পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"ইতিমধ্যে ১৭৩৯ শকে রাজার ভ্রাতুষ্পুত্র তাঙ্গার বিরুদ্ধে স্বপ্রীমকোট বিচারালয়ে অভিযোগ করেন ইতাতে তিনি প্রায় তিন বৎসর পর্য্যস্ত বিত্রত থাকাতে জ্ঞানচর্চা জল্প তাঙ্গার তিল মাত্র BBBK BB BS BBB BK KBD BB BBB BS SSS BBB তিনি সেক্ট অঙ্গায় অভিযোগ ওঠতে মুক্ত হইয়া পুনৰ্ববার সভা আরম্ভ করিলেন ।" মোকদম লইয়া রামমোহন রায় যে বিব্রত ছিলেন মোকদ্দমার নর্থীতে তাহার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। হয়ত আত্মীয় সভার অধিবেশনের ব্যবস্থা করা তখন অস্থবিধাজনক হইয়াছিল। কিন্তু জ্ঞানচর্চার জন্য র্তাহার তিল মাত্র অবকাশ ছিল মা একথা সত্য নহে। ১৮১৭ হইতে ১৮১৯ সাল পর্য্যন্ত রামমোহন রায় যে সকল ইংরেজী এবং বাংলা পুস্তক-পুস্তিকা প্রকাশিত করিয়াছিলেন তাহাদের কথা হিসাব করিলে মনে হয়, এই সময় তাহার জ্ঞান-চর্চার অবকাশ যেন পূৰ্ব্বাপেক্ষা বাড়িয়াছিল। ১৮১৭ সালের ২৩শে জুন গোবিন্দপ্রসাদ রায়ের আর্জি দাখিল করা হইয়াছিল । রামমোহন রায়ের ব্যারিষ্টার কম্পটন সাহেব জবাব দাখিল করিবার জন্য প্রথমতঃ এক মাস সময় চাহিয়াছিলেন। জবাব প্রস্তুত করিবার জন্য নানাবিধ কাগজপত্র এবং দলীল অনুবাদ করিতে সময় লাগিতেছে বলিয়া ২৯শে আগষ্ট রামমোহন রায়ের পক্ষ হইতে পুনরায় তিন সপ্তাহের সময় চাওয়া হইয়াছিল। এই তিন সপ্তাহ পরে, ২৪শে সেপ্টেম্বর, জবাব দাখিল করিবার জন্য আরও আট দিনের সময় লওয়া হইয়াছিল, এবং অবশেষে ৪ঠা অক্টোবর জবাব দাখিল করা হইয়াছিল । সুতরাং জবাব প্রস্তুত করিবার জন্য রামমোহন রায় যে বিব্রত হইয়াছিলেন তাহা অস্বীকার করিবার উপায় নাই। কিন্তু যখন জবাবের মোসাবিদা চলিতেছিল সেই সময়ে, ১২২৪ সনের ১৩ই ভাদ্র ( ১৮১৭ সালের ৩০শে আগষ্ট ) বাংলা অনুবাদসহ কঠোপনিষৎ, এবং জবাব লখিলের পর দিন, ২১শে আশ্বিন ( এই অকৃটোবর ), মাণ্ডুক্যোপনিষৎ প্রকাশিত হইয়াছিল। এই দুই খানি গ্রন্থ আকারে ছোট হইলেও, মাণ্ডুক্যোপনিষদের ভূমিকার গুরুত্ব অত্যধিক। ১৮১৬ সালে প্রকাশিত ঈশোপনিষদের ভূমিকায় পৌত্তলিকতার তীব্র আক্রমণ করিয়া রামমোহন রায় দেশে আগুন জালাইয়া দিয়াছিলেন। এই প্রকারে প্রচলিত উপাসন-রীতির ধ্বসের • প্রবাসী, ১৩৪৩, জ্যৈষ্ঠ, ২৯২ পৃঃ নূতনত্ব আছে। বিধান করিয়ামাণ্ডুক্যোপনিষদের ভূমিকায় তিনি ব্রহ্মোপাসনার রীতি প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন। এই উপাসনা রীতিতে যথেষ্ট এই ব্রহ্মোপাসনা রীতির আকর শঙ্করের ব্যাপাত দশোপনিষৎ । এই সকল উপনিষদে পরস্পরবিরোধী মতও রহিয়াছে। এই বিরোধের মীমাংসার জন্য বেদাস্ত বা উত্তরমীমাংসা দর্শন স্বস্ট হইয়াছিল। বর্তমানে বাদরায়ণের বেদান্তস্বত্র বা উত্তরমীমাংসা প্রচলিত আছে । বাদরায়ণের স্বত্রে দেখা যায়, এক সময়ে জৈমিনি প্রভৃতি অন্যান্য মুনির রচিত উত্তরমীমাংসা বা বেদাস্তসূত্রও প্রচলিত ছিল । বাদরায়ণ স্থানে স্থানে তাহাদের মত উল্লেখ করিয়াছেন, এবং আবশ্যকমত খণ্ডনও করিয়াছেন। বাদারায়ণের বেদান্ত সুত্রের শঙ্কর কুত ভাষা এবং অন্যান্য অনেক ভাষ্য আছে । রামমোহন রায় উপনিষদের মৰ্ম্ম সম্বন্ধে বাদরায়ণের এবং শঙ্করের অন্তগত ছিলেন। কিন্তু তদতিরিক্ত তিনি বুদ্ধির বিবেচনার অনুসরণ করাও কৰ্ত্তব্য বোধ করিতেন। বেদাস্তসারের উপসংহারে তিনি লিখিয়াছেন—

  • বেদের প্রমাণ এবং মহর্ধির বিবরণ আর আচার্য্যের ব্যাখ্যা অধিকন্তু বুদ্ধির বিবেচনা এ সকলেতে যাচার শ্রদ্ধা নাই তাহার নিকট শাস্ত্র এবং যুক্তি এ দুই অক্ষম হয়েন ।”

বুদ্ধির বিবেচনা অনুসারে উপাসনা-প্রণালী সম্বন্ধে রামমোহন রায় বাদরায়ণের এবং শঙ্করের দুইটি উপদেশ গ্রহণ করেন নাই। একটা সন্ন্যাস। বাদরায়ণ এবং শঙ্কর উভয়ের মতেই সন্ন্যাস গ্রহণ না করিলে অপরোক্ষ ব্ৰহ্মজ্ঞান এবং মুক্তি লাভ করা যায় না। দ্বিতীয়, আসন করিয়া যোগাভ্যাস । ছান্দ্যোগ উপনিষদের উপসংহার ভাগের উপর নির্ভর করিয়া, গৃহস্থের পক্ষে যে মোক্ষলাভ করা সম্ভব, এবং ব্রহ্মনিষ্ঠ গৃহস্থের ব্ৰহ্মজ্ঞানোপদেশের যে অধিকার আছে, এই মত তিনি দৃঢ়তার সহিত প্রচার করিয়াছেন। মাতুক্যোপনিষদের ভূমিকা কেবল গ্রন্থচর্চার ফল নহে, বুদ্ধির দীর্ঘ বিবেচনার ফল। গোবিন্দপ্রসাদের আর্জির জবাবের ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গে রামমোহন রায় এই নব উপাসনারীতি পরিচিস্তনে রত ছিলেন। মোকদ্দমা যখন রীতিমত চলিতেছিল তখন, ১৮১৮ সালে, রামমোহন রায় বাংলায় এবং ইংরেজীতে “সহমরণ বিষয়ে প্রবর্তক ও নিবৰ্ত্তকের প্রথম সংবাদ" প্রকাশিত করিয়া