পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

فمواجحS প্রবণসী ১৩sভT that all agitation against the Communal Award, except in the manner agreed upon, must cease as soon as this settlement is put through ; otherwise it will be inoperative and of no effect.” তাৎপৰ্য্য। ইহা বুঝিয়া লইতে হইবে, যে, মুসলমানপক্ষ হইতে রফার প্রস্তাবটি গ্রহণ এই সৰ্ত্তের অধীন, যে, রফাটি সম্পন্ন হুইবামাত্র সাম্প্রদায়িক ৰাটোয়ারার বিরুদ্ধে, সৰ্ব্বপক্ষসম্মত প্রকারের ভিন্ন অন্স সব রকম, আন্দোলন থামিয়া যাওয়া চাই, তাহা না হইলে রফা বাতিল হইবে ও তদনুসারে কাজ হইবে না । গজনবী সাহেবের তাহা হইলে রফাটার দফা তিনটা না করিয়া চারিটা করা উচিত ছিল। অলপ্ত ইংরেজীতে বলে বটে, যে, অনেক চিঠির স্থলের আঘাতটা থাকে শেষে ! বঙ্গে এমন কোন নেতা নাই, র্যাহার প্রভাবে বা আদেশে একটা কোন রকম আন্দোলন সম্পূর্ণ থামিয়া যাইতে পারে। পীন্তাল কোডে একটা ধারা বসাইয়া দিলে সাম্প্রদায়িক বঁাটোয়ারার বিরুদ্ধে আন্দোলন অনেকটা থামিতে পারে বটে ; কিন্তু তাহাতেও একেবারে না-থামিতে পারে । কেন না, “রাজদ্রোহ” সম্বন্ধীয় ধারা পীন্তাল কোডে থাকা সত্ত্বেও অনেক লোক “রাজদ্রোহ” করিয়া জরিমানা দেয় ও জেলে যায়। সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারাটার উচ্ছেদের আগে তাহার বিরুদ্ধে আন্দোলন সম্পূর্ণ থামিবে না। সে-বিষয়ে গজনবী সাহেব নিশ্চিন্ত থাকুন। এখন সৰ্বগুলা সম্বন্ধে কিছু বলি । গণতন্ত্র ( ডিমক্র্যাসি ) ও স্বাঞ্জাতিকতার ( দ্যাশন্যালিজমের ) দিক হইতে বাটোয়ারাটার বিরুদ্ধে সবচেয়ে প্রবল আপত্তি এই, ধে, উহ। ভারতীয়দিগকে ভারতীয় বলিয়া মানিতেছে না – মানিতেছে ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের, জাতির ও জাতের, বৃত্তির ও শ্রেণীর, এবং পুরুষ- ও স্ত্রীজাতীয় মানুষ বলিয়া । সেই জন্য নিৰ্ব্বাচকমণ্ডলী সব আলাদা আলাদা করা হইয়াছে। সমগ্র মহাজাতিটাকে (নেশুনকে ) বাটোয়ারাটা যে এই প্রকারে নানা টুকরায় বিভক্ত করিয়াছে, রফাট। তাহার কোনই প্রতিকার, করে নাই । বাটোয়ারাটা বঙ্গের হিন্দু ও অন্ত ভারতীয়ধৰ্ম্মাবলম্বীদিগকে তাহাদের সংখ্যার অক্ষপাত অনুসারে প্রাপ্য আসনও দেয় নাই – তাহাদের শিক্ষ, যোগ্যতা, প্রদত্ত ট্যাক্সের পরিমাণ, এবং বর্বজনিক কার্ধ্যে উৎসাহ ও কৃতিত্ব অনুসারে ত দেয়ই নাই। রফাট বাটোয়ারাটার এই দোষেরও কোনই প্রতিকার করে নাই। মন্ত্রী মনোনয়ন করা আইন অনুসারে গবর্ণরের কাজ । সম্প্রদায়নিৰ্ব্বিশেষে ব্যবস্থাপক সভার যোগ্যতম সদস্তদিগকেই যে মন্ত্রী মনোনয়ন করা হয়, তাহা নহে—যদিও তাহাই করা উচিত। স্বতরাং যোগ্যতার বিচার না করিয়া ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায় হইতে নির্দিষ্টসংখ্যক মন্ত্রী লইলে, সেরূপ বন্দোবস্তকে মন্দের ভাল বলা যাইতে পারে। কিন্তু মন্ত্রীদিগকে কেবল হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায় হইতে মনোনীত কেন করা হইবে ? তাহারা বঙ্গের প্রধান দুই ধৰ্ম্মসম্প্রদায় বটে। কিন্তু অন্যান্য ধৰ্ম্মাবলম্বী ভারতীয়ও ত বঙ্গে আছে । তাছাদের মধ্যে খুব যোগ্য কোন ব্যক্তি ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হইলে, তাহাকে গবর্ণর মন্ত্রী মনোনীত করিতে পারিবেনই না, এমন কোন ব্যবস্থা থাকা ভাল নয় । এই সব কারণে রফাটার ২ নং সৰ্ত্ত অনুমোদনযোগ্য নহে ॥ ধৰ্ম্মসম্প্রদায় অনুসারে এবং মূনতম যোগ্যতা অনুসারে চাকরীর ভাগ না করিয়া ধৰ্ম্মসম্প্রদায়নির্বিশেযে যোগ্যতম লোকদিগকেই চাকরী দেওয়া উচিত। ধৰ্ম্মসম্প্রদায় অনুসারে ও নৃ্যুনতম যোগ্যতা অনুসারে চাকরী ভাগ করিয়া দিলে শুধু যে সব সম্প্রদায়েরই খুব যোগ লোকদিগের প্রতি অবিচার হয় তাহা নহে, খুব যোগ্য হইবার প্রবৃত্তির মূলেই কুঠারাঘাত করা হয় এবং সরকারী সব বিভাগের কাজ উত্তমরূপে নিৰ্ব্বাহিত হইবার পরিবর্তে অপকৃষ্ট রূপে নিৰ্ব্বাঞ্ছিত হয় । অতএব রক্ষার ৩ নং সৰ্ত্তটাও অনুমোদনযোগ্য নহে। ১ নং সৰ্ত্তটার ঠিক মানে বুঝা যায় না। ইহার মানে কি এই, যে, সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারাটা দশ বৎসর নিশ্চয়ই থাকিবে ও তাহার পর নিশ্চয়ই সংশোধিত হইবে ? না, ইহার মানে এই, যে, সম্প্রদায়গুলি সংশোধন ও পরিবর্তন সম্বন্ধে একমত হইলে দশ বৎসরের আগেও সংশোধন হইতে পরিবে ? অথবা ইহার মানে কি এই, যে, দশ বৎসরের পরেও সম্প্রদায়গুলি একমত না হইলে কোন পরিবর্তন হইবে না ? শিক্ষিত ইংরেজরা হয়ত সৰ্ত্তটার ঠিক মানে বুঝিতে ও বলিতে পরিবে, আমরা পারি নাই।