USR প্রচারকার্ধ্য আরম্ভের সমসময়ে, অর্থাৎ ১৮১৪ বা ১৮১৫ সালে, তাহার সহিত রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশের এই মিলন ঘটিয়াছিল। এই দুই জনে মিলিত হইয়া কি করিয়াছিলেন জীবনবৃত্তাস্তকারের ভাষায় তাহ বর্ণন করিব। বিদ্যাবাগীশ মহাশয় অতিশয় বুদ্ধিমান, এবং সংস্কৃত ভাষাতে শব্দালঙ্কারাদি ব্যুৎপত্তি-শাস্ত্রে ও ধৰ্ম্ম-শাস্ত্রে অত্যন্ত ব্যুৎপন্নপ্রযুক্ত BB BBBB BB BBBBB BBB BBBBB LSBB g gBBB ইচ্ছানুসারে তাঙ্গার সমভিব্যাঙ্গারি শিবপ্রসাদ মিশ্র নামক একজন বুৎপন্ন পণ্ডিতের নিকট উপনিষং ও বেদান্ত দশনাদি মোক্ষ প্রযোজক শাস্ত্র অধ্যয়ম করিতে প্রবৃত্ত হইলেন, এবং স্টাতার স্বাভাবিক উজ্জ্বল মেধ বশতঃ অত্যন্ত্রকাল মধ্যে উক্ত শাস্ত্রে অসাধারণ সংস্কারাপন্ন হই লেন । প্রথমত: তিনি বঙ্গভাষাতে এক অভিধান ও জ্যোতিঃ শাস্ত্রের একথও প্রকাশ করেন. এবং তাঙ্গা বিক্রয়দ্বারা কিঞ্চিং ধন সংগ্রগুপৰ্ব্বক পরিবারের পাসের ক্তঙ্গ শিমুলিরাস্থ গেদুয়া পুষ্করিণীর উল্পে এক বাট ক্রয় করেন । পরন্তু তিনি রাজার নিকট ক্রমশঃ অতিশয় প্রতিপন্ন ইষ্টয়া উপহার বিশেষ আহুকুল্যদ্বারা হেদুয়া পুষ্করিণীর দক্ষিণে এক চতুপাঠ সংস্থাপনপূৰ্ব্বক কয়েকজন ছাত্রকে বেদাঙ্ক শাস্ত্র আধ্যাপনা করিতে লাগিলেন । এষ্টরূপে তাঙ্গার শাস্ত্রজ্ঞান এই প্রকার উজ্জল হইল, যে সাকার উপাসকদিগের সঠিত রাজার যে সকল শাস্ত্রীয় বিচার উপস্থিত হইয়াছিল তাঙ্গাতে তিনিই প্রধান সহযোগী ছিলো— এাঞ্জা স্ত্র হার পরামর্শ ব্যতীত কোন BBBB SBBB BBB BBBB B gggBBB BBSBBB BB তিনি ক্রমশঃ অত্যন্ত মান্স ও বিখ্যাত হইয়া উঠিলেন । তদনস্তর শ্ৰীযুক্ত রাজা রামমোহন রায়ের বিশেষ যত্নস্থার মাণিকতলাতে ব্ৰহ্মোপাসন। ভক্ত ক্ষুদ্র আকারে আত্মীয় সভা নাম্নী এক সভা সংস্থাপিত হয়, তাখাতে বিদ্যাবাগীশ মগশর ব্রহ্মজ্ঞান বিষয়ক বi"খiান করিতেন । পরে যথম ১৭৫১ শকের ১১ মাঘ দিবসে ব্ৰাহ্ম সমাজ ষোডাস কেস্ত বৰ্ত্তমান গৃহে স্থাপিত হইল তথন তিনি BBBB BBBB gBB BBBS BB BBBBBB BBBBBB স্বদেশস্থ লোকদিগকে ব্রহ্মোপাসনার উপদেশ কfরতে লাগিলেন । রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ বামাচারী ছিলেন না। সৰ্ব্বশাস্ত্র আলোচনা করিয়া এবং সৰ্ব্বধৰ্ম্মের আচারের বিচার করিয়া রাজা রামমোহন রায় যে আচার উদ্ভাবিত করিয়াছিলেন, তিনি জীবিত থাকিলে স্বয়ং যে আচার প্রচার করিতেন, তাহার দৃষ্টান্তস্থল রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশের আচার। বিদ্যাবাগীশের জীবনবৃত্তান্তকার লিখিয়াছেন— Tম্প্রবাস । ఎలాsఆ~ বিদ্যাবাগীশ মহাশয় যদিও তাতার তাবৎ জীবন পৰ্য্যস্ত সাধারণ রূপে ব্ৰহ্মজ্ঞান প্রচারের জন্য যত্নশীল ছিলেন কিন্তু তাছার চিত্তে ষ্টঙ্গ সর্ববঙ্গ জাগ্রত ছিল যে বিধিবং প্রতিজ্ঞার সঙ্গিত ধৰ্ম্মের আশ্রয়
- গ্রহণ না করিলে সে ধৰ্ম্মেশ্র স্থৈৰ্য্য হইতে পারে না এবং তদনুসারে
পূৰ্ব্বে একবার রাজ রামমোহন রায়ের সঙ্গযোগী হইয়া এষ্টরূপ বিধিবৎ লোকদিগকে উপদেশ করিবার জন্য উদ্যোগ করিয়াছিলেন ; কিন্তু তৎকালে অজ্ঞানের প্রাবল্য ও দ্বেষের আধিক্য প্রযুক্ত কেহ তদ্বিষয়ে BBB gBBB BS BBB BBB BBBB BBB BB BBBBS গ্রহণের উপযুক্ত হইতেছে তখন তিনি ঠাঙ্গার মানস সফল হুইবার সম্ভাবনা দেখিয়া অfচার্য্যরূপে বেদান্ত শাস্ত্রেয় সারার্থানুসারে বিধিপুৰ্ব্বক এক্ট ব্রাহ্মধৰ্ম্ম এদেশে প্রচার করিবার জন্ম ১৭৬৫ শকের ৭ পৌষ ( ১৮৪৩ সালের ২১শে ডিসেম্বর ) বৃহস্পতিবার দিব দুষ্ট প্রস্তর তিন ঘণ্টার সময়ে প্রথমতঃ একবিংশতি ব্যক্তিকে উক্ত ধৰ্ম্মে প্রবিষ্ট করিলেন এবং তঞ্জস্ব ব্রাহ্মদিগের সম্মুগে যে মগনন্দ বাত্ত করিয়াছিলেন তাহ1 অনেক ব্রাহ্মেরক্ট হৃদয়ঙ্গম আছে । এখানে ব্রাহ্মধৰ্ম্মে দীক্ষার কথা উল্লিখিত হইয়াছে, এবং দেখা যাইতেছে রাজা রামমোহন রায়ের জীবদ্দশায়ু এই দীক্ষাবিধি উদ্ভাবিত হইয়াছিল । হরিহরানন্দনাথ এবং রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ এই দুই ভাই রামমোহন রায়ের বাম দক্ষিণ দুই বাহু ছিলেন । কিন্তু এই দুই ভাইই ছিলেন যন্ত্র মাত্র, রাজা রামমোহন রায় ছিলেন যন্ত্রী । ‘ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠার বিবরণে"র পূৰ্ব্বোদ্ধত বচনে হরিহরানন্দনাথ সম্বন্ধে লিখিত হইয়াছে, --বদান্ত প্রতিপাদ্য ব্ৰহ্মজ্ঞান অনুশীলনে তাঙ্গার নিষ্ঠ মাত্র ছিল নী ৷ এই বিবরণকার রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ সম্বন্ধে লিখিয়াছেন— "এ দেশীয় ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতদিগের মধ্যে শ্ৰীযুক্ত রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ র্তাঙ্গার সম্যক অমুবৰ্ত্তী ছিলেন কিন্তু লোকভয়প্রযুক্ত তিনিও সৰ্ব্বদা স্বমতামুগত ব্যবহার করিতে সমর্থ হইতেন না । সহমযুণ নিবারণের ব্যবস্থা প্রচার হইলে তাঙ্কা রহিত করিবার জন্য প্রবত্ত্বক পক্ষর রাজ বিচারালয়ে যে আবেদনপত্র প্রদান করিয়াছিলেন তাহাতে বিদ্যাবাগীশ লোকভয়ে স্বনাম স্বাক্ষর করিয়াছিলেন ইহাতে রাজা রামমোহন রায় তাহার প্রতি বিরাগ প্রকাশ করেন "*
- প্রবাসী, ১৩৪৩ জৈষ্ঠ, ২১২ পৃঃ
