পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুটিরশিপে কলুর ঘানি ঐসতীশচন্দ্র দাসগুপ্ত যে-সকল দ্রব্য কুটীরে কুটীরে উৎপন্ন হইতে পারে, কলকারখানার সহযোগে সেগুলি অল্প খরচায় উৎপন্ন করিয়া বেচিতে গেলে সস্তার জন্তই তাহার কাটতি হয় । কলঙয়ালার রোজগার হয় এবং কলের সম্পর্কিত অদ্য কতক লোকেরও ভাল রোজগারের সম্ভাবনা হয় । কিন্তু অপর দিকে ঘরে ঘরে অনেক লোক কৰ্ম্মহীন হইয়া বেকার বনে ও সমাজের ভারস্বরূপ হইয়া পড়ে । যেখানে জনসাধারণ কাজ করিতে ইচ্ছা করিলেও কাজ পায় না এবং কাজ না-পাওয়ার জন্ত অল্পবস্ত্রের অভাবে ক্লেশ পায় সেখানে কুটারে কুটারে মানুষের হাতের শ্রমে গড় জিনিষকে কলের সস্তা জিনিষের তুলনায় অধিক মূল্য বলিয়া ত্যাগ করায় সমাজ আত্মঘাতী হয়। একটা কথা ভুল হইলেও শাসক-সম্প্রদায় অনেক দিন হইল শিখাইয় আসিতেছেন যে ভারতবর্ষ “কৃষি-প্রধান দেশ” । কথাটা যে কত বড় মিথ্যা তাহা স্বগীয় রমেশচন্দ্র দত্ত মহাশয় জালাময়ী ভাষায় ব্যক্ত করিয়া গিয়াছেন। কেবল তাঁহাই নহে, হিসাব কষিয়া ইহা প্রমাণ করিয়াছেন যে ভারতবর্ষ “কৃষি ও শিল্প প্রধান" দেশ ছিল এবং ইংরেজের শাসনকালে ভারতবর্ষ নিরক্স ও শিল্পহীন দেউল গ্রামের পরিত্যক্ত ঘনি—বংসরাধিক কাল এই ঘানি বন্ধ রহিয়াছে হইয়াছে এবং শিল্প নষ্ট হওয়ায় প্রতি বৎসরই কতক লোক জমির উপর নির্ভর করিতে বাধ্য হইতেছে । আজ যেমন, তেমনই পূৰ্ব্বেও ভারতবর্ষের লোকের শিল্পজাত দ্রব্যের শত প্রয়োজন ছিল ৷ ছুতার, কামার, কুমার, সেকরা, তাভি, জোল, কলু, স্বতী-কাটুলী, ধানভাঙ্গুনী, চামার, মুচি, রংরেজ — ইহাদের সকলেরই কাজ ছিল । ইহার এবং ইহাদের মত আরও শত শত শিল্পে নিযুক্ত লোক সমাজের নানা প্রয়োজন জোগাইয়া বাচিত ও সমাজকে জীবিত রাথিত । ছুতারের কাজ কমিয়া গিয়াছে। জল- ও স্থল-পথের জন্ত যান প্রস্থত করা তাঙ্গদের বড় কাজ ছিল— দেউল গ্রামের মারিকেল-লাগান