পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিতা-মুত্র_ দুই জনের নাম করিলেন—বৈমাত্রেয় ভাই রামলোচন রায়, এবং পরগণা গোপন্ডুমের অন্তর্গত দায়সা গ্রাম নিবাসী সভাচন্দ্র রায় । রেভিনিউ বোর্ড এই প্রস্তাবে সম্মত হইলেন । এই দুই ব্যক্তি জামীন হইতে প্রস্তুত আছে কিনা অনুসন্ধান করিবার জন্য মেদিনীপুরের কালেক্টর ( R. Shubrick } বৰ্দ্ধমানের কালেক্টরকে চিঠি লিখিলেন। বৰ্দ্ধমানের কালেক্টর ( G. Webb ) ১৮০৩ সালের ১৭ই অক্টোবর উত্তরে লিখিয়া পাঠাইলেন, রামলোচন রায় বৰ্দ্ধমান জেলায় নাই এবং সভাচন্দ্র রায় জাৰ্মীন হইতে রাজি নহে if সভাচন্দ্র রায়কে এবং রামলোচন রায়কে জামীন হইতে সম্মত করিবার জন্য ১৮০৪ সালের অক্টোবর মাসে জগমোহন রায় আবার চিঠি লিপিয়াছিলেন । এই চিঠিখানি মোকদ্দমার নথীর মধ্যে আছে। চিঠিখানির পাঠ যতটা উদ্ধার করিতে পারিয়াছি তাহা এই— পোষ্টাবর ও পরম কল্যাণীয় শয়ত fহরীরাম চট্টোপাধ্যায় শাঁখুত জগন্নাস মজুমদারী 硕博” কল্যাণবরেষু শ জগমোহন শগুণ, BBBBg BBB BBBB BBBBB BBBS ggSB BBBBB ন ছারি•ে তরফ হরিরামপুরের বাকী এক হাঙ্গর টীকা নগৰ বাদে ggAAA mBBgg gB BBB BB BBB BBB BggB BBB মাসের করিয়া শামুক্ত রামলোচন রায় ভায় ও শ্লযুক্ত সলচন্দ্র রায়ের মাল জামিনের করার করিয়াfচ্চ রায় দিপ গের এতরায়ের নিমিস্ত আপনার কৃতাংশের (ক্রীতাংশের) জমি কৃষ্ণনগর দিগরের এবং পুঙ্গরণি ও খরিদা আয়ম - দিগরের মাতবর ব্লাপিলাম করার মত ঢাকা আদায় না করি রায় মঞ্জস্কল্পের এ জমি লিগঞ্জ আপন একতিয়ারে বিক্রয় করিয়া টাকা আদায় করিবেন এই খত মতন লিখিয়া দিয়া আপনার দুই জনায় সাক্ষী হইবেন আপনি খত যে লিখিয়া দিবেন তাহ আমার মনজুর ইষ্টাম্প কাগজে আমি দস্তথত করিয়া পাঠাইতেছি কুশলমিতি তা ৭ই কাৰ্ত্তিক এই চিঠি থানিতে তারিখ দেওয়া আছে, সনটি দেওয়া নাই। সন হইবে ১২১১ এবং খ্ৰীষ্টাব্দের তারিখ, ১৮০৪ সালের ২১ অকৃটোবর । এবার সভাচন্দ্র এবং রামলোচন জামীন হইতে সম্মত হুইয়াছিলেন। এই হীরারাম চট্টোপাধ্যায় এবং সভাচন্দ্র রায়কে গোবিন্দপ্রসাদ রায়ের পক্ষ হইতে সাক্ষী মান্ত করা হইয়াছিল এই কথা পূৰ্ব্ব প্রবন্ধে উক্ত হইয়াছে ক ইহারা কেন যে জবানবন্দী দেন নাই, এমন কি সপিনাও

  • Board of Revenue, Proes. 30th Sept., 1803 No. 23

f Board of Revenue, Proceedings, 27th January, 1804, No. 4 (Fnclosure).

  1. প্রবাসী, ১৩৪৩, পৌষ,৩৪৪ পৃঃ ।

ՓՖՊ গ্রহণ করেন নাই, এই চিঠি পাঠ করিলেই তাহা বুঝা যায় গোবিন্দপ্রসাদের দাবী সমর্থন করিতে হইলে এই চিঠিখনf এবং জগমোহন রায়ের কারামুক্তি সম্বন্ধীয় সকল কথ ইহাদিগকে অস্বীকার করিতে হইত। জগমোহন রায় নগদ টাকাটা হাওলাত লইলেন রামমোহন রায়ের নিকট হইতে। তাহার ১১১১ সনের ৩রা ফাল্গুনের অর্থাৎ ১৮০৫ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারী তারিখের এক হাজার টাকার হাওলাত রসিদপত্র পূৰ্ব্বেষ্ট সচিত্র প্রকাশিত হইয়াছে । এই হাজার টাকা এবং জার্মাননামা দাখিল করিবার পর জগমোহন রায় খালাস পাইয়া বাড়ী ফিরিয়াছিলেন । মেদিনীপুরের দেওয়ানী জেল হইতে খালাস পাইয়া জগমোহন রায় ৭ লংসর পণচিয় ছিলেন । বৰ্দ্ধমানের এবং হুগলীর আদালতে রামকান্ত রায়ের কয়েকটি পাওনা টাকার ডিক্ৰী ছিল । জগমোহন রায় জেল হইতে থালাস পাইয়া আসিয়; এই সকল টাকা ওয়াশীল করিলেন । ভাগিনেয় গুরুদাস মুখোপাধ্যায় তাহার জবানবন্দীতে বলিয়াছে, জগমোহন রায় এইরূপে প্রায় আড়াই হাজার তিন হাজার টাকা আদায় করিয়াছিলেন ; তন্মধ্যে রামকিশোর রায়ের নিকট হওঁতে প্রায় হাজার টাকা, এবং বিনোদরাম সমদারের নিকট হইতে ৪৫ শত টাকা । বেচারাম সেন প্রভৃতি অন্যান্য সাক্ষী রামকান্ত রায়ের অন্যান্ত খাতকের নাম করিয়াছেন । রামকাস্ত রায়ের আর দুই পুর, রামমোহন এবং রামলোচন রায়, পিতার ওয়ারিশ রূপে এই সকল দিল্লীর টাকার অংশ দাবী করেন নাই ॥৫ মোকদ্দমার মর্থীর মধ্যে জগমোহন রায়ের দস্তগতী একথানি একরারনাম আছে (চিত্র দ্রষ্টব্য )। নিম্নোদ্ধৃত এই একবার নাম পাঠ করিলে জগমোহন রায় মূল

  • প্রবাসী, ১৩৪৩,আদিন, ৮৫ - পৃ: ।
  • বাটোয়ারার পর রামলোচন রায় ও লিঙ্গের অবস্থার উন্নতি করিয়াছিলেন । ১৮•৫ সালের ১০ই আগষ্ট্রের একখানি চিঠিতে বদ্ধমানের, অস্থায়ী কালেক্টর জর্জ ওবের (George Webb) লিখিতেছেন, “By the records of my office it uppears that 1535 Biggahs and 3 cottas of rent free Lands stands in the name of Ramlochan Roy onc of the Recurities tendered by Jugmohun Roy.” Burdwan Records, Vol. 65, No. 33, -