পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سواصعواجي ৩ । তৎপর তাহার প্রধান জেনা আমানতকারিগণের নিকট। তাহার কারবারের পুজির বড় অংশই তাহাজের নিকট হইতে আসিয়াছে। ৪ । এতদ্ব্যতীত তাহার আরও একটি দেন আছে। #xtras won nuro, coal (contingent liability) বলিতে পারি। এক ব্যক্তি যদি অপর ব্যক্তি বা ব্যাঙ্ক হইতে টাকা ধার করে এবং কোন ব্যাঙ্ক যদি তাহার জন্ম জামিন হয়, তাহা হইলে টাকা পরিশোধের দায় প্রধানতঃ জেনদারের হইলেও, তিনি পরিশোধ করিতে অক্ষম হইলে ব্যাঙ্ককেই ঐ টাকা পূরণ করিতে হইবে। এই ত গেল দেনার দিক । ব্যাঙ্কের সংস্থান বা পাওনার দিক সম্বন্ধে এই বার সংক্ষেপে কিছু আলোচনা করিব। ১ । তহবিলের একটা অংশ চলতি প্রয়োজনের জন্ত ব্যাঙ্ককে সৰ্ব্বদা নিজের নিকটে রাখিতে হয়। আমানতকারিগণের দৈনন্দিন নগদ টাকার দাবী মিটাইবার জন্তই হাতের কাছে এই টাকাটা রাখা প্রয়োজন। ইহার একটা অংশ চাহিবামাত্র দিবার সর্ভে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের চলতি হিসাবে বিনা স্বদে গচ্ছিত থাকে। এই টাকা হইতে ব্যাঙ্কের ८कांमकू? खरां★ ट्ध नां । s 1 contraz stattā ( stock-exchange ) corfā কেনাবেচা করিয়া শেয়ারের দালালগণ বহু টাকা উপায় করে। এই কাজের জন্ত যে প্রভূত অর্থের প্রয়োজন হয় দালালগণ নিজেদের ব্যক্তিগত প্রভাব-প্রতিপত্তির বলে কিংবা শেয়ার বন্ধক রাখিয়া উহা ব্যাঙ্ক হইতে অল্প দিনের মেয়াদে ধার করিয়া থাকে। ব্যাঙ্কের পক্ষে এই প্রকার দ্বাদনের স্ববিধা এই যে, প্রয়োজনমত টাকাটা স্বদ সহ অল্প দিনের মধ্যে ঘুরিয়া আসে এবং পুনরায় উহা ঐরূপে ব্যবহার করা চলে । ৩। আধুনিক কালে লক্ষ লক্ষ টাকার কৃষি ও শিল্প-জবা বিক্রয়ার্থ দেশবিদেশে চালান হইয়া থাকে। ইহার মূল্য সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না, অথচ মূল্যের টাকাটা সম্বর পাওয়া না গেলে ব্যবসামীর বিশেষ অস্ববিধ ঘটে। এইরূপ ক্ষেত্রে পণ্যবিক্রেতা তাহার মূল্যের বিল ব্যাঙ্কের নিকট বিক্রয় করিয়া টাকাটা অগ্রিম পাইতে পারে। বিলের প্রবাসী SN98లి সত্যতা ক্রেতাকে কিংবা তাহার পক্ষে কোন নামকরা ব্যাঙ্ককে বিলের উপর স্বাক্ষর করিয়া মানিয়া লইতে হইবে। এই টাকা সাধারণতঃ ৩ মাস মধ্যে ক্রেতাকে শোধ করিতে হয় ; ৬ মাসের অনুৰ্দ্ধকাল মধ্যে ইহা অবগু দেয়। প্রত্যেক দেশের আভ্যস্তরীণ ও বহিবাণিজ্য বর্তমান যুগে এই ভাবে ব্যাঙ্কের মারফতে সম্পন্ন হইয়া থাকে এবং ব্যাঙ্কগুলি এই সব বিল বা হওঁী ক্রয়বিক্রয়ের কাজ করিয়া বেশ একটা মোটা টাকা লাভ করিয়া থাকে। বিল বা হওঁী বহু প্রকারের আছে ; তাহার বিস্তৃত আলোচনা এখানে সম্ভব নহে। ৪ । অনেক ব্যাঙ্ক, বিশেষতঃ জাৰ্ম্মান ব্যাঙ্ক, দেশের কৃষি ও শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মূলধনও জোগাইয় থাকে। কিন্তু ব্যাঙ্কের নিরাপত্তার দিক হইতে এইরূপ নূতন প্রতিষ্ঠানের মুলধন খরিদ নিরাপদ নহে মনে করিয়া বিলাতী ব্যাঙ্কগুলি এই জাতীয় কাজে টাকা খাটান পছন্দ করে না। তৎপরিবর্ভে ব্যবসায়জগতে স্বপ্রতিষ্ঠিত কারবারকে, এমন কি ব্যক্তিবিশেষকে চলতি প্রয়োজনের জন্ত অল্পদিনের মেয়াদে ইহারা ঋণদান করিয়া থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইহার জন্ত কলকারখানা ও অন্যান্ত সম্পত্তি জামিন লওয়া হয়। বিলাতী ব্যাঙ্কের বিরাট আমানতী টাকার অর্ধেকেরও অধিক কৃষি, শিল্প ও ব্যবসায়ের সাময়িক প্রয়োজন মিটাইবার জন্ত দাদন দেওয়া হইত। ব্যবসা মন্দা স্বরু হওয়ার পর এইরূপ দ্বাদনের পরিমাণ কিছু হ্রাস পাইয়াছে সত্য, কিন্তু এখনও মোট দাদনের প্রায় অর্ধেক এই বাবদে খাটিতেছে। অতি সামান্ত স্বদে (বার্ষিক শতকরা ৫২। ৬ টাকা ) এরূপ বিরাট অর্থভাণ্ডারের আমুকুল্য লাভ করিতে পারিয়াছে বলিয়াই শিল্পে ও বাণিজ্যে ইংলণ্ড ও পাশ্চাত্য দেশসমূহ আজ এতটা বড় হইতে পারিয়াছে। ৫ । কোম্পানীর কাগজ, মিউনিসিপ্যাল বও,ঞ্চ স্থপ্রতি ষ্ঠিত যৌথ কারবারের অংশ ক্রয় ব্যাঙ্কের টাকা খাটাইবার অন্ততম উপায়। টাকার বাজারে এই সব সিকিউরিটির বেশ চাহিদা আছে। প্রয়োজন হইলে অতি সহজে এইগুলি শেয়ার মার্কেটে বিক্রয় করিয়া নগদ টাকা সংগ্রহ করা চলে।

  • টাকার প্রয়োজন হইলে বড় বড় মিউনিসিপ্যাষ্টিটি জাহাদের জায় জামিন রাখিয়া যে জলিলমূলে ঋণ গ্রহণ করে তাহাকে “মিউনিসিপ্যাল ৰণ্ডস্ট ৰঙ্গে ।