পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●のの SN9gNరి পার্শিয়ান হইলের সাহায্যে কুয়৷ হইতে জল তোলা হইতেছে এরূপ ধীরে ধীরে প্রবাহিত হওয়া দরকার যাহাতে মালার দুই পাশ্বের ও তলার মাটি জলের সহিত প্রবাহিত না হয়, এবং নালার জল খুব পরিষ্কারভাবে প্রবাহিত হইতে পারে। তা ছাড়া জলসেচনের সময়ে জল যাহাতে ক্ষেত্রের সকল স্থানে সমানভাবে প্রবাহিত হইতে পারে এবং জমির কোথাও জমা হইয়া না থাকে তাহার প্রতি দৃষ্টি রাখা দরকার । সাধারণতঃ বৃষ্টির জল উদ্ভিদগণের জীবনধারণোপযোগী জল সরবরাহ করিয়া থাকে। প্রাচীন ভারতবর্ষের কৃষিকাৰ্য্য মোটের উপর বৃষ্টির জলের উপর নির্ভর করিত এবং এই জন্যই প্রাচীন কালের কৃষিগ্রন্থসমূহে প্রাকৃতিক অবস্থা হইতে বৃষ্টির সময় ও বৃষ্টিবারির পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য বহুবিধ বিধি বর্ণিত হইয়াছে। মহামুনি পরাশর-প্রণীত রুষিসংগ্রহে উক্ত আছে – বৃষ্টিমূল কৃষি সধবা কুধিমূলঞ্চ জীবনম্। তন্মদাদে প্রযত্বেন বৃষ্টিজ্ঞানং সমাচরেৎ ॥ অর্থাৎ বৃষ্টিই কৃষিকার্ধ্যের মূল, আর জীবনও কৃষিমূলক, অতএব প্রথমে যত্বের সহিত বৃষ্টিবিষয়ে জ্ঞানলাভ করিবে।* • কৃষিসংগ্রহ, ১৩২২ সাল, পৃষ্ঠা ২-৩, মহামুনি পরাশর-প্রণীত ও শ্ৰীযুক্ত তুগিকান্ত কাব্যতীর্থ কর্তৃক সম্পাদিত। এইখানে বল অপ্রাসঙ্গিক হইবে না যে বৃষ্টিপাতের উপরে বিবিধ গ্রহ, নক্ষত্র ও লগ্নের প্রভাব সম্বন্ধে 蠶 পরাশর যে-সকল বিধি এবং অস্তান্ত তত্ত্ব কৃষি-সংগ্রহ’ পুস্তকে লিপিবদ্ধ: করিয়া গিয়াছেন, তাহ হইতে দেথা যায়. যে ভারতবর্ষের সাধারণতঃ পৃথিবীর যে-অঞ্চলে যে-পরিমাণ বৃষ্টি হয়, সেই অঞ্চলে ফসলের প্রকৃতিও সেইরূপ হইয়া থাকে। নিম্নত্রন্ধে গড়ে বার্ষিক ১২৩ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয় ; সেখানকার প্রধান ফসল ধান । রাজপুতানা ও সিন্ধুদেশে বাষিক বৃষ্টিপাত ১১ হইতে ৬ ইঞ্চির মধ্যে ; সেখানকার প্রধান ফসল জোয়ার। পৃথিবীর যে-সকল অঞ্চলে বুষ্টিপাত অপেক্ষাকৃত কম, সে সকল স্থানে বৃষ্টির জল যাহাতে শস্যের উপকারে আসিতে পারে তাহার দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন । মাটির জলীয় ভাগ সংরক্ষণ করার উপায় সম্বন্ধে পৃথিবীর মান স্থানে প্রচুর গবেষণা হইতেছে। যে-অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কম, সেখানে জল ধরিয়া রাখার (ෂ් উপায় জমি সমতল করা । বৃষ্টির জল ধরিয়া রাখিবার জন্য অনেক স্থলে বাধ প্রস্তুত করিয়া বেশী পরিমাণ জমিতে জলসরবরাহ করা হয়। এই উপায়ে অনেক জায়গায় স্বফল পাওয়া গিয়াছে। এই সম্বন্ধে একটি প্রস্তাব বিবেচনা করিয়া দেখা যাইতে পারে যে সাস্কৰ্য্য বা অন্য কোনও পদ্ধতির সাহায্যে এমন শ্রেণীর উদ্ভিদের স্বষ্টি করা সম্ভব কিনা, যাহাতে উদ্ভিদ নিতান্ত অল্প বৃষ্টিপাতের মধ্যেও বদ্ধিত হইতে পারে । এ যাবৎ এ-সম্বন্ধে যে-সকল গবেষণা হইয়াছে তাহাতে মনে হয় যে কোনও বিশেষ অবস্থার উপযোগী করিয়া উদ্ভিদের উৎপত্তি করা অসম্ভব নহে। তৎকালীন কৃষিপ্রণালী বিশেষ উন্নত ছিল । বস্তুতঃ আধুনিক ভারতীয় কৃষিপ্রণালী সেই পুরাকালের প্রণালী হইতে f শেষ পরিবর্তিত হয় নাই । পরাশর মুন কোন সময়ে জীবিত ছিলেন তাহ সঠিক জ্ঞাত হইবার কোনই সম্ভাবন নাই। তবে পণ্ডিতপ্রবর ফ্রান্সিস বুকানন বহুপ্রকার প্রমাণ আলোচন: করিয়া পরাশর মুনির পুত্র এবং চতুৰ্ব্বেদের জন্মদাতা ব্যাস মুনি কোন সময়ে জীবিত ছিলেন তাহার একটা মোটামুটি ধারণ করিবার চেষ্টা করিয়াছেন । বুকানন লিখিয়াছেন —“Vyasa, the son of l'arasara, the supposed author of the Vedas, having lived in the age before Jarasandha, King of Magadha, 48 reigns before Chandragupta, should have lived about 1250 years before Christ.” --Genealogies of the Ilindus, Extracted from their Sacred Writings : By Francis Buchanau and afterwalds Hamilton, Iodinburgh, 1819, p. 16.