পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রেণীতে নহে পরস্তু চারি শ্রেণীতে বিভক্ত। চতুর্থ শ্রেণী হচ্চে গোবৈদ্য। গোথোর পণ্ডিতব্যাভ্রের শিষ্য—এই অর্থে গোবৈদ্য। ইহাদের মতে কুইনাইন হইতেছে সৰ্ব্বরোগহরৌষধি । ইহার কালেজের লেজ ধরিয়া ভীষণ প্রতাপে বাহির হইয়া গোগদভমহলে প্রবেশ করেন । ইহাদের রাক্ষসী চিকিৎসায় রোগভোগী বেচারাদিগের জীর্ণ-শীর্ণ দেহে জর ত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে নাড়ীত্যাগ হইয়া যাইতে একটুও বিলম্ব হয় না।” এই চিরকুট খানি লিখিবার অব্যবহিত পূৰ্ব্বেই আর এক খানি লিখিয়াছিলেন। উহা হারাইয়া গিয়াছে। তাহাতে যাহা লিখিয়াছিলেন তাহ সংশোধন করিয়া ইহা লিথিয়ছিলেন। আমার উত্তর লিখিয়া পাঠাইতে পাঠাইতে কখনো কখনো তাহার তিন চার খানি পত্র উপযুপিরি আসিয়া পড়িত। ইহাও সেইরূপ। ডাক্তারী চিকিৎসায় তাহার শ্রদ্ধা ছিল না, ইহা পূর্বেই বলিয়াছি। এই পত্র খানিতেও তাহা দেখা যাইতেছে। পূজ্যপাদ গুরুদেবও (রবীন্দ্রনাথ ) এক সময়ে একটি এইরূপ মন্তব্য করিয়াছিলেন। তখন বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা হয় নাই, শাস্তিনিকেতন আশ্রমে কেবল ইস্কুলই ছিল। সেই সময়ে বোলপুর হইতে একজন ডাক্তার প্রতিদিন আশ্রমে আসিয়া রোগীদের দেখাশুনা করিতেন। আশ্রম হইতে তাহাকে একখানা বাইসাইকেল দেওয়া হইয়াছিল। ডাক্তারটির উপর গুরুদেবের তেমন বিশ্বাস ছিল না। ইহাকে উদ্দেশ করিয়া তিনি এক পত্রে এইরূপ লিখিয়াছিলেন যে, যমের আসিতে বিলম্ব হয়, কিন্তু সাইকেলে চড়িয়া যমদূতের আসিতে বিলম্ব হয় না। (>4 ) “শাস্ত্রী মহাশয়, আপনি সন্ধ্যার পূর্বে এখানে আসিলে আমি বড়ই স্বর্থী হইব । এই সুযোগে প্রকৃত কথাটা তবে আপনাকে ভাঙিয়া বলি । মজলীলয় বিশ্ববিধাতা আপনাদের সৎসঙ্গের বাতাসে জামাt ৬ৎসাহানল প্ৰজলিত করিয়া তুলিয়া আমার স্থায় ক্ষুদ্র জীবকে অতবড় একটা শ্রেয় পথের প্রদর্শন কার্ধ্যে নিযুক্ত করিলেন আর সেই সঙ্গে আমার একটা মস্ত ভুল ভাঙিয়া দিলেন— প্রকুতে: ক্রিয়মাণানি গুণৈ: কৰ্ম্মাণি সৰ্ব্বশ: | অঙ্গঙ্কারবিমুঢ়ত্ম কৰ্ত্তাহমিতি মন্ততে ॥ এই অহঙ্কারের পথ অবরুদ্ধ করিয়া দিলেন। আমি এটা বেশ বুঝিতে পারিতেছি যে আপনাদের সংসঙ্গের সাহায্য ব্যতিরেকে আমি আমনধারা উচ্চ অঙ্গের লেখা এক কলমও লিখিতে পারিতাম না। আমি একজন আদার ব্যাপার রেখাক্ষরের চুটকি কবিতা লিখিয়া সরস্বতীর পদে বিনিয়োগ করি, কিন্তু ইহাই আমার পক্ষে ঢের ।” ইহাতে যে লেখার কথা বলা হইয়াছে তাহা তাহার গীতাপাঠের ভূমিকা। ইহা তিনি ধারাবাহিক বক্তৃতার আকারে শান্তিনিকেতনে পাঠ করিয়াছিলেন । ( وعلا ) “শাস্ত্রী মহাশয়, আমি চোকে দেখতে পাই নে ব'লে লেখাটা ছড়িভঙ্গি হইয়া গিয়াছে, কীরূপ আপনার লাগে বলিবেন। নারিকেলের মতো আমন একটা রসালো ফলের অন্তরঙ্গ ও বহিরজের মধ্যে অসামঞ্জস্যের পরাকাষ্ঠা দেখিয় জগজ্জননী প্রকৃতির উপরে আমার অভক্তি জন্মিয়াছে। অন্তরঙ্গ কোমল হইতে কোমলতর, বহিরঙ্গ কঠিন হইতে কঠিনতর— এটা কি ভাল ? উত্তর ( প্রথমটা যেমন আছে তেমনি থাকিবে । তাহার পরে সর্বশেষে বসিবে এইরূপ ) শাস্ত্রে বলে যে জনক রাজা প্রভৃতির ন্যায় জীবন্মত মহাপুরুষদিগের অনন্তসাধারণ লক্ষণ একটি এই যে, তাহারা বাহিরে কর্তা ভিতরে অকৰ্ত্ত । ইহার নিগূঢ় অর্থ যিনি বোঝেন-নারিকেলের অন্তরঙ্গ ও বহিরঙ্গের মধ্যে ওরূপ বৈশাদৃপ্ত ঘটিবার কারণ বুঝিতে তাহার এক মুহূৰ্ত্তও বিলম্ব হইবে না।" (ר צ) “শাস্ত্রী মহাশয়, ধূমকেতুর ল্যাজের ন্যায় স্বল্প শরদ্বভ্রের ন্যায় বাষ্পীয় ontsitz & qstfręgi ItaIR “nebulous matter,” neb=নভ=আকাশ। কিন্তু অম্বর (আকাশ), অম্বু, এবং অম্ভ এই তিন শব্দের মধ্যে ভাষাবিজ্ঞানঘটিত খুব