকে । এমনই ষ্টতাদের দেহের গঠন যে, একবার চিং গুইয়। পড়িলে লঙ্গ না থাকিলে ইঙ্গার কিছুতেই উপুড় গুইতে পারিত না । শ্ৰীগোপালচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য প্রাচীন চীনের রূপকথা সকল প্রাচীন দেশের ষ্টায় চীনও রূপকথায় সমৃদ্ধ । ছুইটি সংক্ষিপ্তাকারে সংকলিত হুইল । সিউয়াল কর্তৃক অঙ্কিত । তাহার চিত্রগুলি শ্রীমতী জনেট পরিত্যক্ত বধু ; মৃদুর অতীতের কথা এক নি:সৰল বিদ্যার্থী গ্রাম হইতে পরীক্ষার্থীরূপে শহরে অমিয়াছে। ঘটনাক্রমে সে এক অপরূপ লাবণ্যবতী অভিনেত্রীর সঙ্গিত পরিচিত ও তাঙ্গার রূপে মুগ্ধ ইষ্টল। অভিনেত্রী এই কিশোর বিদ্যার্থীকে বিবাহ করিতে সম্মত, কিন্তু তাঙ্গর ভাগ্যবিধাঙ্গ প্রভুকে অর্থমূল্য প্রদান না করিলে অভিনেত্রীর অব্যাহতির কোনও উপায় নাই । অবশেষে আর এক জন গুণগ্রাষ্ট্ৰীয় নিকট ঋণ করিয়া অভিনেত্রীর মূল্য পরিশোধ হইল। তার পর নবদম্পতী তরণীতে স্বগ্রামের উদ্দেশে যাত্র করিল। ইতিমধ্যে যুবকের মনে সংশয় জাগিয়াছে তাহার পিতামাতা এই অভিনেত্রীকে বধুরূপে গৃহে বরণ করিরা লইবে কিনা। দ্বিধাব্যাকুলচিত্তে অবশেষে যুবক নবপরিণীত পত্নীর নিকট চিরবিদায় লইবার সংকল্প করিল এবং আর একটি তরণীতে এক ধনীর নিকট সুন্দরী ভাৰ্য্যাকে বিক্রয় করিয়া নিশ্চিন্তু হইল—বিদাৰুিৱার