পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

formal storal of otfoto, “the quality of candidates from the point of view of the Congress policy is more important than the winning of seats and the capture of a fictitious majority in the Legislatures” trotto & Wessors Awoপদপ্রার্থীদের উৎকর্ষের উপর ঝোক দেওয়া হইয়াচে । তাহার যে কমিটিগুলিকে সাবধান করিয়া দিয়াছিলেন, তাহা হইতেই বুঝা যায়, যে, কোন কোন স্থলে অযোগ্য বা অবাঞ্ছিত লিংবা অপেক্ষাকৃত অযোগ্য বা অবাঞ্ছিত রকমের প্রার্থী মনোনীত করা হইয়াছে। অথচ এখন দেখিতেছি, কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বা র্তাহার প্রতিযোগী প্রার্থীর সমর্থন করায় কোন কোন প্রদেশে কোণ কোন কংগ্রেসওয়ালাকে শস্তি দেওয়া হইতেছে । মোটের উপর অবশু ইহা ঠিক বটে, যে, কংগ্রেসের ডিসিপ্লিন বা নিয়মান্নবর্তিতা রক্ষার নিমিত্ত চেষ্টা করা উচিত। কিন্তু এই ওজুহাতে গণতান্ত্রিক ও স্বাধীনতাকামী কংগ্রেসের কোনও কংগ্রেসওয়ালার ন্যায্য স্বাধীনতা লোপ করা অন্তচিত। কংগ্রেস-নেতাদের সতর্কতার বাণী হইতেই বুঝ। যাইতেছে, যে, সব কংগ্রেস কমিটির সব মনোনয়ন নিখুঁত হয় মাই—কোন কোন স্থলে তাহা ভ্রান্ত বা দূষিত হইয়াছে । অথচ সেই ভ্ৰম বা দোষত্রুটি-সংশোধনের জন্য যদি অন্য কোন কংগ্রেসওয়াল! স্বয়ং প্রার্থী হন বা কোন যোগ্য কংগ্রেসওয়ালা প্রার্থীর চেষ্টার সমর্থন করেন, তাহ হইলে তাহাকে কেন শাস্তি দেওয়া হইবে ? নিয়মাচুবৰ্ত্তিভ রক্ষার চেষ্টারও ত একট। সীমা থাক চাই। যোগ্যতমকে অমনোনয়নের একটি দুষ্টান্ত বাংলা দেশ হক্টতে দিতেছি। শ্ৰীমতী জ্যোতিৰ্ম্ময়ী গঙ্গোপাধ্যায় বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় নারীদিগের জন্য যে একটি “সাধারণ” আসন সংরক্ষিত আছে, কংগ্রেস কর্তৃক তাহার জন্য প্রার্থী মনোনীত হইতে র্যাহারা চাহিয়াছিলেন, তাহার মধ্যে ছিলেন শ্ৰীমতী জ্যোতিৰ্ম্ময়ী গঙ্গোপাধ্যায়, এমৃ-এ। কিন্তু কংগ্রেস র্তাহাকে মনোনয়ন ন-করিয়া এমন একটি মহিলাকে মনোনীত করিয়াছেন রাষ্ট্রনৈতিক ও অন্য ৰিবিধ প্রসঙ্গ—ঞ্জীমতী জ্যোতিৰ্ম্ময়ী গঙ্গেণপণধTায় ఆSN9 সাৰ্ব্বঞ্জনিক অবৈতনিক কাৰ্য্যক্ষেত্রে যাহার কৃতিত্ব বা সক্রিয়তা সম্বন্ধে আমরা কখনও কিছু পড়ি নাই শুনি নাই। জ্যোতিৰ্ম্মী দেবী জালন্ধর কন্যা মহাবিদ্যালয়ের প্রিন্সিপ্যাল ও সিংহলের একটি শিক্ষালয়ের প্রিন্সিপাল ছিলেন। শিক্ষণসম্পৰ্কীয় অন্য নানা কাজ এবং বহু সাৰ্ব্বজনিক কাজও তিনি করিয়াছেন। সে সকল বলিবার স্থান ইহা নহে । এখানে তাহার রাষ্ট্রনৈতিক কাজের কথাই বলিব । তিনি ১৯২০ খ্ৰীষ্টাব্দে অসংযোগ ও সত্যা গ্ৰহ আন্দোলনের সময় হইতে আজি পৰ্য্যস্ত যোল বৎসর ভারতের---বিশেষ হ: কলিকাতার এবং বাংলার, বিভিন্ন অঞ্চলে রাষ্টীয় নান ব্যাপারে জড়িত থাকিয় কাজ করিয়াছেন এবং ভারতের সর্বপ্রধান রাষ্ট্ৰীয় প্রতি নি কংগ্রেস ও সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ রাষ্ট্ৰীয়ু নেতা মহাত্মা গান্ধীর বাণী বহন করিয়া এক শহর হইতে অন্য শহরে, গ্রাম হইতে গ্রামাস্তরে ফিরিয়াছেন । কারাবাস ও অন্য দুঃখ, কষ্ট ও লাঞ্চলাকে গ্রাহ মা করিয়া দেশের মঙ্গল হইবে মনে করিয়াই কংগ্রেসের আদেশ শিরোধায্য করিয়l, সরকারী চাকুরী ও অর্থের মোহ পরিত্যাগ করিমু দারিদ্র্যকে বরণ করিয়া লইয়াছেন । নারীtঃতকর বহু প্রতিষ্ঠান, জ-সেব-রতে ব্ৰতী বহু প্রতিষ্ঠান ও আৰ্ত্তরাণে নিয়োজিত বহু প্রতিষ্ঠানের সহিত প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট থাকিয় ও তাঁহাদের মধ্য দিয়া জনসাধারণের ও দুঃপপ্রপীড়িতুদিগের সেবার নিজকে নিযুক্ত করিয়াছেন। কংগ্রেস ভাগকে মনোনীত ন-করায় স্বয়ং নারীদের আসনটির জল্প স্বাধীন ভাবে তাহাকে প্রার্থী হইভে ইয়াছে। বল বাহুল্য, তিনি নির্বাচিত হইলে কংগ্রেসেরই কাজ হইবে। কেন-ন তিনি নিম্নলিখিত নীতি অনুসারে কাজ করিবেন। (১) নুন্তল শাসনতন্ত্রকে বাধা দিতে হইবে। (২) সাম্প্রদায়িক সিদ্ধাস্তের প্রতিরোধ করিতে হইবে। (৩) মন্ত্রিত্নগ্রহণ প্রচেষ্টার মুলোচ্ছেদ করিতে হইবে। (৪) দমননীতির প্রতিরোধ করিয় রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তিদান করিতে হুইবে । (৫) দেশবাসীর সর্বাঙ্গীণ মঙ্গলসাধন করিতে হইবে । (৬) নারীজাতির স্বার্থ সংরক্ষিত রাখিতে ইষ্টবে। এই সকল কারণে আমরা মনে করি, তাহাকে ভোট দিয়া নিৰ্ব্বাচিত করা উচিত। র্তাহার স্বাধীন চিন্ত| করিবার শক্তি আছে, বাংলা ও ইংরেজীতে বক্তৃতা করিবার শক্তি অভ্যাস ও সাংস আছে এবং রাজনীতির জ্ঞান আছে।