পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سموob && আবছ। হইয় গেল । উষ কেমন যেন আনমনেই সিনেমাট দেখিতে লাগিলেন। সিনেমার গল্পও একট করুণ ব্যর্থ প্রণয়কাহিনী । এই গল্পের নায়িকাও যাহাকে প্রথম জীবনে ভালবাসিয়াছিলেন তাহাকে পান নাই এবং যাহাকে পাইয়াছিলেন র্তাহাকে ধীরে ধীরে ভালবাসিতেছিলেন। ইহাই জীবনের অদ্ভুত ট্রাজেডি। ইনটারভাল হঠল—ইনটারভালে উষা লক্ষ্য করিলেন ষে মহিল-দর্শকদের মধ্যে আরও দুহ-এক জন জজেট শাড়ী পরিধান করিয়া অসিয়াছেন । এই সব দেখিয়া শুনিয়া তাহার নিজের মনেই তিনি নিজেকে বলিলেন, “আর এক জনকে বিয়েই যখন করতে পেরেছি তখন আর জজেট শাড়ী পরতে কি ! জীবনে কতবার কত প্রতিজ্ঞাই ত করেছি—সব কি আর পালন করেছি—না, পালন করা সম্ভব । যাক, তবু জজেট আমি কিন্‌ছি না—” 喙 磡 喙 কয়েকটি দারুণ বোমার গুরুতর আধাত সহ করিয়াও উষা দেবীর প্রতিজ্ঞ-দুর্গ ভূমিসাৎ হয় নাই। কোনরূপে মাথা খাড়া করিয়া দাড়াঙ্গয়া ছিল। কিন্তু সেদিন চিত্রাঙ্গদা” দেপিতে গিয়া তিনি যেন দিশাহারা হইয়া গেলেন। তাহার প্রতিজ্ঞা-দুর্গের উপৰ যেন বোমাবর্ষণ হইতে লাগিল । চতুৰ্দ্দিকেই জজেট শাড়ী ৷ উষাকে জব্দ করিবার জন্তত যেন সকলে দল বাধিয়া জজেট পরিয়া আসিয়াছে । তাহার মনে হস্ততে লাগিল তিনি বোধ হয় একাই কাশ্মীরী শাড়ী পরিধান করিয়া আসিয়াছেন এবং সকলে তাহার এই জজেটবিহীন আবির্ভাব লইয়া মনে মনে হাসাহাসি করিতেছে । 喙 喙 舉 শেষ বোমাটি নিক্ষিপ হঙ্গল একটি মোটর হইতে । হঠাৎ সেদিন বিকালে উষা দেবী লক্ষ্য করিলেন যে একটি মোটর আসিয়া বাড়ীর সামনে গড়াইল । মোটরে বসিয়া একটি জ্বজেট-পরিহিতা তরুণী । শুন্দরী। দ্বিতলের গবাক্ষে দাড়াঙ্গয়৷ উষা লক্ষ্য কবিলেন ধে মোটকটি দাড়াঙ্গতেই একমূখ হাসি লষ্টয় স্বামী ডিসপেনসারী হইতে বাহির হইয়া মোটরে চড়িয়া যুবতীটির পাশে বসিলেন – মোটর চলিয় গেল। কে এ মেয়েটি? রোগিণী ? চেতারা দেখিয়া মনে ত হয় না । উষা দেবীর দোষ দেওয়া दाम्न मा–७ चक्ञ्चाग्न ८कोजूझ्ज अन्नभा झल्लेख्न सोोड़े .._ حی শবাসী 9ū ve স্বামী ফিরিতেই উষ জিজ্ঞাসা করিলেন, “আজ বিকে:ে ষে-মেয়েটি তোমাকে এসে নিয়ে গেল—কে ও ঐ “হাসপাতালের এক জন নাস। ডক্টর বিশ্বাস আমাদে আজ একটা টি-পার্ট দিলেন কি মা— ! মুষি অর্থাৎ ও নাসটি বেশ মেয়ে ” “মেয়েটি দেখতে বেশ। জজেট পরে বেশ মানিয়েছিল কিনে দাও না আমাকে একথানা জজে ট”—উষা বলিং ফেলিল । “বেশ ত । দাম কত ?” “কত আর হবে । আজকাল সস্তাই হয়েছে শুনেছি দশ-পনর টাকা হ’লেক্ট হয়। ছায়া সেদিন পরে এসেছিল একথানা, বললে এগার টাকা দাম । তাড়াতাড়ি নেই এখন—” “আচ্ছ দেখি ! আমার এক রোগীর কাছে ষোলট টাকা বাকী আছে। কাল "বিল" পাঠাব। টাকাটা যদি পাই কিনে দেব ।” \9 ঠিক তাহার পর দিন সকালে বান্ধবী ছায়া আসিয়া দর্শন দিলেন। গোপনীয় কিছু বলিবার ছিল। মুখচোখ রহস্যময় করিয়া কানে কানে কহিলেন, “মণিবাৰু কলকাতায় এসেছেন আজ কদিন হ’ল । আমি জানতাম না । মালতী তার এক বন্ধুর কাছে নাকি শুনেছে। দেখা করবি না কি ? ঠিকান জোগাড় করেছি—এই নে। আমার কাজ আছে ভাই—বসতে পারব না । ষা না, দেখ। ক'রে জায়। দেখা করতে আর দোষ কি ?” ঠিকানাটি হাতে করিয়া উষা দেবী নিৰ্বাক হইয়া বসিয়া রহিলেন। এত কাছে মণি আসিয়াছে। কলেজের অৰ্দ্ধবিশ্বত সেই দিনগুলি আবার মনের মধ্যে ভিড় করিতে লাগিল । সেই অতীত দিবসগুলির মাদকতায় সমস্ত অন্তঃকরণ আবার যেন আবিষ্ট হইয়া গেল। সেই ভীরু ভীতু মানুষটি-শাস্ত নিরীহ, নিরহস্কার। মণীন্দ্রমোহনের মুখখান সে যেন মনের ভিতর স্বম্পষ্ট দেখিতে পাইতেছিল। —না, জজেট শাড়ী আর সে কিনিবে না । স্বামী আসিলেই বারণ করিয়া দিতে হইবে।--মণিবাবুর সহিত