পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শীতের কুহেলিঘন সন্ধ্যায় স্বপনের অকুভবে লভি* ভায় আবেশ নামিল চোখে,— এই দেহ-নিৰ্ম্মোকে ফেলে রেখে ভেসে যেতে মন চায় } অশর অশ্রীক্ত ভাষাতে বুক বাধা স্নখহীন আগশাতে : কিছুতেই বুঝি না যে সহসা শীতের সাঝে সে বাধ মিলায় কেন হাওয়াতে । চকিতে চমকি ভাবি, তাই কি ? বারে বারে পথ ভুলে যাই কি ? বেদমার বুক চিরি যাহারে খুজিয়া ফিরি ত্রিভুবনে কোথাও সে নাই কি ?” ঝাপসা নয়নে দূরে ওঠে চাদ নেই নব জ্যোৎস্নার মায়ার্মগদ, কুন্দকলির হারে কে আজ সাজাৰে তীরে আশদরে ঘোচাবে সব অবসাদ । হিমেল হাওয়ায় তার কম। উছসিত, আর না গো আর না ; ও দুই নয়নতলে বেদনার শোভা বলে জলে-থলে ফলে শত পান্না । শীত-সন্ধ্যা ঐনিৰ্ম্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আমার বেদনা পেল রূপ কি ! অশ্রুর বাম্পের ধুপ কি মোর প্রতি নিঃশ্বাসে ? আকাশে বাতাসে ভাসে মুখর ভাষণ, তাই চুপ কি ! ফাগুনের ফুলদলে ভুলেছি এবার ব্যথার ঢেউয়ে দুলেছি, উত্তরী বাতাসের বানে ওগো দখিলের কুপ আজ নিঃশেষে ভুলেছি । পদ্ম দীঘির পারে চলে যাই, জানি জানি, জানি সেথা ফল নাই, মৃণাল মলিনমুঙ্গী আমি তার দুগে ছপী, কামনা-কমলে মোর দল নাই । চঞ্চল কিল্লোল হারা ভায় নিতল দীঘির জল মুরছায় ; পাংশু পাতার পরে শত বায়ু সঞ্চরে, বুকে কাপে হিমকণা লজ্জায় । নীরব বিজন এই লগনে সন্ধ্যার সকরুণ স্বপনে নয়নের মণি দুটি যে শোভা নিয়েছে লুটি তারে তুলে রাখি মন-গহনে ॥