পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وصوصيته প্রৰণসী SN98N9 সকলের চেয়ে বড় আক্ষেপ দীন্সর—নিতাইয়ের সন্ধান সে করিতে পাইল না। সেমি এক জন যাত্রী এই ষ্টেশনেষ্ট একটা আনি হারাষ্টয়া সমস্ত রাত্রি পথের ধুলা ঘাটিয়া খুজিয়াছে । আর একটা মাহুষ— ! ভাবিতে ভাবিতে কথন সে ঘুমাইয়া পড়িল । সে ঘুম ভাঙিল তাহার পিয়নদের ডাকে । ডাউম মেলট্রেন চলিয়া গিয়াছে—ঘরের মধ্যে বিভিন্ন পোষ্টাপিসের জন্য ডাক বাধা হইতেছিল । হরকরীরা আপন আপন পেটি বল্লম লণ্ঠন লইয় প্রস্থত হইয়; বসিল । প্রস্তুত হইয়। দীন্স তামাক সাজিতে বসিল । ওদিকে ছোকরার একটা আঁগুন জালাইয়া হাতপা গরম কৰিঙে বসিয়াছে । ঘরের ভিতর হইতে পোষ্টমাষ্টার বলিলেন—এ দীক্ষ, আফি্রকাতে তোর কে অাছে রে ? এn—ইনশিওর করে টাকা পাঠাচ্ছে ! দীক্ষ আশ্চৰ্য্য হইয়া গেল, বলিল—সি আঞ্জে কোথ বটেন ? —ও সে জাহাজে ক'রে যেতে হয় রে সমৃদ্ধ, পেরিয়ে। কাফি র মুলুক সে, মাঙ্গষে সেখানে মান্তস থাম, প্রকাণ্ড বড় বড় বন, সিংহ গণ্ডার বাধ-ভাল্লুকে ভৰ্ত্তি সে সব । দীশু আরও বিস্মিত হইয়া বলিল-আজ্ঞে সে দেশের নামই আমি শুনি মাষ্ট কখুমণ্ড । ---দাড় দাড়া কে পাঠাচ্ছে দেখি - - -এ যে দেখছি সাউথ আফি কান ষ্টীম নেভিগেশন কোম্পাণী—জাহাজ কোম্পানী দেখছি ! ও: এ যে অনেক টাকা রে—সাড়ে পাচ-শ টাকা । দীক্ষ অবাক হইয় ভাবিতেছিল । সহসা সে বলিল— আজ্ঞে দেখি বাবু একবার ! পোষ্টমাষ্টার বলিলেন—দেখে আর কি করবি বাবা, একেবারে হরিপুর পোষ্টাপিসেই গিয়ে নিবি । ডাক বাধিয়া দীক্ষর কাধে তুলিয়া দিয়া দীক্ষকে তিনি বিদায় করিয়া দিলেন । আকাশে শেষরান্ত্রির জ্যোৎস্না তখন ঘোলাটে হইয়া আসিয়াছে—চাদ পাণ্ডুর, ‘সাত ভাই’ তারাগুলি আর ডুবিল বলিয়া, শেষরাত্রির বাতাসে যেন श्धि कब्रिटङरछ् । नैौश् छनशैन गरथ कणिम्रांप्छ-कून-कूनকুন-জুন ! চলিতে চলিতে সে ভাবিতেছিল—কোন দেশ দেশান্তর হইতে জাহাজ-কোম্পানী তাহাকে টাকা পাঠাইল কিসের জন্ত ? অল্প টাকা নয়—সাড়ে পাচ-শ টাকা—উঃ সে কত টাক ! ব্যাগটা যেন দীন্সর ভারী মনে হইতেছিল । সহসা দীন্সর খেয়াল হইল—একি, সে নিস্তন্ধ হইয়া দাড়াইয়া রহিয়াছে যে ! সে আবার ছুটিতে আরম্ভ করিল। চলিতে চলিতে সে পথের কোনখানে কতদূর আসিল বুঝিতে পারিল মা, কিন্তু মন তাহার দেশ-দেশাস্তরের এক অজ্ঞাত রাজ্যে চলিয়া গেল । কে সে কোম্পানী ? কিসের জন্ত তাহাকে এত টাকা পাঠাইয়াছে সে ? সে যেন দেখিতেছিল বিশাল অন্ধকার অরণ্য—বাঘ সিংহ ভালুক সেখানে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে! কিন্তু তাহার মধ্যে কোম্পানী কই—দীন্স তাহার পিছনটা দেখিতেছে—সে যেন পিছন ফিরিয়া বসিয়া আছে ! সহসা তাহার মনে হইল—ওই কোম্পানী তাহার নিতাই নয়ত ? নিতাই হয়ত দেশাস্তরে পলাইয়া গিয়া অগাধ ঐশ্বৰ্য্য লাভ করিয়াছে ! পাকা বাড়ী, গাড়ী-ঘোড়া, চাকর – কল্পনার গভীর অরণ্যে মুহূৰ্ত্তে গড়িয় উঠে বাবুদের চূণকাম-করা পাকা বাড়ীর মত বাড়ী ! দীশুর সর্বশরীর থর থর করিয়া কঁাপিয়া উঠিল, হিমশীতল রাত্রির শীতজর্জর সেই শেষ প্রহরেও সে ঘৰ্ম্মাক্ত হইয়া উঠিল কাধের কাগজের বস্ত যেন সোনায় বোঝাই বস্তার মত গুরুভার হইয়া উঠিয়াছে ! একটি পরম উত্তেজিত মুহূৰ্ত্তে কঁাধ হইতে ব্যাগটা ধপ, করিয়া মাটির উপর ফেলিয় সে এক অদ্ভুত ভঙ্গীতে তাহার পাশে দাড়াইল— চোখ দুইটা যেন জলিতেছিল : বুকের মধ্যে উৎকণ্ঠার পরিমাণ হয় না, হৃৎপিণ্ডটা শরবিদ্ধ পশুর মত যেন ছটফট, করিতেছে! দীক্ষর ইচ্ছা হইল এই মুহূৰ্ত্তে—এইখানেই ব্যাগটা টুক্র টুকরা করিয়া ছিড়িয়া চিঠিখান বাহির করিয়া बलश्च ॥ পর-মুহূৰ্ত্তে সে আবার ব্যাগটা ঘাড়ে তুলিয়া ছুটিতে আরম্ভ করিল, প্রাণপণে ছুটিল । এ কি—পার্থীরা কল কল করিয়া ডাকিয়া উঠিল যে ! ভোর কি হইয় গেল না কি ? কই আকাশে ভুল্কো’ তারা কই ? কিন্তু দীক্ষর যে এখনও অনেক পৰ বাকী ! এই ত